আমার ঈদ এর দিন || সাদামাটা এক ঈদ
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। আমার পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদ মোবারক। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ঈদের দিনের কাহিনী। কিভাবে ঈদের দিন কাটালাম এই নিয়ে আমার আজকের পোস্ট।
এবারের ঈদ যেন আমার কাছে সব থেকে আলাদা লাগলো। প্রতিবার কতই না মজা হয়।কিন্তু এবার একবারে সাদামাটা একটি ঈদ গেল।কেন সাদামাটা বললাম সেটিও এখন আপনাদের বলব। ঈদের কিছুদিন আগে আমি আমার এক বন্ধুর ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলাম তো সেখান থেকে এসেই অসুস্থ হয়ে পরি। জ্বর ঠান্ডা লেগে একবারে অবস্থা কাহিল। এই জন্য এবার আর আমার হাটে যাওয়া হয়নি। অথচ অন্যান্য বার কতবার যে পশুর হাটে যাওয়া হতো। যদি বুঝিয়ে বলতে চাই তাহলে বলতে হয় বুঝ হওয়ার পর থেকে এমন কোন কুরবানী ঈদ যায়নি যেবার আমি হাটে যাইনি। এবারই প্রথম অসুস্থতার কারণে আমি হাটে যেতে পারলাম না।
অথচ অন্যান্য বার একা এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে কতবার যে হাটে যাওয়া হতো। ভালোই লাগতো ঘুরতে হাঁটে। যাক ব্যাপার ছিল না অসুস্থতা তো আর আমার হাতে না। হয়তো সৃষ্টিকর্তাই চাইনি। এবার যেতে পারিনি সমস্যা নাই আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে সামনের বার যাবো। তো চলুন এবার আমার ঈদের দিনের কাহিনী শেয়ার করি।
ঈদের দিন সকাল ছয়টার দিকে আব্বু আমাকে ঘুম থেকে তোলে। আমার প্রচুর জ্বর ছিল প্রায় ১০৩ এর কাছাকাছি। যেমন মাথাব্যথা ছিল তেমন ছিল শরীর ব্যথা। তবুও কি করা ঈদের জামাত তো পড়তেই হবে। তাও আমি একটু দেরি করেই উঠলাম ঘুম থেকে। দেরি করে বলতে খুব বেশি না ১০ থেকে ১৫ মিনিট। উঠে ধীরে ধীরে গিয়ে ফ্রেশ হয় গোসল করে নিলাম। তারপর নামাজ পড়ার জন্য রেডি হয়ে গেলাম। কিন্তু অর্ধেক যেতেই শুনি ইমাম সাহেব তিন তাকবীর দিয়ে সুরা ফাতিহা পড়া শুরু করে দিয়েছে। কি আর করা আমি চললাম অন্য মসজিদের দিকে। মাঝে দেখা হয়ে গেল আমার এক বন্ধুর সাথে। ওকে বললাম যে বটতলা মসজিদে নামাজ শুরু হয়ে গেছে তারপর দুজন মিলে অন্য মসজিদে চলে গেলাম।
সেখানে নামাজ পড়লাম দুই বন্ধু মিলে তারপর সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম। অনেকেই কোলাকুলি করতে ছিল। কিন্তু আমার কোলাকুলি করার মত শক্তি ছিল না। আমি আর আমার বন্ধু রওনা দিলাম বাসার দিকে। । বন্ধুর বাসার কাছাকাছি আসার পর ও আমাকে জোর করে ওর বাসায় নিয়ে গেল সেখানে আন্টি আমাকে সেমাই দিল। যে সেমাই দিয়েছিল সেটা আমার সবথেকে ফেভারিট, কিন্তু জ্বর মুখে সেটাও ভালো লাগতেছিল না। কি আর করা খেয়ে নিলাম তারপর সেখান থেকে বাসার দিকে রওনা দিলাম। বাসায় এসে দিলাম এক ঘুম কারণ জ্বর বাড়তে ছিল আবার মাঝে আমু খাবার দিল সেটা খেয়ে নিলাম তারপর ঘুমিয়ে গেলাম। মাঝে খালামণিকে ফোন দিলাম উনি বলল উনার বাসায় যেতে তো আমি ভাবলাম ১২ টার দিকে যাবো। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখি সাড়ে বারোটা বেজে গেছে দ্রুত তৈরি হয়ে নিলাম। এই প্রচন্ড জ্বর নিয়ে চলে গেলাম খালামনির বাসায় খালামণি সেখানে নাস্তা দিল খেয়ে নিলাম তারপর অপেক্ষা করতে থাকলাম। একটু পর খালামণি গোশত নিয়ে আসলো খিচুড়ি দিয়ে জ্বর মুখেও খুব স্বাদ লাগলো খিচুড়ি। খাওয়া শেষে খালামণি আমাকে ঈদের সালামি দিলো ৫০০ টাকা। তারপর আমি সেখান থেকে বিদায় নিয়ে বাসার দিকে চলে আসলাম।
বাসায় এসে জ্বরের ওষুধ খেয়ে ঘুম দিলাম আবার এক ঘুমে সন্ধ্যা হয়ে গেল। তারপর বন্ধুদের কল করার ঘুরতে বের হবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও রেডি হয়ে গেল কারণ বন্ধুরা বলেছে যেতে তো হবেই। যদি মনটাও একটু ফ্রেশ হয়। এমনি জ্বরে সারাদিন বাসায় থেকে বিরক্ত হয়ে গেছি। তারপর বন্ধুরা মিলে চলে গেলাম গাড়ি নিয়ে ভাসমান রেস্টুরেন্ট এ। সেখানে সবাই মিলে আড্ডা দিলাম। খাওয়ার মত তেমন কিছু ছিল না শুধু মালাই চা খেলাম সবাই মিলে তারপর বাসায় চলে আসলাম দুই একটা ছবি তুলেছিলাম সেখানে সেগুলো একটু পরে দিচ্ছি। তো এই ছিল আমার ঈদের দিনের কাহিনী। খুবই সাদামাটা একটি ঈদ অন্যান্য বার কোরবানি ঈদে অনেক মজা হতো। ঈদের আগে হাটে যেতাম ঘুরে বেড়াতাম, ঈদের দিন পশু কোরবানি দেখতাম। এবার তা কিছুই হয়নি কারণ একটু শরীর খারাপ। যাক ভালো থাকবেন সবাই।
আসলে সত্যি কথা বলতে ভাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে যেন ঈদের আনন্দ গুলো চলে যায়। আমার ক্ষেত্রে সেম অবস্থা হয়েছে। ছোটবেলায় ঈদের আনন্দ যেন শেষ হতো না। কুরবানী কেনা থেকে শুরু করে ঈদের দিন পর্যন্ত ঈদের শেষ পর্যন্ত কত আনন্দ হইতো। আসলে সেই মজাটা এখন আর পাই না। যাই হোক ঈদের মুহূর্ত গুলো পড়ে ভাল লাগল ভাই। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এটা ঠিক ভাই। তাও দেখা গেলো প্রায়ই যাওয়া হতো অন্যান্য বার। কিন্তু এবার একটি বারের জন্য ও গেলাম না।