বন্ধুদের সাথে নদীর বালু চরে পিকনিক খাওয়ার স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
বন্ধুদের সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে, আর এই হাজারো স্মৃতির মাঝে কিছু কিছু গল্প থাকে যে গল্প গুলো কখনো ভোলা যায়না। তো আমরা বন্ধুরা মিলে বালুচরে পিকনিক আয়োজন করেছিলাম। এই গল্পটি সত্যিই অসাধারণ ছিল। আমরা চার বন্ধু মিলে পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম।সেই দিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ছিলাম।তো প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, যে আমরা বন্ধুরা মিলে রান্নার কাজ করতে ছিলাম আর ইয়াসিন ও সাজুকে নৌকায় পাঠিয়েছি মুরগির মাংস আনার জন্য। ওরা মুরগির মাংস নিয়ে আসতে একটি কুকুরের তাড়া খায়। সেই কুকুর ওদের তাড়া করে যার কারনে ভয় পেয়ে দৌড় দিয়ে আমাদের কাছে আসে এবং সেখানে লাঠি দিয়ে যখন কুকুরটিকে মারতে যায় তখন সাজু দেখে কুকুরটি পোষা কুকুর। পোষা কুকুর আর এই কুকুরটি কিভাবে আসলো আমাদের এই বালুচরে এটা নিয়ে আমরা কৌতুক ছিলাম। সত্যি অবাক হয়ে গেছি কুকুর কিভাবে আসলো। আর এত দূরে সাঁতরিয়ে আসা সম্ভব না, কিভাবে আসলো এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে গল্পের বাকি অংশটুকু শেয়ার এসেছি আশা করি, বাকি অংশটুকু পরে আপনাদের ভালো লাগবে।
কুকুরটি কাছে এসে সাজু বসলো,আর সাজু তার প্রিয় কুকুরের গায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল।সাজু খুবি আদর করে কুকুরটিকে আর বলতে ছিল এখানে কিভাবে আসলো। এত দুরে বালু চরের মধ্যে একা আসা তো সম্ভব।তখন হাসান বললো সাজু কুকুরটি তোকে খুব ভালো বাসে তাই কুকুরটি হয়তো সাঁতরিয়ে এসেছে। তখন আমি বললাম এতো দুরে সাঁতরিয়ে আসা সম্ভব না।আর সাজু বললো কুকুর যদি সাঁতরিয়ে আসতো তাহলে কুকুরের গাঁয়ে পানি থাকতো।ইয়াছিন বললো ঠিক বলেছিস তাইলে কুকুরের গাঁয়ে পানি নেই কানো। হাসান বলল আচ্ছা কুকুরটি সেভাবে এসেছে আসুক, এই নিয়ে আলোচনা করা দরকার নাই। চল আমাদের রান্নার কাজ শুরু করে দেই। তখন সাজু বললো দাড়া কুকুরটা কিভাবে এসেছে একটু বের করা করি। না হলে তো টেনশন হচ্ছে। পর আমি বললাম আচ্ছা তোর মাংস নিয়ে আসলি আর কুকুর তাড়া খেলে এই কুকুরটাকে প্রথম কোথায় দেখে ছিস।ইয়াছিন বললো নদীর পাড়ে। তো আমি বললাম আমাদের নৌকা ছাড়া কি অন্য কোনো নৌকা এসেছে নদীর পাড়ে।সাজু বললো একটা নৌকা আসতে ছিলো এটা দেখছি শুধু।আমি বললাম চল নদীর পাড়ে যাই গিয়ে কোন রহস্য আছে কিনা। তখন আমি সাজু হাসান নৌকার পাড়ে দিকে আসতে ছিলাম। আর ইয়াছিনকে তাবুর কাছে থাকতে বললাম।
তো আমরা বালুর মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমাদের নৌকার দিকে যাচ্ছিলাম। কুকুরটিও আমাদের সাথে আসতেছিল, তো আমরা যখন নৌকার কাছে আসলাম। তখন দেখলাম আমাদের নৌকার সাথে আরেকটি নৌকা রয়েছে। এই নৌকা থেকে সবগুলো নামানো হচ্ছে। এই বালুচরে তারা বাদাম চাষ করবে। তাই এখানে বাদামগুলো নৌকা থেকে নামাচ্ছে।আমি সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম সাজুর বড় ভাই রয়েছে। আর এই সাজুর বড় ভাইয়ের নাম হল রহিম। রহিম ভাই এখানে এসেছে, তখন রহিম ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই আপনি এখানে।তখন রহিম ভাই বলল আমি তো বালু চরে বাদাম চাষ করার জন্য এসেছি। সাথে আরও দুজ লোক নিয়ে এসেছি। এখানে বাদাম ভালো চাষ হয়। তোমরা বলে পিকনিক করছো এই বালুচরে বাড়ি থেকে শুনতে পেলাম।আর আমি নৌকা থেকে নামার আগেই কুকুরটি আগে নেমে সাজুকে দেখতে পেয়েছিল।তাই সাজুর দিকে দৌড়ে গেলো।সাজুকে আমি দেখেছি নৌকা থেতে কি জানি নিচ্চিলো।কুকুরটি আমারও খুবি পোষা তাই সাথে নিয়ে এসেছি।
সাজু বলল ভাইয়া আমি তোমাকে দেখতে পাইনি। যে তুমি এখানে আসবে, আর আমি যখন চলে যাচ্ছিলাম তখন কুকুর পিছন থেকে তাড়া করেছে, আমি ভেবেছি অন্য কুকুর তাই দৌড় দিয়েছি। পরে দেখতে পেলাম আমার পোষা কুকুর আর আমি অবাক হয়ে গেছি এখানে কিভাবে আসলো। বুঝতে পারিনি।পরে আমি রহিম ভাইকে বললাম ভাইয়া এই কুকুরটি হঠাৎ করেই এখানে এসেছে, তাই আমরা খুব কৌতুহল ছিলাম। যে কুকুরটি কিভাবে আসলো। তাই নদীর পারে তাই এসেছি যে কোন রহস্য আছে কিনা। যাক অবশেষে কুকুরটি কিভাবে আসলো সেই রহস্য রহস্য জানা গেল। তখন রহিম ভাই বললো আচ্ছা তোমরা কোথায় রান্নাবান্না করছেন। পরে বললাম যে ঐখানে একটি তাবু টানিয়ে রান্নাবান্না করছি। তখন রহিম ভাই বললো আচ্ছা ঠিক আছে রান্নাবান্না করো তোমাদের সাথে আমরাও এসে কিন্তু খাব। শুনে ভালোই লাগলো। যাক এখানে বড় ভাইয়েরা আছে।মনের মধে আরো সাহস আসলো।সাজু বললাম ঠিক আছে ভাইয়া তাহলে আমরা রান্না শুরু করে দেই ভাই বলল ঠিক আছে, যাও আর এখানে আমাদের জমি রয়েছে। সেখানে আমরা বালুর চরে বাদাম চাষ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। কোন সমস্যা হলে ডাক দিবা।আমরা বললাম ঠিক আছে ভাইয়া।
তো আমরা তিন বন্ধু আবারো তাঁবুর কাছে আসলাম। তাঁবুর কাছে আসার পরে ইয়াসিন বলতে কিরে কুকুর আসার কোন রহস্য পেলি তোরা, তখন বললাম হ্যাঁ বন্ধু পেয়েছি। কুকুর আসলে সাজুর বড় ভাইয়ের সাথে এসেছে। সেখানে বাদাম চাষ করার জন্য এসেছে।তার সাথে কুকুরটিও এসেছেন। কুকুরটি নৌকা থেকে নেমেই সাজুকে দেখ পিছু এসেছিল।ইয়াছিন বলল ও আচ্ছা যাক তাহলে অবশেষে কৌতূহলটা মিটে গেল। এখন রান্না কাজে লেগে পর। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, তাড়াতাড়ি করতে হবে। তখন বললাম ইয়াসিন বন্ধু কোন টেনশন নাই। কেন কোনো ভয় নেই। আমাদের বড় ভাইরা রয়েছেন। তার পাশেই রয়েছে তারা বালু চরে কাজ কাজ করছে।তারা তিনজন আমাদের সাথে খাবে। খাওয়ার সময় তাদের ডাক দবো।সাজু বললো রান্না শুরু করে দেই,আর আমি মুরগির মাংস কাঁটতে লাগলাম।তখন হাসান বলল আমরা এখানে মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করবো। আর খিচুড়ি রান্না করলে একসাথে খেতে বেশি মজা লাগবে। তখন বললাম ঠিক আছে যেহেতু রান্নার দায়িত্ব ইয়াসিনকে দেওয়া হয়েছে। ইয়াসিন খুবই ভালো রান্না করতে পারে। আর আমরা ইয়াসিনকে হেল্প করব। তখন ইয়াছিন বলল ঠিক আছে আজকে খুবই মজা করে মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না হবে। তোরা শুধু আমাকে একটু সাহায্য করবি, বললাম ঠিক আছে বন্ধু তুমি কাজ শুরু করে দাও। তখন ইয়াসিন সকল উপকরণ দিয়ে চুলায় আগুন ধরিয়ে খিচুড়ি রান্না করা শুরু করে দিলো। আমরা ইয়াসিনকে সব রকমের সাহায্য করতে লাগলাম।
বন্ধুবান্ধব এবং বড় ভাইদের সাথে অনেক চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ভাই। তবে তৃতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের খিচুড়ি রান্না দেখার জন্য এবং সেটি অনুভব করার জন্য যে কতটুকু টেস্ট হয়েছে। সর্বোপরি আপনার জন্য শুভকামনা রইল।।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু
যাক অবশেষে কুকুর রহস্য উদঘাটন হলো।
ছোট বেলায় এরকম পিকনিক আমিও করতাম, একটা অন্যরকম আনন্দ এটাতে। খিচুড়ি আর মুরগির মাংস রান্না চলেছে, আহা স্বাদের খাবার ছিল।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার স্মৃতিময় পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই
যাক যাক শেষমেষ কুকুরটি রহস্য খুঁজে পাওয়া গেল। আসলে কুকুরটি সাজু ভাইয়ের বড় ভাইয়ের সাথে এসেছিল। তবে আগামী পর্বে খিচুড়ি রান্না এবং খাওয়ার গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া🌻🌹