ভালোবাসা হৃদয়ের অনুভূতি আর এই হৃদয় থেকে ভালোবাসা জন্ম হয়। হৃদয় থেকে শুধু একজন মানুষের প্রতি ভালোবাসা জন্ম হয়। সেই ভালোবাসার হৃদয়ের মাঝে রয়ে যায় সারাটা জীবনম আসলে যে মানুষটির প্রতি মনের গভীর থেকে ভালোবাসার জন্ম হয় এই ভালোবাসা অন্য আর কারো প্রতি তৈরি হয় না। যদি আরো সুন্দর কোন মানুষ যদি তার জীবনে আসে, তবুও হৃদয় থেকে যার প্রতি ভালোবাসার জন্ম হয়েছে এরকম অনুভূতি আর কখনোই তৈরি হয় না। তাই ভালবাসা শুধু দুটি মনের মিল নয় ভালোবাসা হৃদয়ের সম্পর্ক। এই হৃদয়ের সম্পর্কই যেন ভালোবাসার প্রিয় মানুষটিকে সারা জীবন বেঁচে রাখার অনুপ্রেরণা যোগিয়ে দেয়। আসলে ভালোবাসার তখনই পূর্ণতা পায় যখন প্রিয় মানুষটিকে সারা জীবনের জন্য নিজের হয়।প্রিয় মানুষটিকে বধু সেজে নিজের কাছে সারা জীবন পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাই যেন ভালোবাসার প্রধান উদ্দেশ্য। আর এই ভালোবাসার তখনই পূর্ণত পায়। যখন বধু সেজে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসার শক্তি এবং মুহুর্তগুলো উপভোগ করা হয়। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটি ভালোবাসার পূর্ণতার গল্প শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার স্কুল জীবনের বন্ধু পারভেজ এর ভালোবাসার গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম। আসলে পারভেজের এই ভালোবাসাটি পূর্ণতা পেয়েছে। এটা জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর কিভাবে এই ভালোবাসার পূর্ণতা পেল এই গল্পটি যেন আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম। আসলে পারভেজ ক্লাস টেন থেকে আমাদের ক্লাসেরই মেয়ে সাদিয়াকে খুবই পছন্দ করত।সাদিয়াকে খুবই পছন্দ করত কিন্তু কখনোই বলার সাহস পেত না। অনেকদিন সময় লেগে যায় সাদিয়াকে এই প্রেমের প্রস্তাব দিতে। হঠাৎ একদিন ক্লাসের ভিতরেই সাদিয়াকে একটা চিঠির দিয়ে ছিলাম আমি, সাদিয়া বলেছিলো কি লিখে দিলা মুখে বলরেই তো হতো। আমি বলেছিলাম রাতে একাকি চিঠিটা পড়রা। সাদিয়া বলেছিলো ঠিক আছে।
আসলে পারভেজ আমার খুবই প্রিয় বন্ধু ছিল, ও মাঝেমধ্যেই সাদিয়ার কথা আমার কাছে বলতো, কিন্তু আমি বারবার বলতাম সাদিয়াকে বলেদে ও বলার সাহস পেত না এবং আমাকে বলতে দিত না মকিন্তু ওর মনের ব্যাপারটা আমি অনেক ভালোভাবেই বুঝতে পারতাম। যার কারণে সাদিয়াকে আমি পারভেজের হয়ে মনের সকল কথায় লিখে পাঠিয়েছি সেই চিঠিটার মধ্যে।সাদিয়া রাতের বেলা হয়তো চিঠিটা পড়েছিলো এবং সেখানে দেখতে পায় পারভেজ ওকে অনেক ভালোবাসে, এই লেখাগুলো। আর এই লেখাগুলো পড়েই পরের দিন সাদিয়া আমার সাথে কথা বললো। যে আসলে কি পারবেজ আমাকে পছন্দ করে, না তুমি আমাকে পছন্দ করো। সত্যি করে বলো। তখন আমি বললাম আমার প্রিয় বন্ধু পারভেজ আসলেই তোমাকে অনেকদিন হলো পছন্দ করে। কিন্তু তোমাকে বলার কোন সাহস পাচ্ছিল না। তখন সাদিয়া আমাকে বলল পারভেজ যদি আমাকে পছন্দ করে, তাহলে পারভেজকে বলতে বলো তুমি কেন আমাকে এই চিঠিটা দিয়েছিলে। আমি বলেছিলাম বন্ধুর মনের কথা বলতে পারছিল না, তাই ওকে সাহায্য করলাম।
তখন সাদি আমাকে বলেছিল তোমার বন্ধু যদি সত্যি আমাকে পছন্দ করে, তাহলে ও যেন আমার সামনে এসে আমাকে পছন্দ করে এই কথাটা বলে। আসলে সাহস না থাকলে কখনোই প্রেম ভালোবাসা হয় না। তোমার বন্ধুকে এটা বুঝিয়ে দিও, আসলে সাদিয়া হয়তো ওর ভালোবাসার কথা প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে শুনতে চেয়ে ছিলো,এজন্যই আমার সাথে এরকম ব্যবহার করেছিল কিংবা ও হয়তো মনে মনে আমাকে পছন্দ করেছিল। যাই হোক আমি এই বিষয়গুলো জানতে পেরে পারভেজকে বললাম, দেখ লজ্জা শরম বাদ দিয়ে প্রেম যদি করতেই চাস ভালো যদি বাসতে চাস তাহলে নিজের মুখে বল। তা না হলে কিন্তু ভালোবাসা কখনোই হবে না। পারভেজ বলল ঠিক আছে বন্ধু কালকে তাহলে তুই আমার সাথে থাকিস ওর সাথে আমি দেখা করব, স্কুল ছুটি শেষে। তাই আমি ক্লাসে সাদিয়াকে বললাম স্কুল ছুটি শেষে তুমি একটু মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে তোমার সাথে পারভেজ কথা বলবে। সাদিয়া বলল ঠিক আছে আমি দাঁড়াবো।
স্কুল ছুটি শেষে আমি আর পারভেজ যাদিয়ার সাথে দেখা করার জন্য মাঠের পাশে আসলাম এবং সেখানে দেখি সাদিয়া তার বান্ধবীর সাথে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি তখন পারভেজকে বললাম যা সাদিয়ার সাথে গিয়ে কথা বল।পারভেজ একা যেতে অনেক লজ্জা বোধ এবং ভয় পাচ্ছিল। আসলে ও খুবই লাজুক ছিল, আমি ওকে সাথে নিয়ে গেলাম তখন সাদিয়া বলল যে পারভেজ তুমি কিছু বলতে চাও যদি বলতে চাও তাহলে কষ্ট করে বলবো। তুমি কি আমাকে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলে রায়হানের মাধ্যমে। পারভেজ তখন বললে না আমি তো পাঠাইনি।
আসলে আমি যে সাদিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। এটা পারবেজ জানত না। যার কারণে পারভেজের সাথে সাদিয়ার কথা কাটাকাটি হতে লাগলো। তখন আমি বললাম যে আসলে পারভেজ জানতো না যে আমি এই চিঠিটা তোমাকে পাঠিয়েছি। আসলে পারভেজ আমার প্রিয় বন্ধু ও বারবার তোমার কথা আমার কাছে বলতে ছিলো। তাই আমি ওকে বলেছিলাম তোমাকে বলতে কিন্তু ও সাহস পাচ্ছিল না। যার কারণে আমি চিঠিতে লিখে দিয়েছিলাম। তখন বলল পারভেজ আমাকে বললো যে তুই আমাকে আগে বলবি না, আমি তো কিছুই জানিনা। তখন বললাম যে আসলে তুই তো বলতেই চাস না তোকে তো অনেকবার বলেছিলাম।
https://x.com/rayhan111s/status/1812358921350508584?t=JLVGnz82o_LaDEyXQJDyTg&s=19
ভাইয়া আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া ভালোবাসা পূর্ণতা পেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। সাদিয়া ঠিক বলেছেন যার ভালোবাসা তার কাছ থেকে শোনায় উত্তম। যাইহোক দুজনের মধ্যে ভালোবাসার কথা প্রকাশ পেয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়?
ভালোবাসা পূর্ণতা পেলে সত্যি অনেক ভালো লাগার বিষয়।তবে অপূর্ণ হলেই সমস্যা।দারুন ছিল গল্পটি।দুজনের মধ্যে ভালোবাসার কথা প্রকাশ হলো।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।