প্রথম বারের মতন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাতায়াত এর অভিজ্ঞতা
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। শুক্রবার ছুটি থাকে তো অফিস তাই একটু চাপ থাকে কম। যদিও মিড সেমিস্টার পরীক্ষা চলতেছে। তাও আবার একদিনে দুই পরীক্ষা। তাও ভালো পরীক্ষা সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় এরপর এলাকায় যেয়ে বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যায়। যাক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো প্রথম বারের মতন এলিভেটেড এক্সপ্রেস রোড এ যাওয়ার অনুভূতি। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
ভার্সিটিতে গতকালও আমার দুইটা পরীক্ষা ছিলো। প্রথম পরীক্ষা ছিলো সকাল ৮ টা ৩০ থেকে। সে পরীক্ষা দিয়ে আমি আবার বাসায় চলে যাই। কারণ পরের পরীক্ষা বিকেল ৪ টা থেকে। তো গতকাল গিয়েছিলাম বন্ধুর সাথে হাতিরঝিল মধুবাগ এ। ও একটা ছোট ফোন নিয়েছিলো সেখান থেকে। যাক সেখান থেকে বাসায় চলে আসি। এরপর তো বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু পড়াশুনা করি। যাক আমি তখন মনে করেছিলাম বিকেল ৪ টা ৩০ থেকে পরের পরীক্ষা। যাক এরপর দ্রুতো প্রস্তুত হয়ে চলে গেলাম। যাক এই পরীক্ষাও শেষ হলো যথারীতি। আমি আগেই বের হয়ে গিয়েছিলাম। নিচে এসে অপেক্ষা করছিলাম আমার বাকি বন্ধুদের জন্য। কিছুক্ষন পর ওরাও আসলে এক সাথে ফার্মগেট এর দিকে হাটা দিলাম। কারণ সবাই মিলে সেখান থেকেই বাসে উঠি সাধারনত। তো ফার্মগেট পৌঁছানোর পর দুই বন্ধু বললো চল আজ বিআরটিসির বাস দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাই। যদিও সেক্ষেত্রে আমার আবার উলটা আসা লাগবে। তবুও প্রথমবার অভিজ্ঞতা নিতে আমিও সায় দিলাম। কিন্তু কোথা থেকে উঠবো কেউ জানিনা। বললাম তাইলে সামনে যাওয়া যাক। সামনে যেতেই এক বন্ধু বলে উঠলো এটায় নাকি উঠে বিজয়সরনী থেকে। তাই আবার আমরা উলটা রউনা দিলাম।
একটু সামনে যেতেই ও বলে ও নিশ্চিত না। তাই ভাবলাম এবার আমারই কিছু করতে হবে। তাই আমি ইউটিউব এ সার্চ দিলাম। এবার খোজ পেলাম যে খামার বাড়ি থেকে উঠতে হবে। যাক আবার উলটা ঘুরলাম সবাই। এবার খুজেই ছাড়বো। সবাই সামনের দিকে চলে গেলাম। এবং গিয়ে দেখি সেখানে অনেক গুলো বিআরটিসি বাস দাঁড়িয়ে আছে। সব গুলো দোতলা বাস। যাক আমরা দেখলাম পাশেই টিকিট বিক্রি করতেছে। আমরা ছিলাম ৫ জন। তাই টিকেট ৫ টা কাটার জন্য দাম জিজ্ঞেস করলাম। ওনারা বললো এয়ারপোর্ট ৩৫ টাকা আর জসিমউদ্দিন ৪০ টাকা। আমরা সবাই এয়ারপোর্ট পর্যন্তই টিকিট কাটলাম । এরপর দেখলাম যে বাস প্রথমে ছাড়বে সেটা প্রায় ভরে গিয়েছে। তাই পরের বাসের জন্য অপেক্ষা করলাম। কিছুক্ষন পর সে বাস ছেড়ে গেলো। কিন্তু দুইটা বাসের মধ্যে কনফিউশন লেগে গেলো। কার সিরিয়াল আগে। আমার বন্ধুরা এক বাসের সামনে ছিলো। আমি অন্যবাসের সামনে। শেষে আমি যে বাসের সামনে ছিলাম সে বাস আগে যাবে বললো। আমরা সবাই বাসে উঠে উপরের তালায় চলে গেলাম। তারপর অপেক্ষা বাস ছাড়ার।
কিছুক্ষন পর বাস টিকিট চেক করতে আসলো। আমাদের ৫ টা টিকেটই এক সাথে ছিলো। তাই সেগুলো এক সাথে দেখালাম। সে পুরো টিকেট দুই ভাগ করে দিলেন। যাক ১০ মিনিট পর বাস ভরে গেলে ড্রাইভার বাস ছেড়ে দিলেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেস মূলত তৈরি করা হয়েছে জ্যাম থেকে বাচার জন্য। কিন্তু আমরা এলিভেটেড এক্সপ্রেস এ উঠার আগেই জ্যাম এ পরে গেলাম। যেটা ছবিতেই দেখতে পাবেন। যাক অনেক জ্যাম ঠেলে এক পর্যায়ে আমরা এলিভেটেড এক্সপ্রেস এ পৌছালাম। টোল দিয়ে বাস রউনা দিলো। খুব স্পিডেই ছুটছে বাস। আমি গুগল ম্যাপ এ দেখলাম দোতলা এই বাস ৬০-৬৫ কিলোমিটার বেগে যাচ্ছিলো। গতির লিমিট সম্ভবত ৭০-৮০। আমি ছবি তুললাম আর ভিডিও করলাম। ভিডিও গুলো অন্য এক পোস্ট এ শেয়ার করবো। আমি হিসাব করলাম টোলপ্লাজা থেকে এয়ারপোর্ট পৌঁছাতে ১২ মিনিট লেগেছে। যেটা সত্যি দারুণ ব্যাপার। সাধারনত মাঝে মাঝে জ্যাম এর কারণে এই রাস্তায় ২ ঘন্টাও লেগে যায়। খুবই মজার ছিলো আমাদের এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর এই জার্নিটা। এরপর অবশ্য আমি এয়ারপোর্ট থেকে রাস্তা পার হয়ে আমাদের খিলক্ষেত এর বাস ধরি।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.