রামাদানের সেই মজার স্মৃতি গুলো আর সেই ঈদকার্ড এর দোকান.....
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে রমায়াদান মুবারক এর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দেখতে দেখতে রমজান মাস এসে গেলো। ছোট বেলায় রমজান নিয়ে কত প্ল্যানই না থাকতো। আজ সে অনুভূতি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
রামাদান নিয়ে আমাদের সবারই কম বেশি মজার মজার স্মৃতি রয়েছে। রোজার মাসে আমাদের কতো রকম এর প্ল্যান থাকতো। মিস করি দিন গুলোকে। সে দিন গুলো আর কখনো ফিরে আসবেনা। চাইলেও দিন গুলোকে ফেরানো সম্ভব না। এখন আর সে জামানা নাই। এখনকার ডিজিটাল জুগে পুরোনো দিনের সেই এনালগ সৃতি গুলো পাওয়া যাবেনা। ছোট বেলায় রোজা আসলেই আব্বু আম্মু কতো কি বুঝাতো। একবার খেলে একটি রোজা৷ দুপুরে খেলে অর্ধেক রোজা হয়ে যায়। আমি তো একদিনে কত গুলো রোজা রেখে দিতাম 🤣🤣। ছোট বেলায় যা বুঝতাম আরকি।
আরেকটা জুগ ছিলো আমাদের সেটি হচ্ছে ঈদকার্ড। কার কালেকশনে কেমন ঈদকার্ড আছে না নিয়ে প্রতিযোগিতা লেগে যেতো। কেউ কেউ তো মিউজিক লাগানো যেই ঈদ কার্ড নিয়ে আসতে। যেখানে ঈদকার্ড খুললেই শুনতে পাওয়া যেতো আই লাভ ইউ। আহা কি সে দিন গুলো। ঈদকার্ড বিষয়টা এখন একদমই হারিয়ে গিয়েছে। অনেক আগেই হারিয়েছে।
রমজান মাসে আমাদের আরো একটা কাজ থাকতো সেটি হচ্ছে স্টিকার আর ঈদকার্ড এর দোকান দেওয়া। রোজার মাঝামাঝি সময়টাটে বন্ধুরা মিলে মিটিং করে ইনভেস্টর খোজা হতো। সবাই মিলে ৫০/১০০ টাকা করে দিয়ে শুরু করতাম আমাদের ঈদ কার্ডের দোকান।৷ দিনের বেলা এলাকা ঘুরে ঘুরে ব্যানার এনে বানানো হতো দোকান। বন্ধুরা মিলে টংগি চলে যেতাম পাইকারি দরে স্টিকার ও ঈদকার্ড কিনতে। এরপর বই শেলানোর সুতো দিয়ে সাজানো হতো। স্টিকার আর হরেক রকম ঈদকার্ড দিয়ে পরিপূর্ণ থাকতো দোকান। সাথে থাকতো কতো রকম এর মজার খাবার। এমনো হয়েছে রাস্তায় বস্তা বিছিয়ে দোকান দিতাম আমি। ভাবতেই অবাক লাগে কোথায় গেলো সে দিন গুলো। কালের বিবর্তনে একদম হারিয়ে গিয়েছে।
রমজানের আরেকটা মজার বিষয় ছিলো তারাবির নামাজ এর সময়টা। অনেকটা সময় পেতাম ঘুরতে যাওয়ার জন্য। মসজিদে আজানটা দিলেই ঘর থেকে বের হয়ে যেতাম। এশার নামাজ পড়ে তারাবির নামাজ পড়া হতো ৮ রাকাত। এরপর সময় হতো আমাদের ঘুরতে যাওয়ার। বন্ধুরা কাধে হাত রেখে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় ঘুরে বেড়াতাম। কখনো বা মার্কেট ভ্রমনে বের হতাম। আবার ঠিক যখন তারাবির নামাজ শেষ হতো তখন আবার যে যার বাসায়। আমরা যেনো একদম নিষ্পাপ। এইতো নামাজ শেষ করে বাসায় ফিরল। কয়েকবার তো ধরাও খেয়েছিলাম।
সত্যি মিস করি সে দিন গুলোকে।৷ এখন আর সে দি৷ গুলো দেখা যায়না। আর দেখাও যাবেনা। এখনকার জেনারেশন ডুবে থাকে ফোন আর টং এর আড্ডায়৷ আমাদের দিন গুলোতে যে মজা হতো সেটা এখনকার জেনারেশন এর ছেলে মেয়েরা বুঝবেনা কখনো। যদি ছোট বেলার সে দিন গুলোতে আবার ফিরে যেতে পারতাম কতইনা মজা হতো।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সত্যিই সেই দিনগুলো খুব মিস করি। জানি আর কখনো সেই দিন গুলো ফিরে আসবে না। তারপরও ইচ্ছে করে ছোটবেলায় ফিরে যেতে। কেন যে এই দিনগুলো জীবন থেকে হারিয়ে যায়? সময় যদি ধরে রাখা যেতো তাহলে সত্যিই ধরে রাখার চেষ্টা করতাম। ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে যেন সবকিছু হারিয়ে যাচ্ছে। ছোটবেলায় রোজা শুরু হলে কতই আনন্দ হতো। আপনার পোস্ট পড়ে কখন যেন সেই দিনে চলে গিয়েছি টের পাইনি। আমরা তো চুপি চুপি পানি খেয়ে বলতাম কেউ দেখেনি। আমাদের আজ আরও চারটি রোজা হয়ে গেলো। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
হুম আপু এমন দিন গুলো আর কখনো ফিরে আসবেনা।
জীবনের সকল মধুর স্মৃতিগুলো ছোটবেলার যেটা আমি সোনালী যুগ বলি। সেই দিনের অনুভূতি গুলো এখন আর পাওয়া যায় না । যেটা অনেক আনন্দের ছিল। রমজান মাসে অনেক মজা করতাম যেন উৎসবমুখর একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আপনার শৈশবের সেই স্মৃতির কথা ভালই উপভোগ করলাম । শৈশবের স্মৃতি মাখা সেই দিনগুলোর কথা পড়তেও অনেক ভালো লাগে।
আসলে আমাদের ছেলেবেলা ছিলো সোনালী যুগ।
ভাই ছোটবেলায় আমিও দুপুরে খাওয়া শেষে মনে করতাম আজকে একটি রোজা হয়ে গিয়েছে হা হা হা। শুধু আপনার আমার ক্ষেত্রে নয় ছোটবেলায় অনেকেই এরকমটা মনে করত মূলত বাবা-মা বোঝাতে বলে সবাই সেটা সত্যি মনে করত।
হুম ভাই তাই তো বললাম। ছোট বেলার সে স্মৃতি গুলো মনে পরলে খব ভালো লাগে।