সময় যেনো ব্যস্ততায় কেটে যায়......
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আমার দিন গুলো ভালো যাচ্ছে তবে খুবই ব্যস্ততার মাঝে কাটাচ্ছি। ব্যস্ততা এতোই বেশি যে নিজেকেও সময় দিতে পারছিনা। শরীরটা একদমই যেনো ছেড়ে দিচ্ছে। তবুও ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠতে পারছিনা কোনো ভাবেই। জানিনা এ ব্যস্ততার কবে শেষ হবে।
চাকরীতে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই আমি ব্যস্ত হয়ে যাই অনেক। কিন্তু সম্প্রতি এই ব্যস্ততা যেনো আমার ক্ষেত্রে আকাশ ছুয়ে গিয়েছে। যাই করিনা কেনো ব্যস্ততা যেনো কমাতেই পারছিনা। আর এর ইফেক্ট যেমন নিজের উপর পরেছে তেমনি পরেছে আমার স্টিমিট একটিভিটির উপর। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সুপার একটিভ লিস্ট এ থাকতে পারছিনা। কারণ সময় এর অভাবে একটিভিটি একদমই বৃদ্ধি করতে পারছিনা। নিজের শরীর এর কন্ডিশন তো বাদই দিলাম। সপ্তাহে ৬ দিন অফিস। একদিন শুক্রবার বন্ধ সেদিনও সময় নাই যে। ভার্সিটি থাকে সেদিন। সেদিন আরো ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠতে হয় আমার। তারপর তো ক্লাস আছেই। বাসায় আসতে আসতে বিকেল হয়ে যায়। এরপর একটুকু সময় পাই জিড়োতে। তবে জিড়োনি কি আর হয়। বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিতে যাই। সেই বাসায় আসতে আসতে সময় হয়ে যায় রাত ১০ টা। এরপর খাওয়া দাওয়া করে ঘুম দিতে হয়। কারণ আবার পরের দিন থেকে ডিউটি থাকে যে। এ যেনো গাড়ি চলতেছে তো চলতেছেই। থামার কোনো নাম নেই।
চাপটা খুব বেশি হতো না। হওয়ার কারণ হচ্ছে অফিস এর ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়া। আগে তো অফিস এ তেমন চাপ থাকতোনা। তবে এখন অনেক চাপ থাকে। তাই ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছে আমার। আগে তো আমি অফিসে বসেই পোস্ট করতাম। একটিভিটিও বৃদ্ধি করতাম। কিন্তু এখন চাপের পরিমান এতোই বেশি যে কি থেকে কি করবো খুজে পাচ্ছিনা। পোস্ট করবো নাকি একটিভিটি বৃদ্ধি করবো সেটাই ভেবে পাইনা। যে সময় পাই সে সময়ে দেখা যায় ৫ টা কমেন্টই করার সময় হয়না। এমনকি ইদানিং আমার প্রায় দিনই পোস্ট মিস যাচ্ছে। আর অফিস শেষে শরীরে পর্যাপ্ত এনার্জি থাকে না যে বাসায় যেয়ে পোস্ট লিখে পোস্ট করবো। কিংবা একটিভিটি করবো। তবুও করি। কারণ আমার বাংলা ব্লগ হচ্ছে ভালোবাসার যায়গা। একটিভ না থাকতে পারলে নিজের কাছেই খারাপ লাগে অনেক। তবুও ক্লান্ত শরীর নিয়েই মাঝে মাঝে রাত্রে পোস্ট করে থাকি আমি। তবে একটিভিটি আর করতে পারিনা। এ জন্যই তো অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছি।
অফিস এ এখন আমার ওয়ারেন্টির ব্যাপার গুলো ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করতে হয় তাছাড়া স্পেয়ার পার্টস এর বাজেট সম্পর্কে আমার সব কিছু চিন্তা করতে হয়। এতো বেশি সময় দিতে হয় যে সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয় আমার। এর জন্য অবশ্য পার্ফরমেন্স বিবেচনায় পুরষ্কার পেয়েছি অফিস থেকে। তবে তার তুলনায় চাপটা একটু বেশি যাচ্ছে আমার উপর দিয়ে। কবে জানি অসুস্থ হয়ে যায়। আসলে এমন চাপ নেওয়া কঠিন আমার জন্য। টানা চাপ পরে যাচ্ছে আমার উপর কয়টা মাস ধরে। সময় যেনো পাচ্ছিনা একদমই। জানিনা কবে ঠিক হবে সব।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মানুষের জীবন ব্যস্ততাময়। জীবনে ব্যস্ততার কোন শেষ নেই। যে যেখানে কর্মরত আছে তার সেখানে ব্যস্ততা রয়েছে। কর্মজীবনে যদি অফিসে ব্যস্ততা বেড়ে যায় তাহলে নিজের ব্যস্ততা বেড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম ভাই বেশ চাপে পড়ে গেছেন। তারপরও আপনি বেশি সময় দিয়েছেন কাজ করেছেন যার জন্য কিন্তু আপনি পুরস্কারও পেয়েছেন। এটাই হলো আপনার কাজের পুরস্কার।
জ্বি ভাইয়া। ব্যস্ততার পরিমান যেনো একটু বেশি হয়ে গেছে আমার জন্য।
ব্যস্ততা আজকাল সবারই বেড়েছে।আর যারা বাইরে যায় তাদের ব্যস্ততা আরো বেশি।অফিস,লেখাপড়া,আবার স্টিমিটে কাজ।আসলে একজন মানুষ সব জায়গাতে অ্যাক্টিভ থাকতে পারে না।আগে অফিসে চাপ কম থাকায় আপনি অফিসে বসেই পোস্ট লিখতেন।এখন অফিসে কাজের চাপ বাড়াতে আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে।তাইতো আপনি ক্লান্তি বোধ করছেন।আশাকরি ক্লান্তি কাটিয়ে আবার অ্যাক্টিভ থাকার চেষ্টা করবেন।ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু। খুবই ঝামেলা হয়ে যাচ্ছে আমার জন্য ।
আপাতত চাকরি করছি না কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমিও যাচ্ছি, খুব চেষ্টা করেও অ্যাক্টিভিটিস টা ধরে রাখা যাচ্ছে না। লিখতে ভালবাসি তাই পোষ্ট করা হয়, কিন্তু অন্য সকল এক্টিভিটি অনেকটাই কমে যাচ্ছে।
ঠিক বলেছো বন্ধু। চাইলেও এক্টিভিটি ধরে রাখতে পারছিনা।