আমার গ্রামের কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি #2|| ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুবেচ্ছা। ছবি তুলতে আমরা কম বেশি সবাই ভালোবাসি। গ্রামের পরিবেশ এ ছবি তুলতে যেনো আরো বেশি ভালো লাগে। আমি গ্রামের দিকে গেলেই প্রচুর ছবি তুলি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার নিজের তোলা আমার গ্রামের কিছু র্যান্ডম ছবি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে অনেক। তো চলুন শুরু করা যাক।
ধান ক্ষেত ও কৃষকের ধান কাঁটার দৃশ্য। এমন দৃশ্য খুব একটা দেখতে পাইনা। আগে দাদা যখন ধান চাষ করতো তখন ঠিকি দেখতে পেতাম। কিন্তু যখন শহরের দিকে শিফট হলো তখন আর দেখতে পাইনি। তাছাড়া আমরা ঢাকায় থাকার কারণে এমন দৃশ্য দেখা পেতাম না সচারাচর। আমার কাজিন এর শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার সময় এই দৃশ্য দেখতে পেলাম। অনেক গুলো ছবি তুললাম। কৃষক রা ধান কাটতে ছিলো।
গ্রামের মেঠো পথ। আগের দিন রাতে এবং এইদিন সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। তাই ছোট ছোট গাছ পালার টুকরো রাস্তায় পরে আছে। দু পাশে লম্বা লম্বা গাছ। সেই ভালো লাগে এই রাস্তা দিয়ে যখন হেঁটে যাচ্ছিলাম। পরিবেশ টাই যেনো আলাদা। এমন রাস্তা দিয়ে যারা হেঁটেছেন তারাই এর মজা বুঝবেন। বেশি ভালো লাগবে সকাল বা বিকালে হাঁটতে।
দূরের নারিকেল গাছ গুলো হয়তো দেখতে পাচ্ছেন। আর আকাশ টার দিকে দেখুন। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কতই না ভালো লাগে। নিচে আবার ধান ক্ষেত ছিলো। সব কিছু মিলিয়ে দারুণ এক পরিবেশ ছবি তোলার জন্য। তবে ক্যামেরা আলাদা থাকলে আর একটি জুম লেন্স থাকলেই সেই হতো। আমি যেটা দেখাতে চেয়েছিলাম সেটাই দেখাতে পারতাম তাহলে। তবে আমার কাছে এই ছবিটিও খারাপ লাগেনি।
আমাদের এখানে এটিকে গাছের কষ বলে। এগুলো আঠালো। গাছের ভেতর থেকে আসে। মাঝে মধ্যে গাছ কেটে গেলে দেখা যায় এমন কষ বেড় হতে। আবার এমনিও বেড় হয়। যখন বেড় হয় তখন খুবই পাতলা থাকে। যত সময় যায় তত ঘন হতে থাকে। ছোট বেলায় আমরা মজে করে এগুলোকে গাছের রক্ত বলতাম। এখন মনে পরলে হাসি পায়। ছোট বেলায় কত ভুল ধারনাই না ছিলো।
ধান কেটে ফেলার পর ধান ক্ষেতের অবস্থা এমন থাকে। আপনারা অনেকেই হয়তো এমন অবস্থা দেখেছেন। আমার কাছে বেশ ভালো লাগে এমন অবস্থা। কি সুন্দর দেখাচ্ছে। এখান থেকে ধান গুলো কেটে মাঝে মধ্যে এখানেই বিছিয়ে রাখে। আবার অনেক সময় অন্য মাঠে রেখে দেয়। আমার পরের ছবি টি দেখলে বুঝতে পারবেন।
যেমন টা বলেছিলাম। ধান কেটে এভাবে মাঠে অনেক সময় রেখে দেওয়া হয়। এক বারে পুরো মাঠ কেটে ফেলার পর সব এক সাথে করে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। একেই তো বলে সোনালি ফসল। কি যে ভালো লাগে এমন দৃশ্যের সাক্ষী হতে পেরে।
এদের চিনিনা আমি। তবে আশে পাশের ছবি তুলছিলাম দেখে বললো ওদের ও ছবি তুলতে। আমিও তুলে দিলাম। ওরা এই ছোট গাছের উপর উঠে খেলতে ছিলো। কিউট দেখতে বাচ্চা গুলো। তাই আমি ছবি তুলে ফেললাম। ছবি তোলাতে খুশি হয়েছিলো খুব। পরে ধন্যবাদ ও দিয়ে ছিলো।
| ক্যামেরা | Oneplus 7t |
|---|---|
| মোড | ওয়াইড, ম্যাক্রো |
| ফটোগ্রাফি এরিয়া | চাঁদপুর |
তো এই ছিলো আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। শুভকামনা রইলো সবার জন্য।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░











গ্রাম্য পরিবেশ বরাবরই আমার অনেক ভালো লাগে কারণ চারিদিকে সবুজে ছাওয়া পাখিদের কলতান একদম মন ছুঁয়ে যায় সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন গ্রাম্য পরিবেশের খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে
এটা ঠিক বলেছেন। চারিদিক সবুজ হওয়াতে গ্রামের পরিবেশ আরো বেশিভ আলো লাগে।
গ্রামের ছবি মানেই অন্যকিছু। গ্রামের মেঠোপথ, ধানকাটার মুহূর্ত সত্যি বলতে অসাধারণ। আমি যেহেতু গ্রামেই থাকি এ দৃশ্যগুলো প্রতিনিয়ত উপভোগ করি। ওইযে গাছের কষ এটা রেন্ট্রি গাছ থেকে বের হয়। ছোটবেলায় কত খেলেছি এটা দিয়ে। মাঝে মাঝে তো খেয়ে দেখতাম কেমন 😐।
ঠিক বলেছেন গ্রামের ছবি মানেই যেনো অন্যরকম এক কিছু। গ্রামে অনেক ভালো সময় যায়।
এক নজরে গ্রাম বাংলার দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে পারলাম বন্ধু তোমার এই আজকের পোস্টের মাধ্যমে , ধানক্ষেতে দৃশ্য রাস্তার দৃশ্য সব মিলিয়ে মনমুগ্ধকর একটি পরিবেশ ছিল।
তাইতো বলেছি চলো একদিন ঘুরে আসি আমাদের বাড়ি থেকে।
আপনি আজকে আমাদের সাথে আপনার গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চমৎকার কিছু দৃশ্য শেয়ার করেছেন। সত্যিই আপনার গ্রামটা দেখা যায় অনেক সুন্দর এবং আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। গ্রাম বাংলার চিত্র ফুটে উঠেছে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে।
হুম ভাইয়া গ্রাম অনেক সুন্দর। সবার গ্রামই সুন্দর।
আপনার গ্রামের কিছু অসাধারন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই।প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসম্ভব দারুন ছিল খুব গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন শুভ কামনা রইলো।
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে দেখে সত্যি প্রাণ জুড়িয়ে গেলো।
আপনার গ্রামের কিছু দারুন ছবি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। খেতের ধান এখন সব কাঁটা শেষ। কৃষকের সুখের দিন এখন। শেষের পিচ্ছি দুইটির ছবি তুলে দিয়ে ভাল করেছেন। তাদের আবদার মিটিয়ে মুখে হাসি ফুটানোর জন্য আমিও আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।
হুম ভাইয়া। তাদের আবদার মিটাতে পেরে আমারও অনেক ভালো লেগেছে।
গ্রামের ছবি বারবার আমার মণ করে হয়তো গ্রামের ছেলে বলে এই জন্য😍।
যাইহোক ছবি গুলো সুন্দর ছিল,তবে অপরিচিত ছেলে বাচ্চা দুইটার ছবি জোস ছিল।
গ্রামের ছবি মোটামুটি সবারই মন কারে ভাই।
গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যের ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন, সত্যি অসাধারণ দেখে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল।
গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য সব সময় আমার মন কেরে নেয়। তাই এই ছোট প্রচেষ্টা।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন আপনার ফটোগ্রাফিতে ভরপুর। আপনার অচেনা ছেলে দুটির ছবি বেশ সুন্দর লাগছে ভাইয়া।
হুম ওরা খুব আবদার করছিলো ছবি তুলে দেওয়ার জন্য। তাই আমিও দেরি না করে ছবি তুলে দিলাম ওদের।
আমার কাছে গ্রামীণ ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি আজকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। সবুজ শ্যামলে ভরা প্রাকৃতিক দৃশ্য অসম্ভব ভালো লাগে। তাছাড়া ধানক্ষেতের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে।
আমার কাছেও গ্রামীন ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লাগে। তাই গ্রামে গেলেই ফটোগ্রাফি করা হয়।