বন্ধুদের জন্ম দিন সারপ্রাইজ || মনে রাখার মতন জন্মদিন ছিলো আমার।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আমি অবাক করা জন্মদিন পালন এর অনুভূতি শেয়ার করবো। গতকাল ছিলো আমার জন্মদিন। আর গতকাল রাতেই বন্ধুরা আমাকে সেই সার্প্রাইজ দেয়। আমি রিতিমত অবাক হয়ে যাই। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর ছিলো আমার জন্মদিন। রাতেই আমি সবার প্রথম সারপ্রাইজ পাই আমার আম্মু এবং ছোট ভাই হতে। ঠিক রাত ১২ টার দিকে আম্মু দেখি পিছন থেকে ডাক দিয়ে শুভজন্মদিন বলে কেক নিয়ে দাঁড়িয়ে। আমি তো অবাক হয়ে যাই। তারপর কেক কাটলাম সবাই মিলে। এইদিকে ফেসবুকেও অনেকে উইশ করছিলো আমাকে। খুব ভালোই লাগছিলো আমার। তো ঘুমাই গেলাম। সকাল বেলা উঠে সারা দিন নরমালি গেলো। যারা যারা উইশ করছিল তাদের মেসেজ এর জবাব দিচ্ছিলাম। তো ঠিক করলাম জন্মদিন যেহেতু বন্ধুদের নিয়ে মোগলাই পরোটা খাবো। তবে বিকেলে হঠাৎ শুভ বললো যে ওর বাইক ঠিক করতে যাবে আমিও সাথে যেতাম। ভাবলাম যেহেতু ওরা সন্ধ্যায় আসবে তাই ঘুরে আসি একটু। চলে গেলাম। কিন্তু কে জানতো গিয়ে আটকা পরবো। বাইক ঠিক করে আসতে আসতে আমাদের অনেক দেড়ি হয়ে যায়। প্রায় ৯ টা বেজে যায় রাত। দুইটা হোটেল খুজলাম দেখলাম যে কোনো হোটেলেই চুলো জলছিলোনা। পরে একটা হোটেল পেলাম। ৪ টা মোগলাই পরোটা অর্ডার করলাম। আমার বন্ধু জুবায়ের আর প্লাবন শুভোর বাইক নিয়ে কি যেনো টি শার্ট আনতে গেলো প্লাবন এর।
এইদিকে তো মুঘলাই রেডি হয়ে গেলো। ওরা দুজন এর আসার নাম নাই। কি এক বিপদ। সাথে আমাদের আরেক বন্ধুও আসেনি এখনো। তাই ৩ জন এর জন্য একটি মোগলাই পরোটা রেখে দিলাম এক প্লেটে। এইদিকে আমাদের খাওয়া শেষ হয়ে গেলো। ওরা তো আর আসেনা। ফোন দিলাম। বললো ১ মিনিট। কিন্তু দোকানে এতো গুলো চেয়ার কি আর দখল করে বসে থাকা যায়। বুদ্ধি করে ওদের খাবার গুলো পার্সেল করে নিলাম। সাথে আমার বাসার জন্য একটি মোগলাই পার্সেল করে নিলাম।
আমরা সবাই আমাদের দোকানের এইদিক চলে আসলাম। আসার পর দেখলাম ওরাও চলে এসেছে বাইক নিয়ে। হাতে দেখলাম প্যাকেট। ভাবলাম সেখানে প্লাবন এর টি শার্ট। তো প্লাবন আমাকে বাসায় নিয়ে গেলো কোক কেনার জন্য। মানে আমাদের দোকানের কোক গুলো আমাদের বাসাতেই থাকে। তো বাসা থেকে কেক এনে আমি আমার কানাডার এক বন্ধু শাকিল কে কল দিচ্ছিলাম। ও কল দিতে বলেছিলো। তখনই পিছন থেকে আচমকা স্নো স্প্রে দিয়ে আমাকে ভরিয়ে দেওয়া হয়। আমি তো পুরা অবাক। সবাই জন্মদিন এর উইশ করছিলো আর একজন তো আমাকে পুরো মাখিয়ে দিয়েছে। দেখলাম ওরা কেক নিয়ে হাজির। মানে বাইক দিয়ে যে গিয়েছিলো সেটা আসলে কেক এনে আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য।
তারপর সবাই মিলে কেক কাটলাম। ওরা আমাকে কেক খাওয়াই দিলো সবাই। আমি আমার আব্বু আম্মু ভাই কে কেক খাইয়ে দিলাম। সত্যি আমার কাছে সেই মুহূর্তটা খুবই আনন্দের লাগছিলো। আমি ভাবিনি যে এমন একটি উৎযাপন হবে আমার জন্মদিন। সত্যি এমন বন্ধু গুলা পেয়ে আমি সত্যি ভাগ্যবান। ওরা সবাই আমাকে চমকে দিয়েছিলো সব কিছু ছিলো মনে রাখার মতন। আমার জীবনের সেরা একটি জন্মদিন উৎযাপন বলা যায়। কেক মাখা মাখি সহ আরো কত মজা যে করেছি সবাই মিলে।
মনে রাখার মত একটি দিন কাটিয়েছি সেদিন। বন্ধুরা মিলে কতই না মজা করেছি। এমন দিন গুলোই যেনো স্মৃতি হয়ে রয়ে যায় । এমন কিছু ঘটনাই যেনো আমাদের জীবনকে করে তোলে মজার। সত্যি এমন বন্ধু থাকলে আরকি লাগে বলুন? বন্ধুরাই ত সব। আনন্দে কষ্টে বন্ধুরাই তো এগিয়ে আসে। এটিরই নিদর্শন এটি। গতকাল বন্ধুরা মিলে অনেক অনেক ছবি তুলেছি। তার কিছু ছবি দিলাম আপনারা দেখুন।
আমার মুখে কেক এর ক্রিম লাগিয়ে কলা লিখে দিচ্ছিলো আমার বন্ধু জুবায়ের। কারণ আমরা কলা গ্যাং এর সদস্য। হেহে এটা আমদের বন্ধু মহল এর একটা নাম বলা যায়। এটা নিয়ে মজার একটা ঘটনা আছে। ক্লাস ৮ এ থাকতে একবার একটা গান গেয়েছিলাম- ওই রাজু পেয়ার না কারিও। তারপর সেই গান আমার বন্ধু বললো - ওই রাজু কলা না খাইও। তারপর থেকে কলা নাম টা প্রচলিত। ভালোই লাগে আমার।
মুখে কেক এর ক্রিম লাগিয়ে দেওয়ার পর যখন সবাই আমার ছবি তুলে তখন আমি ভিক্টোরি সাইন দেখিয়ে পোজ দিয়েছিলাম।
সব বন্ধুরা মিলে যখন ছবি তুললাম।
তো এই ছিলো আমার জন্মদিন উৎযাপন এর গল্প। আরো অনেক মজার মজার ছবি ছিলো । যেগুলো দিলে পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই আর শেয়ার করলাম না। পারলে সেগুলো আলাদা একটি পোস্ট এ শেয়ার করবোনে। সেদিন পোস্ট এ শুধু ছবি থাকবে। তো ভালো থাকবেন সবাই। দোয়া করবেন আমার জন্য।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

Hello friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
ভাই আপনার কেকের উপরে রাজু কলা গ্যাং লেখাটি দেখে একটু অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। রাজু নামের পরে কলা গ্যাং আবার কি ধরনের নাম। পরে অবশ্য আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম এটি একটি মজার ঘটনা থেকে কলা গ্যাং নামটি এসেছে। যাইহোক ভাইয়া, আপনার জন্মদিনে আপনার সকল বন্ধুরা মিলে খুবই সুন্দর সারপ্রাইজ দিয়েছে। জন্মদিনের সারপ্রাইজ দিতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। তাই আপনার বন্ধুদের সারপ্রাইজ দেওয়া দেখে ভীষণ আনন্দিত হলাম। ভাই আপনার জীবনে এরকম আনন্দমুখর জন্মদিন বার বার ফিরে আসুক আর সাথে থাকুক আপনার সকল বন্ধুরা। ধন্যবাদ
হুম ভাই। এই নামে আমাদের একটা পাবজি স্কুয়াড ও ছিলো।
প্রথমে আপনাকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আপনার জন্মদিনে উপলক্ষে প্রথমে আপনার মা ও ভাই আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে কেক দিয়ে তারপর বন্ধুরা। আসলেই সবাই আপনাকে অনেক ভালবাসি বুঝাই যাচ্ছে তাই আন্তরিকতার সাথে আত্মার জন্মদিনটি উদযাপন করেছে সবাই। এই দিনটির মতো অমলিন হোক আপনার প্রতিটি দিন।
হুম দারুণ এক জন্মদিন গিয়েছে এবার আমার। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
বিলম্বিত শুভ জন্মদিন ভাই। আসলেই এমন বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। বন্ধুদের থেকে এমন আচমকা উপহার পেলে সত্যি যেকেউ একটু অতিরিক্ত খুশি হয়ে যাবে। আপনার জন্য শুভকামনা।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে আমি ভাবিওনি যে বন্ধুরা এমন সুন্দর আয়োজন করবে আমার জন্য। আমাকে অবাক করে দিয়েছে।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া বন্ধুরা থাকলে আর কি লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার বন্ধুকে সারপ্রাইজ দিয়েছেন। কেকটা দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। আমাদের সাথে একটু শেয়ার করতেন কেক😋। আপনার বন্ধুর জন্য জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা শুভ জন্মদিন।
হুম আপু। জীবনে এমন বন্ধু থাকার খুবই দরকার। তাহলেই তো আনন্দ বুঝা যায়।
বন্ধু মানেই চমকে দেওয়া ।আপনার বন্ধুরা খুবই ভালো যে মাথায় পচা ডিম ফাটায় নায়।। কেকের উপর কি নাম হাহা ।তবে জন্মদিন এর শুভেচ্ছা রইলো যদিও কেকের ভাগ পেলাম না।
হিহি। আমি তো ভেবেছিলাম ফাটাবে। গতবার আমার অবস্থা খারাপ করে দিয়েছিলো ডিম তেল আটা মেরে।
আপনাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। আপনার বন্ধুর পোস্টে দেখে এলাম যে ওরা খুব আন্তরিক ভাবে আপনার জন্মদিন পালন করেছে। যেসব বন্ধুরা আন্তরিক ভাবে আপনার স্পেশাল দিন কে আরো স্পেশাল করে তোলে তারা কিন্তু সত্যিই দামি। হারাবেন না এদের কখনও।
ধন্যবাদ দিদ। আসলে আমার বন্ধু গুলাই সব এমন। সত্যি আমার দিনটাকে অনেক স্পেশাল করে দিয়েছিলো তারা।