চাঁদপুর এর পথে আমি........... পর্ব: ২
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আবহাওয়াটা কিন্তু জোশ। এই রোদ তো এই বৃষ্টি। সব মিলিয়ে দারুন। তবে বেশি ভালো লাগে ঢাকা শহর এর রাস্তায়। এখনো তেমন জ্যাম হয়ন। কয়দিন পর সব পুরো দমে খুলে গেলেই শুরু হবে মরার জ্যাম। তো যাই হোক। দুইদিন আগে আমার চাঁদপুর যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছিলাম। আজ থাকবে এর ২য় পর্ব। আগেই দুঃখ প্রকাশ করে নিচ্ছি। কারণ বৃষ্টির জন্য কোনো ছবি তুকতে পারিনি। তবে পরের পর্বে অনেক সুন্দর ছবি দেখতে পাবেন।
সেদিন এতো পরিমানেই বৃষ্টি হচ্ছিলো যে আমি প্রায় ৮০% ভিজে যাই। একদম উপরে উঠে গেছিলাম যাত্রী ছাউনির তবুও পার পাইনি। দ্রুতো আমার ব্লুটুথ ইয়ারফোন টা ব্যাগে ঢুকাই রাখি। কারন বৃষ্টিতে ভিজলে সমস্যা হতে পারে। যদিও এটা ওয়াটার স্ল্যাস প্রুফ ছিলো। তবে সাবধানের মার নেই। ছাতা কেনার ট্রাই করলাম। কিন্তু ব্যর্থ আমি। এই দামে ছাতা কিনা লস প্রজেক্ট৷ আর বড় কথা হচ্ছে বাসে উঠতে পারলে ছাতার কাজ নেই আর। তাই ভাবলাম ভিজে তো গেছিই তাই আর ছাতা কিনবো না। একটু পর দেখলাম বাস এসে ডাকতেছে ১০০ করে সদরঘাট পর্যন্ত। নরমাল ভাড়া হচ্ছে ৪৫ টাকার মতন। যাক ওটায় উঠলাম না। নামতে নামতে সামনে চলে গেছে। বুঝেন এবার বৃষ্টি থেকে বাচতে কত স্ট্রাগল করেছি। যাক এর পরের বাসে উঠে গেলাম। সামনের দিকেই বসলাম।
ওরা বললো ডিরেক্ট যাবে৷ কিন্তু রাস্তায় বার বার দাড়াচ্ছিলো। তাই মেজাজ খারাপ হচ্ছিলো খুব। আমি শুরুতে ভাড়া দেইনি। বললাম শেষে দিবো। কারণ ওরা বহুত খারাপ। একটু পর কম ভাড়ায় লোক উঠাবে। এইদিকে রাস্তায় একটু পর পর ব্রেক করছিলো। বাসের সবাই খেপে যাচ্ছিলো। কেউ তো ১০০ করেও ভাড়া দিতে চাচ্ছিলোনা। আমার কাছে আবার আসলে এবারও দেইনি। বাসে খুব চিল্লাচিল্লি হচ্ছিলো। শেষে আমি ভাড়া দিয়ে দিলাম ১০০ টাকাই। তো গুলিস্থান নামলাম। একটু হেটে সামনের দিকে গেলাম। অনেক ভিড় ছিলো সামনে এগোতেই কষ্ট হচ্ছিলো। রিকশাওয়ালা কে জিজ্ঞাস করলাম সদরঘাট কত। বললো ১৫০ টাকা। যেখানে বাস ভাড়া মাত্র ১০ টাকা। তাই একটু অপেক্ষা করে ভিড় ঠেলে বাসে উঠলাম। সিট ও পেয়ে গেলাম পেছনে। ভাড়া চাইলো ২০ টাকা। যেহেতু ঈদ দিতেই হলো। দিলাম ও। ভিড় থেকে তো বাচা গেলো।
একটু পর ভিক্টোরিয়া পার্ক এর ওখানে পৌছে গেলাম৷ ড্রাইভার তার সুবিধার জন্য একটু সামনের দিকে নিয়ে গেলো। যদিও এতে আমারই সুবিধা হয়েছে। একটু কম হাটতে হবে আরকি। তবে কম হাটা থেকেও বাচতে রিকশা জিজ্ঞেস করলাম। চাইলো ১০০ টাকা। যেখানে ২০ টাকা ভাড়াই বেশি। আমি রেগে বললাম ২০০০ টাকা চাও মামা। এরপর আর কি হেটেই রউনা দিলাম। রাগ ঝাড়তে ঝাড়তে। আমার সাথে এক চাচাও যুক্ত হলো। আমি বললাম সুযোগ পেলে এ দেশে রিকশাওয়ালা মামা রাও দুর্নীতি করে। এরপর একটু সামনে যেয়ে এক বিরিয়ানির দোকানে ঢুকলাম। সেখানে তেহারি খেলাম ২ প্লেট৷ এরপর আবার সদরঘাট এর উদ্দেশ্যে রউনা দিলাম।
আজ এই পর্যন্তই বাকি সব ৩য় পর্বে জানাবো। ততদিন ভালো থাকবেন সবাই।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.