গরমের তীব্রতা ও সমস্যা গুলো......
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? জানি গরমে তেমন ভালো যাচ্ছেনা। আসলে গরম আবহাওয়া আমাদের জেঁকে ধরেছে। গরম আবহাওয়া আমাদের খুবই ভালোবাসে। তাই তো ছেড়ে যেতেই চাচ্ছেনা। আর যাবেও না সহজে। আমরা পরিবেশের যে হাল করেছি। তা এখন পরিবেশ প্রতিশোধ নিয়ে নিচ্ছে। আজ লিখবো গরম নিয়েই।
বর্তমান আবহাওয়ায় গরমের তীব্রতা অনেক। কোনো ভাবেই গরম থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছেনা। দিন দিন যেনো গরমের এই তীব্রতা আরো বেড়েই চলেছে। এর থেকে যেনো নিস্তার নেই একদম । আমার অফিসের কথাই যদি বলি। সকালে বাসা থেকে বের হই সকাল ৮ টা ২০ এ। কিন্তু এই সময়ে রোদের যে তাপ অনুভুত হয় মনে হয় যেনো দুপুর হয়ে গিয়েছে। জিনিশটা এভাবে বলা যায় যে এখন আর সকাল হয়না। রাত পোহালে দুপুর হয়ে যায়। আরে ভাই আমি শুধু গ্যারেজ থেকে বাইকটা বাইরে বের করে গেট তালা মারতে যাই। এসে দেখি সকালের এই রোদেই সিট গরম হয়ে গিয়েছে। আর রাস্তায় যে গরমে কি অসহ্য লাগে তা বলে বুঝাতে পারবোনা। গরমে তো শরীর চুলকাতে শুরু করে। শরীর তো তাও বাইকে বসে চুলকানো যায়। সমস্যা হয়ে যায় মাথায় চুলকানি আসলে। কি এক যে ঝামেলায় পরতে হয় তখন তা বলে বোঝানো সম্ভব না। আজ আমার সাথে দুইবার এমন হয়েছে। একবার বাইক সাইড করে মাথা চুলকিয়েছি আরেকবার তো জ্যামের মাঝে আটকা পরছি আর। মানে বাইক একটু একটু সামনে এগোচ্ছে। তাই মাথাও চুলকাতে পারছিলাম না। কি যে যন্ত্রণা হচ্ছিলো সেটা আমিই জানি।
এ তো গেলো রাস্তায় পাগল হওয়ার গল্প। এবার আসি অফিস এর কাহিনী নিয়ে। অফিসে আমি যে রুম এ বসি সেখানে এসি নেই। তবে ৩ টা ফ্যান আছে। উপরে দুইটা। আর সাইডে একটা টেবিল ফ্যান। ৩ টা ফ্যানই চলে আমার কক্ষে। ট্যাবিল ফ্যান টা আমার দিকেই ঘোরানো থাকে। কিন্তু তবুও আমি ঘামতে থাকি। মানে একটার পর একটা টিসু নিয়ে কপালের ঘাম মুছেই চলেছি। আর একটু পর পর তো পানি ঝাপটা মেরে আসতেছি। অসহ্য লাগে একদম। আমি আমার এসিস্ট্যান্টকে বসিয়ে একটু পর পর ওয়েটিং রুম বা রিসিপশন এ যাই। রিসিপশনে গেলে সবাই ভাবে সেখানের মেয়ে কলিগ এর সাথে লাইন মারতে গিয়েছি। কিন্তু ভাই আমি তো জানি আমি একটু ঠান্ডা হতে সেখানে যাই। কিন্তু আফসোস কেউ এটা বুঝলোনা। সবাই সুধু ভুল বুঝে আমাকে। কয়দিন পর করবো বিয়ে আর মানুষ কি ভাবে। যাক কোথায় যেনো ছিলাম? ওহ হ্যা গরম লাগে। গরম তো গরম এক তীব্র গরম। এমন গরমে সত্যি টিকে থাকা মুশকিল ।
আরো এক তীব্র গরম লাগে দুপুরে খাবার খাওয়ার পর। আর ঐ গরমে মনে হয় শরীর জলে যাচ্ছে। আর তখন মনে হয় দুনিয়ার সব কষ্ট যেনো আমার কাছে চলে এসেছে। সত্যি খাওয়ার পর কেমন এক অসহ্যকর গরমে শরীর পুড়ে যায়। আমার মনে হয়না আর কিছু বছর পর মানুষ সব এসি ছাড়া থাকতে পারবে। এখনই যে গরম। সহ্য করা কষ্টকর। আর এই গরম তো দিন দিন বাড়বে। সামনের বছর গুলোতে যে গরমের তীব্রতা অনেক থাকবে তা বুঝাই যাচ্ছে । পরিবেশ এর এমন বিরূপ আচরনের জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। গাছ নিধন করতে করতে এখন গাছ খুজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে উঠেছে। হয়েছে মেট্রোরেল হয়েছে এলিভেটেড এক্সপেস হয়েছে ফ্লাইওভার। কিন্তু তা হতে গিয়ে যে পরিমান গাছ নিধন করা হয়েছা তার খবর আমাদের নাই। এভাবেই বাচতে হবে।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
ভাই কি এই লেখায় ক্যাজুয়ালি বিয়ের সংবাদ জানায় দিলেন নাকি? 🤓 কবে ভাই?? কবে???
যাই হোক, লোকের কাজ ই খালি ভুল বোঝা ভাই। এই যে এত সুন্দর এক্সপ্লেইন করে বলে দিলেন কারণ, তবুও এখানেও কিন্তু মানুষ ভুল ই বুঝবে 🤭। আর এই কথাটা সত্য বলেছেন, এখন যেন আর সকাল হয় না৷ রাতের পর সরাসরি দুপুর হয়ে যায় রোদের!! এই অবস্থা কি আদৌ ঠিক হবে!?
আসলে এই সমস্যাটা আমার কাছে মনে হয় আমাদের নিজেদের জন্যই হয়েছে। আমরা নিজেরা গাছ কেটে ফেলছি আর এই কারণেই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গরমের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যেতে শুরু করেছে। কি যে বলেন ভাই এসি ব্যবহার করাটা তো অনেক ব্যয়বহুল ব্যাপার তাই চাইলেও সাধারণ মানুষগুলো এটা ব্যবহার করতে পারবে না। আর এটা ব্যবহার করা যে স্বাস্থ্যসম্মত সেটাও আমার কাছে মনে হয় না।
ভাইয়া কবে বিয়ে করতেছেন? আমাদেরকে দাওয়াত দিতে ভুলবেন না কিন্তু। তবে এটা ঠিক ভাইয়া গরমের কারণে কোন খানেই শান্তি নাই। সব জায়গাতেই অশান্তিতে ভরা। সমস্যা আর সমস্যা। কি আর করার এভাবেই সময় পার করতে হবে।
এই গরমে অতিষ্ঠ সবাই। আপনার অফিসের রুমে তিনটি ফ্যান এবং টেবিল ফ্যানটি আপনার দিকে মুখ করানো থাকা সত্ত্বেও আপনি ঘামাতে থাকেন। এ উত্তপ্ত রোদে যারা রাস্তায় কাজ করে তাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে আছে সেটি বিবেচ্য বিষয়। যাইহোক একটি সুন্দর পোস্ট উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।