ঈদে বাড়ি ফেরা || স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব ঈদে বাড়ি ফেরার অনুভূতি। আশা করি সবাই পাশে থাকবেন তো কথা না বাড়িয়ে শুরু করছি।
আপনাদের আগেই বলেছিলাম যে এবারের ঈদ খুব সাদামাটা। আমার ঈদের দিনও মনে হয়নি যে আজকে ঈদ। কারণ কেমন জানি সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। ঠান্ডা ছিল। এভাবেই চলছিল আমার ঈদের দিন।আগের একটি পোস্টে বলেছিলাম যে অন্যান্য বার ঈদের সময় কত মজাই না করতাম। ঈদের আগে হাটে যেতাম সকালে পশু কোরবানি দেখতাম। কিন্তু এবার এসবের কিছুই হয়নি কারণ অসুস্থ ছিলাম। তো যাই হোক ঈদের পরের দিনও গ্রামে যাওয়া হয়নি কারণ ঠিক করিনি তখনও। হঠাৎ নানু ফোন দিল তারপর ডিসাইড করলাম যে বাড়িতে গিয়ে ঘুরে আসা যায়। যেই ভাবা সেই কাজ ঈদের তৃতীয় দিন সকালে ঠিক করলাম যে আজকে গ্রামে যাব। ব্যাগ গোছালাম তারপর ঠিক করলাম যে কিছু ঈদের নাটক নামিয়ে নিতে হবে ফোনে। সে হিসেবে অনেকগুলো ঈদের নাটক ডাউনলোড করে ফোনে ঢুকালাম তারপর গোসল করে রেডি হয়ে রওনা দিলাম।
খুব বেশি একটা ভিড় ছিল না। বাস স্ট্যান্ড গিয়ে দাঁড়াতে বাস পেয়ে গেলাম। উঠে দেখলাম যে সিটও আছে। তাই সিট নিয়ে বসে পড়লাম তারপর অপেক্ষা সদরঘাট পৌঁছাবার। মাঝে এসে হেলপার ভাড়া নিয়ে গেল ভাড়া পরিশোধ করে আমি দিলাম এক ঘুম। এক ঘুমে আমি সদরঘাট পৌঁছে গেলাম। বাস থেকে নেমে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে লালকুঠির ঘাটে পৌছালাম কারণ লালকুঠির ঘাট থেকে চাঁদপুরের লঞ্চ ছাড়ে।
খুব তেমন বেশি একটা ভিড় ছিল না। আমি সামনে যেয়ে ঘাটে ঢোকার টিকিট কিনলাম। দশ টাকা করে টিকিট গুলো। তারপর নামতে নামতে নিচে চলে গেলাম। নিচে বলতে ঘাটে আর কি।সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেকগুলো সারি সারি লঞ্চ দাঁড়ানো। আমি দেখলাম যে আমার হাতে যে সময় আছে সেই সময় অনুযায়ী একটি লঞ্চ পারফেক্ট। আমি যখন এগোই তখন বেঁচে ছিল একটা আর সামনে ছিল ময়ূর ৭ লঞ্চ এটি দেড়টা বাজে ছাড়বে সুবিধা হল তাই উঠে গেলাম। উঠেই সামনে গিয়ে দেখলাম যে লঞ্চ মোটামুটি ভালোই ফাঁকা আমি ভিতরে ঢুকে সিটের টিকিট কিনে নিলাম একটি। লোকটিকে বললাম যে যাতে সাইডের সিট দেয়। লোকটি খুব ভালো ছিল। আমাকে পুরো সাইডে সিট দিয়ে দিল।।
লঞ্চে তুলনামূলক ভিড় অনেক কম ছিল অন্যান্যবার থেকে। আমার আশেপাশের সিটগুলো শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। আমার পাশের সিট খালি ছিল আমি সেটিতে ব্যাগ রাখলাম। ভাবলাম কেউ যদি আসে তখন না হয় সিট ছেড়ে দিব কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ আসেনি বরাবর দেড়টার সময় লঞ্চ ছেড়ে । এবার অপেক্ষার পালা চাঁদপুরে পৌঁছানোর। আমি অনেক গুলো মুভি নামিয়ে এনেছিলাম যার ভেতর ডোরেমনের মুভি ছিল। আমি একটি মুভি দেখতে শুরু করলাম লঞ্চ চলার পর ভালই বাতাস হচ্ছিল। যদিও উপরে ফ্যান ছিল। মুভি দেখতে দেখতে ১ঘন্টা চলে যায়। মাঝে দিয়ে বুটওয়ালা আসে। আমি ১০ টাকার বুট কিনি। খাইতে দারুন লাগে। খেতে খেতে যাচ্ছিলাম। তারপর হঠাত ভালোই খুদা লেগে যায়। আমি লঞ্চ এর ক্যান্টিন এ চলে গেলাম।
লঞ্চের ক্যান্টিনে সেখানে জাতীয় খাবার পেলাম। সেটি হচ্ছে ডিমের স্যান্ডউইচ ৪০ টাকা করে নিল। আমি প্রথমে স্যান্ডউইচ খেলাম। তারপর ১৫ টাকা দিয়ে এক কাপ চা খেলাম। দুইটাই আমার কাছে বেশি মনে হলো দাম। অবশ্য বেশি মনে হওয়ার কিছু নাই কারণ এই দামেই সব সময় খেয়ে আসতেছি। তারপর আমি লঞ্চের ভিতর থেকে নদীর কিছু ছবি তুললাম লঞ্চের সাথেও কিছু ছবি তুললাম। লঞ্চ থেকে নদী পরিবেশ দেখতে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে আকাশটা ছিল খুবই পরিষ্কার আমি অনেকগুলো ছবি তুলেছি তার থেকে কিছু ছবি দিলাম নিচে দেখুন-
এভাবে একটা সময় আমি চাঁদপুর পৌঁছে গেলাম তারপর লঞ্চ থেকে নেমে গেলাম। তারপর সেখান থেকে হঠাৎ করে কালী বাড়ি চলে আসলাম সিএনজি নিয়ে সোজা বাড়িতে চলে আসলাম। তো এই ছিল আমার বাড়ি ফেরার অনুভূতি। কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ সবাইকে।
অনেকদিন আগে একবার লঞ্চে উঠেছিলাম।সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল ভাই। ধন্যবাদ আপনার যাত্রাবিবরণ শেয়ার করার জন্য।
লঞ্চে জার্নি খুব ভালো লাগে.
আসলেই এই ঈদটা সাদামাটাই গিয়েছে আমাদের, লঞ্চের ভিতর ছবিগুলো বেশ চমৎকার ছিল এবং বাইরের পরিবেশটা অসাধারণ সুন্দর ছিল। সাবধানে থেকো বন্ধু আবার দেখা হবে ঢাকা ফিরলে সে সময় পর্যন্ত সুস্থ থাকো।
হ্যাঁ বন্ধু এসে গেছি দেখাও হয়েছে ভালোই লেগেছে.
ঈদের আগে খবরেও শুনেছিলাম এবার নাকি লঞ্চ অনেকটাই ফাঁকা আর যাত্রীরা যাতায়াতে অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে। মাঝ নদীতে এসে ডিমের স্যান্ডউইচ খাওয়ার ফিলিংস টা বেশ ভালোই ছিল মনেহয়। যদিও আমি কখনো লঞ্চে ভ্রমণ করিনি তবে ইচ্ছা আছে।
আপনার ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে কোরবানি ঈদের এই সময়টা লঞ্চের ভিড় খুব কম থাকে তাই আমিও খুব কম ভিড় পেয়েছি।