শুক্রবার গেম খেলেই কাটলো!!!
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের। আমার তো যাচ্ছে বেশ। আজ সারাদিন খুব ভালোভাবেই গেম খেলে কাটিয়েছি। সাধারনত শুক্রবার ক্লাস থাকে ভার্সিটিতে। তবে আজ ক্লাস ছিলোনা। ছিলোনা বলতে কেম্পাসে ছিলোনা। ক্লাস গুলো হয়েছে অনলাইনে। তাই ভালো সময় পেয়েছি। এ নিয়েই কথা বলবো আজ।
শুক্রবার দিনটা কেমন যেনো অনেক ভালো লাগে। অনেক ভালো সময় কাটানো যায় যেমন। আবার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েও ভালো একটি সময় পার করা যায়। এমনিতে প্রতি শুক্রবার আমার সকালে ভার্সিটিতে ক্লাস থাকে। তবে দেশে যেহেতু রাজনৈতিক ঝামেলা চলছে, আর আমাদের ব্যাচ এর বেশির ভাগ চাকরিজীবী সাথে ঢাকার বাইরে অনেকেই থাকে। তাই কেউ ঝুঁকি নিয়ে ক্লাসে আসতে চাচ্ছেনা। দেখা গেলো ক্লাস করতে এসে আটকা পরলো। অফিস তো আর তা বুঝবেনা। যাই হোক। আমরা স্যার ম্যাম দের সব জানালাম। বললাম যে অনলাইনে হলে আমরা ক্লাস করতে পারবো। তবে কেম্পাসে যেয়ে সম্ভব না। অন্তত এই ঝামেলার সময়টায়। শুরুতে রাজি না হলেও ডিপার্ট্মেন্ট থেকে পরে রাজি হয়। ক্লাস না হলেই ভালো হতো। সেই এক ঘুম দিতাম। যাক এমনিতে প্রথম ক্লাস সকাল ৭ টা ৩০ থেকে হলেও ম্যাম বললেন ৮ টা ৩০ থেকে নিবেন। আমি সে অনুযায়ী এলার্ম দিয়ে রাখলাম। ক্লাস শুরু হওয়ার ঠিক ১০ মিনিট আগে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হতে চলে যাই। তারপর ক্লাস করা শুরু। এক এক করে ৩ টা ক্লাস শেষ করি। ১২ টা ২০ বেজে যায়। এরপর একটু বিশ্রাম নেই। এর মাঝে আবার কাপড় ভিজিয়ে রেখেছিলাম।
বিশ্রাম বেশিক্ষন নেওয়া হলোনা। কারণ সেই কাপড় গুলো ধুইতে হবে যে। ধুয়ে গোসল করে চলে গেলাম নামাজ পড়তে। নামাজ শেষে বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম সবাই মিলে। এবার আসে গেম খেলার পালা। গেম খেলতে ভালো লাগে আমার খুব। যদিও এখন আর ছোট নেই। তবে গেম খুব উপভোগ করি আমি। ফোনে বা পিসি তে গেম খেলতে ভালো লাগে খুবই আমার। প্রথমেই অফিস কলিগ দের নিয়ে বাস গেম খেলি। বাস সিমুলেটর ইন্দোনেশিয়া নামে একটি বাস গেম। সেটিতে রেস খেলা যায়। এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশন। তবে আমরা রেস থেকে বেশি উপভোগ করি মারা মারি। মানে বাস দিয়ে কেউ পাশ কাটিয়ে দিবে সেটা দেইনা। একজন আরেকজন রে চাপ দেওয়া হয়। এক একজন এক একজন রে মেরে উল্টিয়ে দেই। হাহা সেই মজা হয়। বেশির ভাগ সময় আমি এগিয়ে থাকি। তবে আমার কলিগ একজন একবার এগিয়ে যাইতে পারলে তুরাগ বাস এর মতন হয়ে যায়। যাক সে গেম শেষ করে একটু ঘুম ঘুম লাগছিলো। তখন ফোন রেখে ঘুমাতে যাবো আর আমার এক বন্ধুর কল। সে পাবজি খেলার জন্য ডাকলো।
এরপর আর কি। না ঘুমিয়ে পাবজি তে চলে গেলাম। পাবজিতেও বেশ মজা হলো। অনেক গুলো ম্যাচ খেললাম। একটি বাদে সব গুলো ম্যাচ ই চিকেন ডিনার পেয়েছিলাম। চিকেন ডিনার মানে চিতেছিলাম আরকি। কিল ও ভালো ছিলো। তবে বেশি মজা হয়েছিলো। শেষে আমি আগেই শেষ হয়ে যাই। আমার টিম এর দুজন সার্ভাইব করে। এর মধ্যে একজন আমার ফ্রেন্ড ছিলো। তো ও একটা এনিমিরে মারার ট্রাই করে অনেক্ষন ধরে। কিন্তু পারেনা। শেষে ওর গুলি শেষ হয়ে যায়। মাত্র ২৪ টা বুলেট ছিলো। সেটা দিয়েই শেষে মারতে যায়। তখন সে গান এর বুলেট শেষ। অন্য গান ছিলো স্নাইপার। তখন সেটার একটা ফায়ার দিয়ে শেষ এনিমিটাকে মেরে ফেলে। আমরাও চিকেন ডিনার পেয়ে যাই।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পাবজির ঐ চিকেন ডিনার টা বাস্তবে আসলে কতই না ভালো হতো হা হা। ব্যাচেলরদের এই কাপড় ধোয়ার ঝামেলা টা নিতে হয়। এটা আমি বেশ ভালোভাবে জানি। আমার কাছে এটা বেশ বিরক্তিকর। রাজনৈতিক অবস্থার জন্য অনলাইন ক্লাস। কিছু করার নেই ভাই। সবাই পরিস্থিতির স্বীকার। আর বাকি সময় টা কেটেছে আপনার গেমস খেলে তাহলে।
যথার্থ বলেছেন। তাহলে তো লাল এ লাল হয়ে যেতাম। চিকেন খেয়েই ঘুমাতে যেতে পারতাম প্রতিদিন।