শীতের সকালে সৌন্দর্যময় প্রকৃতির রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


শীতের আবহাওয়া দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সিরাজগঞ্জে আজ ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।রাতের বেলায় ছিল ১২°। এত শীতের মধ্যে রাস্তাঘাটে চলাচল করা যেন খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। বিশেষ করে কুয়াশায় ঢেকে থাকে রাস্তাঘাট, আর এই কুয়াশামাখা রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল করে রাতের মতো হেডলাইট জ্বালিয়ে।কুয়াশা কারণে সামনে কি আছে সেটা দেখা যায় না। তাই শীতের সকালে আজকে সকাল ১০ টার পর হেঁটে যাচ্ছিলাম শহরের রাস্তার পাশ দিয়ে। হেঁটে যাওয়ার পথে তাই শীতের সকালের দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছি। কুয়াশামাখা শীতের সকালে রিকশায় করে ভ্রমণ করতে গিয়ে আরো যেন শীত বেশি লাগে। রিকশায় করে ভ্রমণ করলে বাতাসে কষ্ট লাগে। তাই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হেঁটে যাওয়ার পথে কুয়াশামাখা দৃশ্যগুলো ফটোগ্রাফি করলাম। তাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশাকরি শীতের সকালের এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে, তো চলুন বন্ধুরা ফটোগ্রাফি গুলো দেখা শুরু করা যাক,,,।



তো বন্ধুরা চলুন শীতের সকালে সৌন্দর্যময় প্রকৃতির রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি ফটোগ্রাফি দেখা শুরু করা যাক,,,

ফটোগ্রাফি-১👇

IMG_20221230_121727.jpg

কুয়াশামাখা শীতের সকালে রিকশা নিয়ে আমি বাজারে ইস্টিশনে আসলাম। রিক্সা আসার পথে অনেক বাতাস লাগতে ছিল, যার কারণে আমি বাসার ইস্টিশনে আমাদের সিরাজগঞ্জ এর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে এসে নামলাম এবং সেখান থেকে আমি ভাবলাম যে আজকে আর রিকশায় যাবো না। হেঁটে যাব। তাই শহীদ মিনারে এসে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।
ফটোগ্রাফি-২👇

IMG_20221230_121710.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৩👇

IMG_20221230_121934.jpg

কুয়াশামাখা শীতের সকালে পাসপোর্ট অফিসের ফুটপাতে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। পাসপোর্ট অফিসে ফুটপাতে হেঁটে যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম কুয়াশার কারণে দুরের কিছুই দেখা যাচ্ছে না। অনেক কুয়াশা পড়েছিল,যার কারণে ১০ ফুট দূরে কি আছে সেটা আমি দেখতে পেলাম না।
ফটোগ্রাফি-৪👇

IMG_20221230_121909.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৫👇

IMG_20221230_121956.jpg

এই ফুট পথের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরের পাড়ে ছিল তিনটি নারিকেল গাছের অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য। কুয়াশামাখা প্রকৃতির পরিবেশের মধ্যে সেই দৃশ্যটি আমার চোখে পড়লো এবং আমি ফটোগ্রাফি করলাম। সত্যিই মুহূর্তটা অনেক ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফি-৬👇

IMG_20221230_121942.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৭👇

IMG_20221230_121836.jpg

তারপরে আমি বড় বাজারের দিকে আসতে লাগলাম। বড় বাজারে আসার পথে রাস্তার পাশে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দুটি গাছ দেখতে পেলাম। সেই গাছের ফটোগ্রাফি করলাম। আর এই গাছগুলো সিরাজগঞ্জ শহরে সবচাইতে পুরনো গাছ।তাই কুয়াশামাখা দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করলাম।
ফটোগ্রাফি-৮👇

IMG_20221230_121824.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৯👇

IMG_20221230_121800.jpg

বড় বাজারের রাস্তার পাশে আসলাম। আমি সাড়ে দশটার দিকে এসে দেখতে পেলাম এই রাস্তা একদম ফাঁকা। আসলেই এই রাস্তাটি খুবই ব্যস্ত রাস্তা। আজকে কুয়াশার কারণে দেখতে পেলাম রাস্তাটি একদম নিরিবিলি। সত্যি কুয়াশার কারণে যেন মানুষ আগের মতো আর বাইরে বের হচ্ছে না।
ফটোগ্রাফি-১০👇

IMG_20221230_121745.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-১১👇

IMG_20221230_122007.jpg

তারপরে আমি সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের পাশে আসলাম। কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের পাশে এসে এই দৃশ্যটির ফটোগ্রাফি করলাম। কলেজের সামনে যেন একদম নিরিবিলি। আসলে মানুষ আর আগের মত বের হচ্ছে না। কারণ প্রচন্ড শীত আর কুয়াশার কারণে।
ফটোগ্রাফি-১২👇

IMG_20221230_121811.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-১৩👇

IMG_20221230_122019.jpg

তারপর সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র ইস্টিশন বাজার মার্কেটে আসলাম। স্টেশন বাজার মার্কেটে এসে গোলচত্বরে সৌন্দর্যময় একটি ফটোগ্রাফিক করলাম। তারপরে ইস্টিশনের জামে মসজিদের দেওয়ালের একটি পেইন্টিং এর সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ফটোগ্রাফি-১৪👇

IMG_20221230_122055.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

কুয়াশামাখা শীতের সকালের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া এবং শীতের কুয়াশামাখা দৃশ্যগুলোর ফটোগ্রাফি করতে পেরে আমার খুবই ভাল লাগল। আসলে এত কুয়াশা পড়েছে যার কারণে আমি দশ ফুট দূরে কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। তারপরেও প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। শীতের সকালের এই সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই পরবর্তীতে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হব আরও সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়ে, সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল।🙏🌹🙏


New_Benner_ABB.png

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাRedmi Note 6 Pro
ধরণশীতের সকালে সৌন্দর্যময় প্রকৃতির রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি।
ক্যামেরা.মডেলNote 6 Pro
ক্যাপচার@rayhan111
অবস্থানসিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ

banner-abbVD.png

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png-4.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন💗🌹💗🌹💗

Sort:  
 2 years ago 

শীতের সকালে রাস্তাঘাটে চলাচল করা সত্যি অনেক কষ্টের ব্যাপার। যদিও এত সকালে ঘুম থেকে ওঠা হয় না। তবে আজকে পরীক্ষা ছিল তাই তো খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা হয়েছে। চারপাশে কুয়াশায় কিছু। কিছু দেখা যাচ্ছিল না। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। কুয়াশাচ্ছন্ন এই প্রকৃতি নতুনভাবে সেজে উঠেছে।

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

সত্যি ভাইয়া শীতের সকালে চলাচল করা অনেক কষ্টের। আসলে এতো সকালে ঘুম থেকে উঠলেও কখনো বাইরে যাওয়া হয়নি। কয়েক দিন ধরে অনেক শীত পড়ছে। আপনার শীতের সকালে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। গোলচত্বরে সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফিটা বেশি ভালো লেগেছে।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

বাপরে বাপ ! এত ভোরে কুয়াশামাখা ভোরে কি করে আপনি লেপের ভিতর হতে বের হলেন সেটাই ভাবলাম কিছুক্ষন। তারপর ভেবে দেখলাম শীত মনে হয় আপনাকেই ভয় পায়। যাক খুব সন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করলেন আপনি। ও তাতো হবেই কারন ফটোগ্রাফি তো আবার আপনার কাজের অংশ।

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

শীতের সকালে কুয়াশা যেন কাটতেই চায় না। কুয়াশার কারণে বাইরে যেতে ভয় লাগে।আপনি শহীদ মিনারে শীতের সকালে নানা ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 

এই প্রচন্ড শীতে কুয়াশা মাখা ভোরে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। দেখতে তো ভালই লাগছে। কিন্তু একদম প্রয়োজন ছাড়া এই কুয়াশার মধ্যে না বের হওয়াটাই ভালো। আমি সকাল ৯ টার আগে ঘর থেকেই বের হই না। কুয়াশা যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ আমি ঘর থেকে বের হই না। কারণ একবার যদি ঠান্ডা লেগে যায় তাহলে কোন ভাবেই সারা সম্ভব হবে না। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগলো। তবে তিনটি নারিকেল গাছ বললেন যে এগুলো তো আমার কাছে তালগাছ মনে হচ্ছে😁।

 2 years ago 

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 

শীতের সকালে এইভাবে বাইরে হেঁটে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। তবে গ্রামে শীতের সৌন্দর্য বেশ উপভোগ করা যায়। বেশ ভালো লেগেছে কুয়াশা মাখা সকালটি। গাছ গাছালি, বাড়ি, রাস্তাঘাট বেশ ভালো ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 

আপনার শীতের সকালের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। শীতে তো সকাল সকাল উঠতেই পারি না ভাই। শীতের সময় কুয়াশাচ্ছন্ন থাকার কারণে রাস্তাঘাটে চলাফেরা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। এই সময় বেশি এক্সিডেন্ট হয়। তবে শীতকালে এই কুয়াশা খুব সুন্দর একটি দৃশ্য সৃষ্টি করে যা দেখে মন জুড়িয়ে যায়।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

শীতকাল পরিবেশটা এমন একটি পরিবেশ সব কিছু ভালো লাগে।প্রকৃতি এমই রূপে সজ্জিত হয়ে থাকে যেটা দেখি সেটাই যেন চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য বিরাজ করে।আপনি কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখতে অনেক ভালো লেগেছে।তবে শীতকালে আমার একটি বিরক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে যে গাড়িতে চড়লে যে ঠান্ডা বাতাস লাগে সেটা।

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58067.54
ETH 2469.39
USDT 1.00
SBD 2.40