মিস করি সেই স্কুল লাইফের দিন গুলো।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। কি খবর আপনাদের সবার? কেমন যাচ্ছে দিন কাল আপনাদের? আমি তো ঠান্ডা আর কাশি তে শেষ হয়ে যাচ্ছি। যেমন লেগেছিলো ঠান্ডা তার চেয়েও বেশি কষ্ট দিচ্ছে কাশি। রাতে তো ঠিক মতন ঘুমাতেই পারিনা এর জন্য। গতকাল ও রাত ৪ টার দিকে ঘুমিয়েছিলাম। ঘুম আসবেই কি করে। কাশি যেনো রাত হলেই আরো বেড়ে যায়। যাক আজ আর সে কথায় যাচ্ছিনা। আজ কথা বলবো স্কুল লাইফ নিয়ে। আশা করি সবাই পড়বেন।
স্কুল জীবনটা আমাদের কতই না আজব তাইনা? যখন স্কুল জীবনে ছিলাম তখন শুধু ভাবতাম কবে এই স্কুল লাইফ শেষ হবে। কবে আমরা মজা করতে পারবো। কবে পড়ার কোনো চাপ থাকবেনা। অথচ এখন সেই দিন গুলাকেই যেনো মিস করি বার বার। স্কুলে একটা সময় ক্লাস করতে করতে বিরক্ত হয়ে যেতাম। কখন ঘন্টা পরবে এটাই ভাবতাম শুধু। কিন্তু এখন আর সেসব কিছু মনে পরেনা আমার। সে দিন গুলোতেই ফিরে যেতে চাই আমি। আবারো ছুটির ঘন্টা শুনতে চাই আমি। তখন কতো আগ্রহে অপেক্ষা করতাম আমরা। আর এখন দেখুন মনে হয় যেনো সেটা তো ছুটির ঘন্টা না মধুর ঘন্টা ছিলো। ইশ যদি আবারো স্কুলের বাচ্চা হয়ে যেতে পারতাম। কতই না ভালো লাগতো। স্কুল লাইফের অনেক কথাই মনে পরে এখন আমার।
স্কুল জীবনে আমি ৩ টি স্কুলে পড়েছিলাম। প্রথমটির নাম ছিলো কুর্মিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি আমার স্কুল জীবনের শুরুর স্কুল। সেখানে প্রথম শ্রেনিতে পড়েছিলাম। এরপর যাই শারাফের পাঠশালা নামক এক স্কুল। ওই সময়টা আমি খুব মেধাবি ছিলাম। সব সময় ক্লাসে ১-৩ এর মধ্যেই থাকতো আমার রোল। তো সে স্কুল থেকে সিদ্ধান্ত নিলো যে আমাকে সব খরচ দিয়ে ভালো একটি স্কুলে ভর্তি করাবে। স্কুলটি ছিলো আমাদের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক স্যার এর ছেলের নামে। ওনার ছেলে ৪ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলো। তারপর তিনি এই নামে স্কুল চালু করেন। তো সেই স্কুল থেকে আমাকে ভর্তি করা হয় কুর্মিটোলা হাই স্কুল এ। যদিও পরে সে স্কুল হয়ে যায় কলেজ। মানে স্কুল এর পাশা পাশি কলেজ ও। এটি থেকেই আমার মাধ্যমিক সম্পন্ন করি আমি। অনেক বন্ধু পেয়েছিলাম। এই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম আমি ৩য় শ্রেনীতে। প্রথম মেয়াদী পরীক্ষায় ক্লাসে ২য় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছিলাম স্যার খুব আদর করে বাবা ডেকেছিলেন। খুবই ভালো লেগেছিলো। এরপরই আমার অসুস্থতার জন্য পিছিয়ে যাই আমি। ২য় সাময়িক পরীক্ষা দিতে পারিনি। কত মজানা করতাম আমরা স্কুলে। আমার এক বন্ধু ছিলো ওর নাম লিমন। ও আমার খুবই ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু ছিলো। ওর সাথে যা দুস্টামি করতাম আমরা। এ নিয়ে মজার ঘটনা আছে কয়টা। সেটা সামনে একদিন শেয়ার করবো নে।
স্কুল জীবনে থাকার সময় মনে হতো সময় কেনো যায়না। কবে শেষ হবে এই স্কুল জীবন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে কত দ্রুতোই না শেষ হয়ে গিয়েছিলো সে দিন গুলো। কি আর করা। আমাদের জীবনটাই যে এমন। কথায় আছেনা -
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম কেউ বুঝেনা।
আসলেই জীবনটাও যেনো এমন। একটা জিনিশ থেকে দূরে সরে গেলেই কেবল আমরা এর গুরুত্ব অনুভব করতে পারি। এর আগে আমাদের মাঝে সে অনুভূতি আসেনা। যতই চাই আসেনা কোনো ভাবেই। এভাবেই আমাদের জীবন এভাবেই আমাদের চলতে থাকবে যে। তবে সত্যি মাঝে মধ্যে মন চায় সেই স্কুল লাইফে ফিরে যেতে। বন্ধুদের সাথে মজা করতে। কার আগে কে উপরে উঠে সামনের বেঞ্চ গুলো দখল করবে। যদিও আমি সব সময় মাঝের বেঞ্চ গুলোতে বসতাম। বেশি সামনেও না আবার বেশি পিছনেও না। পিছনে বসলে পড়া ধরে বেশি। মাঝের সিট গুলো একটু শান্তির।
তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পোস্টটি পড়ে আবার স্কুল লাইফে ফিরে গেলাম। বন্ধুদের সাথে স্কুলে কাটানো সেই সোনালী দিনগুলো মনে পড়লে এখনো হৃদয় শিহরিত হয়ে ওঠে। কিছু কিছু সোনালী মুহূর্ত কখনো ভুলে যাওয়ার নয়। স্কুল লাইফের অনুভূতি খুবই অসাধারণ। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যা ভাই। একদম ঠিক বলেছেন৷ স্কুল লাইফের সেই দিন গুলো যদি আবার ফিরে পেতাম৷ কতই না ভালো লাগতো।
কাশি জিনিসটাই এমন রাত হলেই বাড়ে। সবার ক্ষেত্রে দেখি একই অবস্থা। ভাইয়া ওষুধ খান ঠিকমতো ভালো হয়ে যাবে আশা করি।
একদম মনের কথা বলেছেন ভাইয়া। বাচ্চার স্কুলে দিতে গেলে নিজের স্কুলের কথা খুব মনে পড়ে। ওই দিনগুলোকে খুব মিস করি। তখন মনে হতো না জানি কবে পড়ালেখা শেষ হবে আর এখন ওই দিনে ফিরে যেতে মন চায়। আপনার সঙ্গে সঙ্গে ছোটবেলায় স্কুলের স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো। ভালো লাগলো ভাইয়া।
হুম আপু একদম ঠিক বলেছেন। রাত হলেই কাশি অনেক বেড়ে যায়।
বেশ ভাবুক হয়ে গেলাম গল্পটা পড়ে, হয়তো খুব বেশি একটা পার্থক্য নেই আমাদের গল্পে, স্কুলের সেই বিরক্তকর লেকচার গুলো এখন যেন কানে এসে বাধে, মন যেন আবার বলে স্কুল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে আবার সেই স্মৃতিগুলো ফিরে পেতে চাই।
একদম বন্ধু। একদম ফিরে যেতে চাই সেই দিন গুলো তে।
পড়া লেখায় তাহলে আপনি সবসময় ফাস্ট ছিলেন মানে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় থাকতেন। আসলে স্কুল লাইফের সেই দিনগুলো যখন মনে উঠে তখন ইচ্ছে করে আবারো ফিরে যেতে। কিন্তু যখন স্কুলে পড়তাম তখন শুধু ভাবতাম কখন এই স্কুল জীবন শেষ হবে। বন্ধু-বান্ধবের সাথে কাটানো সেই মুহূর্ত সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে এখনো সত্যি খুবই খারাপ লাগে। মাঝেমধ্যে ভালোও লাগে কত সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতাম। আপনার আজকের এই পোস্টটি পড়ার সময় আমি যেন আমাদের স্কুল জীবনে ফিরে গিয়েছিলাম। সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। যাইহোক ভালোই লাগলো।
জ্বি আপু। স্কুল লাইফে একটু জ্ঞান ছিলো ভালো। তবে বড় হইতে হইতে দুস্টামিতে সব গেছে আমার।
আসলে স্কুল লাইফের সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে ইচ্ছে করে ছোটবেলার সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি আমাদের সবার জীবনের মাঝে লুকিয়ে আছে যেগুলো মনে করলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার স্কুল জীবনের এত সুন্দর স্মৃতির গল্প করে সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার এরকম একটি স্মৃতিময় গল্প সবার মাঝে ভাগ করেন নিলেন দেখে একটু বেশি ভালো লাগলো।
হুম ভাই। ছোট বেলার সে দিন গুলোই আমার মতে বেস্ট ছিলো।
ভাইয়া আপনার আর আমার প্রবলেম সেইম সেইম হয়ে গেল। গত এক সাপ্তাহ ধরে আমার গলা ব্যথা আর কাশি হচ্ছে। গরম পানি খেতে খেতে গলা পুড়ে যাচ্ছে। যায়হোক দোয়া করি সুস্থ হোন। আর স্কুল লাইফটাকে সত্যিই খুব মিস করি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গলা ব্যাথা খুবই কষ্টের ভাই। অনেক ভুগতে হয়।
আমাদের জীবনে সবথেকে সুন্দর মুহূর্ত কাটে আমাদের স্কুল জীবনে। আমাদের স্কুল জীবন কাটে হাসি খেলায়। এখন প্রত্যেকটা পদে পদে বুঝি কত সুন্দরই না ছিল সেই স্কুল জীবনের কাটানো মুহূর্তগুলো। যখন কোন ছেলে মেয়েকে স্কুল যেতে দেখি তখন মনে হয় কেন আমরা বড় হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। জীবনের সব থেকে সুন্দর মুহূর্ত গুলো কাটে আমাদের স্কুল জীবনে।