🤝আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২৪ || আমার ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি🧑🤝🧑//🤹
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
ফেলে আসা সেই বন্ধুত্বের স্মৃতিময় দিন গুলোর কথা কোনদিনও ভোলা যায় না। এই বন্ধুত্বের স্মৃতিময় দিনগুলো ছিল সবচাইতে আনন্দ এবং সৌন্দর্যময় দিন। সত্যিই বন্ধুদের সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গুলো পৃথিবীর সবচাইতে মধুর সম্পর্ক বলে আমি মনে করি। কারণ বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয় হৃদয়ের গভীর থেকে। আর এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক কখনো ছিন্ন হয় না। আসলে প্রকৃত বন্ধুরা কখনো হারিয়ে যায় না।দূরে চলে যায় সময়ের ব্যবধানে কিন্তু হৃদয় মাঝে এই বন্ধুত্ব সারা জীবন থেকে যায়। বিশেষ করে স্কুল লাইফের বন্ধুত্বের জীবনের স্মৃতিময় দিনগুলো খুব মনে পরে। আমাদের সকলেরই স্কুল জীবনের সেই বন্ধুত্বের স্মৃতিময় দিনগুলো মধুর ছিল। বিশেষ করে আমার হাই স্কুল লাইফের বন্ধুত্বের স্মৃতিময় দিনগুলো এখন আমার মনে পড়ে মনে।ইচ্ছে করে যদি সেই হাই স্কুল লাইফে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। বন্ধুদের সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। মারামারি, হাসি-কান্না, নিয়েই বন্ধুত্বের বন্ধন গুলো রয়েছে আমাদের হৃদয়ে। তাই আজকে আমি আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমার ফেলে আসা বন্ধুত্বের সেই স্মৃতিময় গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করছি এই গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।
হাই স্কুল লাইফে আমার দুজন স্পেশাল বন্ধু ছিল তার নাম ছিল হাসান এবং সাজু।হাসান ছিল আমার সবচাইতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ক্লাস ফাইভ থেকেই আমি হাসান আমার প্রিয় বন্ধু। এবং হাই স্কুল গিয়ে সাজুর সাথে বন্ধুত্ব হয়।আমরা তিন বন্ধু সব সময় মিলেমিশে থাকতাম এবং একই জায়গায় ক্লাস বসতাম।যে কোন কাজ করলে তিনবন্ধি এক সাথে করতাম। যাই হোক আমরা সবসময় একি সাথে থাকতাম এবং ভালোভাবে পড়াশোনা করতাম।হাসান ও সাজু ভাল স্টুডেন্ট হওয়ার কারণে আমিও ভালোভাবে পড়াশোনা করতাম। ক্লাস সেভেনে উঠে আমার রোল হল ২ এবং সাজুর হল ১ আর হাসানের হল ৪, তারপরেও আমরা তিন বন্ধু খুব ভালোভাবে মিলেমিশে থাকলাম।যে কোন কাজ আমরা একসাথে করি এবং ক্লাসে স্যার আমাদের প্রশংসা করতো।যে ওরা সব সময় একই সাথে থেকে কোনদিন মারামারি করতে দেখিনি। খুবই ভালভাবে চলতে ছিল আমাদের এই বন্ধুত্বের বন্ধন। ক্লাস এইটে উঠলাম তখন নামে এক বন্ধু এসে ভর্তি হল ওর বাবা ছিলো পুলিশ অফিসার। সিরাজগঞ্জ আসার পর আমাদের স্কুলে ভর্তি করে দেয় তার ছেলেকে।তার ছেলের নাম ছিল লিখন, আর লিখন ছিল হিন্দু ধর্মের।লিখন যখন আমাদের ক্লাসে ভর্তি হল তখন ছেলেটাকে চুপচাপ থাকতে দেখলাম। খুব খুবই চুপচাপ থাকে হয়তোবা নতুন ভর্তি হয়েছে যার কারণে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তো আমি একদিন লিখনের পাশে গিয়ে বসলাম। বললাম তোমার কি কোন কারণে মন খারাপ।আমাদের স্কুল কি তোমার ভালো লাগছেনা।তখন লিখন বললো আমার ইস্কুলটা ভালো লাগছে কিন্তু আমাদের ক্লাস কারো সাথে আমার বন্ধুত্ব নেই। আমি একা একা থাকি।তাই আমার ভালো লাগছেনা।আমি বললাম সমস্যা নেই আজ থেকে তুমি আমার বন্ধু এবং আমার আরও বন্ধু আছে ওরাও তোমার সাথে বন্ধু হবে।ওরা খুবই ভালো স্টুডেন্ট এবং তোমার সাথে মিলে মিশে থাকবে। তখন লিখ খুবই খুশি হলো, তারপরে স্কুলের টিফিনের সময় লিখুনকে নিয়ে আমরা হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করলাম। এবং লিখুনকে আমি খাওয়ালাম।তখন লবখন খুবই খুশি হল, বলল সত্যি আজকে আমার খুবই ভালো লাগছে। আমরা চারজন বন্ধু হয়েছি। সত্যি তোমরা খুবই ভালো, লিখনের মুখে হাসি দেখে ভালোই ভালো লাগলো। এভাবে আমাদের বন্ধুত্ব সম্পর্ক তৈরি হলো, আমরা চার বন্ধু স্কুলে সবসময় মিলেমিশে থাকতাম।
এভাবে আমরা চার বন্ধু সবসময় মিলেমিশে থাকতাম। স্কুলে আমাদের চার বন্ধুর একটা দল ছিল, যে কেউ বিপদে পড়লে আমরা ঝাপিয়ে পড়তাম। আমাদের চার বন্ধুকে কেউ কিছু বলার সাহস পেত না। কারণ চারজন যেন একই রক্তে মাংসে গড়া। কেউকে কিছু বললেই আমরা চারজন তার উপড় ঝাপিয়ে পড়তাম। সত্যি স্কুল লাইফের চার বন্ধুর মিলেমিশে থাকার দৃশ্যগুলো স্যার-ম্যাডামরা মুখে সবসময় প্রশংসা করত। তারা বলত করা যেন একই মায়ের পেটের ভাই। সবসময় মিলেমিশে থাকে কখনো ঝগড়া করতে দেখিনি এবং চারজন পাল্লা দিয়ে পড়াশোনা করতাম, সব সময় একসাথে থাকতাম।একসাথে মিলেমিশে থাকার মধ্যে যে কত আনন্দ সেটাও ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। চার বন্ধু মিলে যেখানে ইচ্ছা সেখানে ঘুরে বেড়াতাম। ক্লাস করতাম খুবই আনন্দ মজা করতাম। ক্লাসে খুবই ভালো লাগতো যে কোন কাজ আমরা চার বন্ধু মিলে করতাম। ক্লাসে ক্যাপ্টেন ছিল হাসান যার কারণে সবকিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতাম। খুবই ভাল লাগত, সকল কিছু জানো আমাদের পক্ষে। স্কুলে যে কোন অনুষ্ঠান হলে আমাদের আগে বলতো স্যার ম্যাডামরা,ভালো ছাত্র হওয়ার কারণে স্যারদের প্রিয় ছিলাম আমরা চার জন। সত্যি সেই মুহূর্তগুলো ছিল অসাধারণ, বন্ধুত্বের এত মিল কোথায় পাওয়া যাবে না। আমরা চার বন্ধু মাঝেমধ্যেই হাসানের বাড়িতে গিয়ে আড্ডা দিতাম। কারণ ওদের বাড়িতে অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে। সেখানে গিয়ে আমরা মাঝেমধ্যে খিচুড়ি রান্না করে খেতাম। সেই দিনগুলো আজ খুব মনে পড়ছে।
এভাবে আনন্দের সাথে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কের দিন গুলো চলতে থাকলো। স্কুল জীবনের সেই দিন গুলো খুবই আনন্দের ছিল। সব সময় একই সাথে থাকতাম, স্কুল মাঠে খেলাধুলা করতাম। বিকেলে নদীর পাড়ে ঘুড়তে যেতাম।কত আনন্দ করতাম।লিখন অন্য ধর্মের হলেও আমরা যেন একই সাথে এমন ভাবে থাকতাম কখনো ধর্ম নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো হিংসা হতো না। সবসময় একই জায়গায় থাকতাম।তো আমাদের স্কুলের একটা মেয়ে ছিল ক্লাস এইটে পড়তো।তার নাম ছিল সোনিয়া। সোনিয়া হাসানের দিকে মাঝেমধ্যে চেয়ে থাকত এবং হাসানকে পছন্দ করত। হাসানও মেয়েটাকে পছন্দ করত। তবে তারা বলার সাহস পাচ্ছিল না। কারণ সোনিয়া ছিল আমাদের স্কুলের ম্যাডামের মেয়ে। যার কারণে হাসান সাহস পাচ্ছিল না। তবে হাসান আমাদের বলতো যে মেয়েটিকে খুব ভালো লাগে। তো আমরা তিন বন্ধু মিলে বললাম আমার বন্ধু হাসানের জন্য এই উপকারটা করতে হবে। আমরা ওর প্রেমের সম্পর্কটা আরও মধুর করে দেবো। আমরা একদিন স্কুল শেষে সোনিয়াকে বললাম তোমার সাথে কিছু কথা আছে। হাসান তো লজ্জায় আমাদের সামনে থাকল না দূরে চলে গেল। তখন আমরা হাসানের কথা মেয়েটাকে বললাম মেয়েটা বলল যে আমিও তো হাসানের পছন্দ করি।বলতে পারছিলাম না,আম বললাম তাহলে তো ভালই হলো হাসানকে পরের দিন বললাম তারপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে। হাসান খুশিতে মিষ্টি খাওয়ালো আমাদের।হাসান সেদিন অনেক খুশি হয়েছিল।
তারপর হাসান আর সোনিয়া মধ্যে ভালো একটা সম্পর্ক হল। আমরা মাঝেমধ্যেই হাসানকে সোনিয়া সাথে দেখা করার সুযোগ করে দিতাম এবং আমরা পাহারা দিতাম। সত্যিই বন্ধু এই প্রেমের সম্পর্ক তখন আমাদের মধ্যে খুবই ভাল লাগত। তবে কিছু মাস যাওয়ার পর এই প্রেম করার কারণে হাসান আমাদের থেকে একটি দূরত্ব তৈরি হলো।যার কারণে সবসময় আমাদের সাথে থাকতে পারত না। যখন ইচ্ছা তখন সোনিয়ার ডাকে সাড়া দিতো।হাসানের বিষয়গুলো যেন আমার কেমন লাগলো মনে হচ্ছিল হাসান আমাদের মাঝে আর আগের মত নেই। সবসময় ব্যস্ততা দেখাতো, খুবই খারাপ লাগলো। আমরা তিন বন্ধু এই বিষয়টা অনেক কষ্ট পেলাম। আসলেই বন্ধুত্বের মধ্যে যখন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায় তখন সেই বন্ধুত্ব সম্পর্ক আগের মত থাকে না। তখন লিখন বললো আমিও প্রেম করতে চেয়েছিলাম কিন্তু হাসানের জন্য আর প্রেম করবো না। প্রেম করলে হাসানের মত আমারও দূরত্ব হবে। সত্যি খুবই খারাপ লাগলো,আমি বললাম যে স্কুল লাইফে আর আমাদের মধ্যে কেউ প্রেম করবে না, প্রেমের সম্পর্ক হলে বন্ধুত্ব সম্পর্ক নষ্ট হয়। একদিন হাসানকে আমরা স্কুলে আসতে বললাম মাঠে খেলাধুলা করবো, হাসান আমাদের সাথে আসার কথা বলে আসলো না। সোনিয়া বলে তাকে ডেকে ছিল এবং বলল যে বন্ধুদের সাথে এত কিসের সম্পর্ক। স্কুলে তো ক্লাসেই যেটুকু সময় দাও ঠিক আছে খুব ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে না এরকম কথা হাসানকে বলেছে হাসান তখন কি করবে প্রেমে অন্ধ ছিল যার কারণে সোনিয়া কথা শুনতো।হাসানয়ের সাথে আমাদের বন্ধুত্বের মধ্যে এভাবে দূরত্ব তৈরি হলো।একদিন স্কুলের মাঠে হাসান আর সোনিয়া সঙ্গে কথা বলতে ছিল। সেই সময় লিখন গিয়ে হাসানকে বলে কিরে প্রেমের সম্পর্কের কারণে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এভাবে মাটি চাপা দিলি। আগের মত তো আর কথাই বলিস না,আরো কিছু কথা বলেছিল আর হাসান তখন রেগে গিয়ে লিখুনকে বলে তুই কিসের বন্ধু। তুই আমার কোন বন্ধু নাহ। আমার বন্ধু রায়হান আর সাজু,রাগের মাথেই এভাবে লিখুমকে অপমান করে। লিখুন খুব কষ্ট পায়।লিখন ক্লাস না করে বাড়ি চলে যায়।
আমি সেদিন স্কুলে যায়নি যার কারণে বিষয়টি জানতে পারলাম না। পরের দিন স্কুলে গিয়ে সাজুর কাছ থেকে শুনেছি হাসান এরকম খারাপ ব্যবহার করেছে লিখনের সাথে। সত্যি খুব খারাপ লাগছিল হাসানের ব্যবহারের কথা শুনে। পরের দিন আমি ও সাজু লিখনের বাড়ি গেলাম। লিখনের বাড়ি গিয়ে লিখনকে বুঝালাম বললাম যে ওর কথা কিছু মনে করিস না। একদিন ঠিক বুঝতে পারবে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন। তো এভাবে আমাদের সম্পর্কটা এক মাস পার হয়ে গেল।আমি সেদিন স্কুলে যায়নি যার কারণে বিষয়টি জানতে পারলাম না। পরের দিন স্কুলে গিয়ে সাজুর কাছ থেকে শুনেছি হাসান এরকম খারাপ ব্যবহার করেছে লিখনের সাথে। সত্যি খুব খারাপ লাগছিল হাসানের ব্যবহারের কথা শুনে। পরের দিন আমি ও সাজু লিখনের বাড়ি গেলাম। লিখনের বাড়ি গিয়ে লিখনকে বুঝালাম বললাম যে ওর কথা কিছু মনে করিস না। একদিন ঠিক বুঝতে পারবে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন। তো এভাবে আমাদের সম্পর্কটা এক মাস পার হয়ে গেল।হাসান আমাদের সাথে কম কথা বলতো প্রয়োজন ছাড়া কথা বলত না। একসাথে বসতে ঠিক আছে কিন্তু আগের মত মিসতো না। যাইহোক এভাবে ২ মাস চলে গেল এবং ২ মাস চলে যাওয়ার পর এক দিন হাসান মোটরসাইকেল করে শহরে আসতে ছিল এবং শহরে আসার পথে এক্সিডেন্ট করে, সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি এই কথাটা যখন আমরা বন্ধুরা শুনতে পেলাম তখন হাসানকে দেখার জন্য পাগল হয়ে গেলাম। লিখন বলল আমিও যাব হাসান আমার বন্ধু হাসান আমাকে নাই বন্ধু ভাবলো কিন্তু আমি ভাবি তিন বন্ধু মিলে আমরা সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে আসলাম।এসে দেখি হাসান শুয়ে আছে। তখন ঘুমের মধ্যে ছিল। আমরা তিন বন্ধু হাসানের বেড এর পাশে বসে থাকলাম। ঘুম থেকে উঠে আমাদের দেশেও হাসান কান্না করে দিল। সত্যি বন্ধুকে এই অবস্থা দেখে খুবই খুব কষ্ট হচ্ছিল। কিভাবে বন্ধুকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করা যায় এটাই আমাদের দোয়া ছিল। যে হাসানের পা ভেঙ্গে যায়,যার কারণে রক্তশূন্যতা ছিলো। রক্ত লাগবে কারো সাথে মিললো না, হাসানের রক্ত ছিলো AB (-) এই নেগেটিভ রক্ত পাওয়া কঠিন,কিন্তু সুখের খবর লিখনের রক্তের সাথে মিলে যার,লিখনেরও AB(-) নেগেটিভ ছিলো। যাই হোক লিখনের রক্তের সাথে মিলে গেছে। আমি হাসানকে হাসানকে বললাম লিখন তকে রক্ত দিয়েছে তখন হাসান খুব কান্না করলো। যে আমি লিখুনকে অনেক অপমান করেছিলাম। আসলে বন্ধুদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি আমি আমার প্রেম চাইনা আমি আমার বন্ধুত্ব চাই। আমরা বললাম ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই, সব ঠিক হবে তুই আগে সুস্থ হয়ে ওঠ।
হাসান ২১ দিন হসপিটালে ভর্তি ছিল। আমরা তিন বন্ধু মাঝেমধ্যে হাসানকে দেখতে আসতাম এবং হাসানের সাথে আমরা হসপিটালে অনেক সময় কাটাতাম। বন্ধু হাসানকে আমরা হাসিখুশি রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করতাম। সত্যিই হসপিটালের সেই দিনগুলো মনের ভিতর আজও আছে।খুব খারাপ লেগেছে তার পরেও হসপিটালে গিয়ে বন্ধুর হাসানকে আমরা হাসিখুশি রাখতে চেষ্টা করতাম। আমরা বন্ধুরা হাসানর কাঁধে কাঁধ রেখে হসপিটালে একটু হাঁটাতাম।সেই দিন গুলো কখনে ভুলার না।২১ দিন পর যখন হাসানকে বাড়ি আনা হলো তখন হাসান কাধেঁ ঠ্যাঙ্গা দিয়ে একটু একটু করে হাঁটতো। আমরা তখন হাসানকে বিকেল হলেই মাঠে নিয়ে যেতাম এবং হাসান সেখানে দাঁড়িয়ে থাকত আমরা খেলতাম। দিনগুলো ভালোই ছিল তবে হাসানের দাঁড়িয়ে থাকা দৃশ্য দেখে খারাপ লাগতো।একদিন মাঠের পাশে হাসান দাঁড়িয়ে ছিল। আমরা খেলতে ছিলাম এমন সময় সোনিয়া আসলো। সোনিয়া হাসানের কাছে এসে বলল আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে মাফ করে দাও। আর তোমাদের এই বন্ধুত্ব এরকম বন্ধুত্ব আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আসলে আমি তোমাদের বন্ধুত্ব বুঝিনি এখন তোমার বন্ধুদের সাথে তুমি আগের মত চলাচল করবে আমি কখনোই মানা করবো না। তখন লিখনও আমরা গেলাম আমাদের কাছে ক্ষমা চাইলো সোনিয়া।হাসান বলল যে আমার বন্ধু আগে তারপরে আমার ভালোবাসা। বন্ধুদের সম্মান যদি না করো তাহলে আমি তোমাকে ভালবাসতে পারব না। বন্ধু কথা শুনে আমাদের খুবই ভালো লাগলো।প্রায় তিন মাস পর হাসান স্কুলে আসলো। হাসানকে আমরা ধরেই স্কুলে নিয়ে আসলাম। হাসান যখন স্কুলে আসবে তখন খুবই ভালো লাগলো। দীর্ঘ দিন পর সেই আগের মতো আনন্দময় হয়ে উঠল। সত্যিই বন্ধুত্বের এই স্মৃতিগুলো আমি কখনোই ভুলবো না। আজকে আমি আপনাদের সাথে এই বন্ধুত্বের স্মৃতি শেয়ার করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে এবং বন্ধুদের খুব মনে পড়ছে।
আপনার স্কুল জীবনের স্মৃতিময় দিনের গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে বন্ধুত্বের বন্ধন গুলো এমনই হয়।এক বন্ধু বিপদে পড়লে অন্য বন্ধু ঝাঁপিয়ে পড়ে। বন্ধুর বিপদে দেখলে আর ভালো লাগে না। যাইহোক হাসান ভাইয়ের বিষয়টি পড়ে ভাল লাগল শেষমেশ আবার আপনারা আগের মতো স্কুলে যাচ্ছেন। আপনার বন্ধু হাসান খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেছে, খুবই ভালো লাগলো আসলে এক বন্ধু বিপদে অন্য বন্ধু এভাবে ঝাপিয়ে পড়া উচিত।
আসলেই ভাই বন্ধুদের বিপদ এগিয়ে আসাই প্রকৃত বন্ধু পরিচয়।আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
হাসান, সাজু আর আপনাদের বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো পড়ে ভালো লাগলো। যদিও হাসান সোনিয়ার প্রেমে পড়ে আপনাদের থেকে দূরে চলে গিয়েছিল। কিন্তু নিঃস্বার্থ সম্পর্ক থাকে সেটা হচ্ছে বন্ধুত্ব। লিখন ভাই হাসানকে এবি নেগেটিভ রক্ত দিয়ে তাকে বাঁচিয়েছে। বন্ধুত্বের মানুষগুলো আসলেই অন্যরকম হয়। 🌼
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ