হয়ে গেলো আমার বাইকের মালিকানা পরিবর্তন এর আবেদন।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আসলে শীত শীত আবহাওয়াতে চমৎকার না থেকে কি পারা যায়? গরম কালে কত সমস্যা। শীতের বেলায় কত্তো শান্তি। যদিও শীতেই মানুষের কষ্ট হয় বেশি। তবে তবুও আমার কাছে শীত কালই সেরা। যাক আজ আমার বাইকের মালিকানা পরিবর্তন করে আমার নামে করেছি। আজ সে নিয়েই গল্প করবো আপনাদের সাথে।
গত ৩ জানুয়ারি আমি আমার আগের বাইকটি বিক্রি করে অন্য একটু আপডেট মডেল এর বাইক নেই। যেটা ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তো সে গাড়িটি ছিলো এতো দিন আগের মালিক এর নামে। যেটা রাস্তায় চলাচলে আমার জন্য একটু বিপদজনক হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা মালিকানার মামলা ধরাই দিতে পারে। যদিও আমি মালিকানা পরিবর্তন এর সব কাগজপত্র নিয়েই ঘুরতাম। কিন্তু ভাইদের বিশ্বাস নাই। দেখা গেলো কিছু না পেয়ে এটাকে ইসু করে বসেছে। আলগা ঝামেলায় কে জড়াতে চায়? আর আমি সব সময় চাই আমার সব কাগজ পত্র যেনো ঠিক থাকে। তাইতো বাইক কেনার অনেক আগেই আমি ড্রাইভিং লাইসেন্স করে ফেলেছিলাম। অনেকেই হেসেছিলো যে আমি গাড়ি কেনার আগেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়েছি বলে অনেকেই হেসে ছিলো। কিন্তু এখন এটাই কাজে লাগলো। লাইসেন্স ছাড়া গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন নিজের নামে করা যায়না। তো যাই হোক আমি যে গাড়ি নিয়েছিলাম সেটার আগের মালিক এর সাথে আমার ফোনে যোগাযোগ হয়েছিলো। উনি বলেছিলেন ওনার নতুন গাড়ির ফিংগার যেদিন দিতে যাবে সেদিন আমাকে আগেই জানিয়ে রাখবে। আমিও আমার বিআরটিয়ে তে এক ভাই আছে তাকে বলে রাখলাম।
যেহেতে আগের মালিক আমাদের সেলস থেকে ইয়ামাহার গাড়ি নিয়েছেন তাই তিনি সার্ভিস নিতে। যেহেতু আমি গাড়ি নিয়েছি এক টেকনিশিয়ান সেটা ওই লোক কে বলে তখন বুঝতে পারি তিনিই আমার গাড়ির আগের মালিক। তখন ওনার সাথে আমি যেয়ে কথা বলি। এবং টেকনিশিয়ানকে বলি ভালো করে সার্ভিস দিতে ওনাকে। সাথে এটা শুনতে পাই উনি পরেরদিন বিআরটিয়ে তে যাবে। তখন আমিও বলে দিলাম যে তাইলে এক সাথে আমার নাম ট্রান্সফার টাও করিয়ে ফেলবো। তখন আমি আগে থেকেই বিআরটিয়ের সেই ভাই এর সাথে কথা বলে সব ফাইনাল করে রাখলাম। তো আজ সকালে চলে গেলাম মিরপুর বিআরটিয়ে তে। তবে গিয়ে শুনি আমার পরিচিত সে ভাই গতকাল রাতে বাইক এক্সিডেন্ট করে হাসপাতাল থেকে সকালেই বাসায় গিয়েছে। তবুও উনি আরেকজন এর নাম্বার ম্যানেজ করে দিলেন। আমি নতুন সে ভাই এর সাথে যোগাযোগ করলাম। উনি যা যা কাগজ পত্র চাইলেন সব দিলাম। সাথে টাকাও দিলাম। বাকি কাজ উনি করে দিবেন বললেন। তো উনি গোছাতে থাকলেন স্ট্যাম্প সহ বাকি কাগজপত্র। মাঝে আগের মালিকও চলে আসলেন। আমি ওনার থেকে ছবি নিয়ে প্রিন্ট করাতে থাকলাম। লোকটা আসলেই খুব ভালো। ছবির টাকা আমাকে দিতেই দিলোনা।
সব কাগজ প্রস্তুত হওয়ার পর এবার আমার গাড়ি ভিতরে নিয়ে গেলাম। প্রথম সারিতেই সিরিয়াল দিলাম। কারন ম্যাজিস্ট্রেট এসে গাড়ির নাম্বার বা চেসিস নাম্বার মিলিয়ে দেখবে। যাক অনেক্ষন অপেক্ষার পর তিনি আসলেন। গাড়ির নাম্বার দেখে কি যেনো একটা ফর্মের উপরে লিখে দিলেন। এবার আমি আর আগের মালিক গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। যেটি সংযুক্ত করতে হবে। এবার বিআরটি এর সেই ভাই কাগজ নিয়ে অন্য এক রুম এ গেলেন। সেখানে কাজ শেষে অন্য আরেক রুম এ নিয়ে গেলেন। সেখান থেকে স্লিপ দিয়ে দিলো। আর বললো অন্য এক রুম থেকে সাইন নিয়ে নিতে । তাইলেই কাজ শেষ। মাঝে দিয়ে আগের মালিক রে বিদায় দিয়েছি। ওনার একটু ব্যস্ততা ছিলো। তবুও ভালো সময় দিয়েছেন আমাকে। যাক স্লিপ নিয়ে সে ভাই এর সাথে দেখা করে আমি অফিস চলে আসলাম। প্রতিবার যখন রাস্তায় পুলিশ দেখেছি আমি ইচ্ছে করেই তাদের সামনে আসতে চালিয়েছি। নে ভাই এবার ধর আমারে। যাক মজা করলাম। আমাদের সবারই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ। আইন মেনে চলি বলেই সকল কিছু আপডেট করে নিলাম।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
শেষের দিকে এসে একটা কথা পড়ে বেশি মজা লাগলো গাড়ির কাগজ কমপ্লিট তার জন্য পুলিশের কাছে এসে স্লো করছেন হা হা হা। এমনটা আমিও মাঝে মাঝে করি হি হি হি।
হ্যা ভাই। এখন তো এমনই করি। নে ধর এবার আমারে।
বাইক কিনে বাইকের মালিকানা পরিবর্তন করার আবেদন করেছেন এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। এর আগে আমাদের গাড়িতে মালিকানা পরিবর্তন না করার জন্য একটি কেস খেয়েছিলাম ৩১০০ টাকার। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্টার আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাই। আসলে মালিকানা নিজের কাছে না থাকলে গাড়িও নিজের মনে হয়না।
ভাই আপনার এই ঘটনার লাস্টের অংশটি পড়ে বেশ হাসি পেল আমার। প্রপার কাগজ থাকলে আসলে মনে একটা আলাদা রকম সাহস পাওয়া যায়। যাইহোক, শেষ পর্যন্ত আপনি এই বাইকের মালিকানা পেয়ে গেলেন জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক অনেক কংগ্রাচুলেশন আমার পক্ষ থেকে নতুন বাইকের মালিকানা পাওয়া জন্য ।
জ্বি ভাইয়া । আসলে কাগজ পাতি থাকলে আলাদা একটা সাহস কাজ করে। নে পারলে ধর এবার।