গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যময় পরিবেশ দেখলেই মন ভরে যায়। তাই আজকে অনেকদিন পর আমার গ্রামে আসলাম। আমার গ্রামে সুন্দরময় এই প্রকৃতি পরিবেশ দেখে আমি খুবই খুশি হলাম। কারণ নিজগ্রাম প্রত্যেকটা মানুষেরই কাছে প্রিয়। নিজের মাতৃভূমি এবং জন্মভূমি সকলের কাছে খুবই প্রিয়। মাতৃভূমির মত অন্য কোথাও বসবাস করে মজা পাওয়া যায় না। আসলে নিজের জন্মস্থান কেউ কখনো ভুলতে পারে না। আর নিজের জন্মস্থানে আসলে মন অনেক ভাল হয়ে যায়।যদিও নিজের জন্মস্থান খুব একটা সুন্দর না দেখা গেলেও নিজের কাছে সবচাইতে বেশি সুন্দর মনে হয়। সবার জন্মস্থান সবার সব চাইতে বেশি সুন্দর। কেউ কোনদিন বলে না যে আমার জন্মস্থানের সুন্দর নয়। আসলে জন্মস্থান সুন্দর হয় হৃদয়ের ভালোবাসা থেকে। হৃদয়ের ভালোবাসা সেই জায়গাটা এবং প্রকৃতির উপরে থাকে। তাই সেই জায়গাটা সবচাইতে বেশি সুন্দর মনে হয়। তাই আমার কাছে আমার জন্মস্থান,আমার গ্রাম সবচাইতে সুন্দর গ্রাম বলে আমি মনে করি।

তাই প্রথমে আমি গ্রামে এসে ফসলের মাঠের পাশে আসলাম। ফসলের মাঠ দেখতে খুবই ভালো লাগে। সবুজ শ্যামলে ভরা এই ফসলের মাঠ। দেখে আমার মন ভরে যায়। ফসলের মাঠের পাশে ফুলের বাগান আসলে কৃষকেরা তাদের এই ফসলের জমিতে ফুলের বাগান করেছে। যা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। একপাশে দেখতে পেলাম সূর্যমুখী ফুলের বাগান এবং অন্য পাশে ঘাসের সৌন্দর্যময় সবুজ প্রকৃতি। দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো।

গ্রামে এসে শুনতে পেলাম আমার চাচাতো ভাই রফিক সে একটি ঘোড়া কিনেছে।তার অনেকদিনের শখ ছিল ঘোড়া কিনবে। আমাদের সাথে অনেক গল্প করতো।সে ঘোড়া কিনবে।ঘোড়ায় করে সে যাতায়াত করবে। এটি তার স্বপ। তাই সে কিছু দিন হলো ঘোড়া কিনেছে।আজকে গ্রামে প্রবেশ করে আমি শুনতে পেলাম রফিক ভাই ঘোড়া কিনেছে। তাই আমি তার ঘোড়াটা দেখার জন্য খুবই আগ্রহী হলাম। পরে আমি শুনতে পেলাম তার ঘোড়া আমাদের বাড়ির পাশে গাছের বাগান ঘাস খায়াচ্ছে।তাই আমি সেই বাগানে ঘোড়া দেখতে আসলাম।

বাগানে এসে আমি দেখলাম লাল,কালো একটি ঘোড়ার ঘাস খাচ্ছে। এই ঘোড়াটি রফিক ভাইয়া কিনেছে। সত্যিই ঘোড়াটি দেখতে অনেক সুন্দর। ঘোড়াটি লাল এবং কালো দেখতে। আমার অনেক ভালো লেগেছে।আমাদের গ্রামে এই প্রথম একটি ঘোড়ার কেনা হলো। গ্রামের মানুষ তাই এই ঘোড়াটি দেখার জন্য প্রতিদিনই ভিড় জমিয়েছিল, সেটা শুনে ভালোই লাগলো।

তারপরে সূর্যমুখী ফুল আমি দেখতে পেলাম। এই সূর্যমুখী ফুল দেখে আমার খুবই ভাল লাগল। তাই অপরূপ সৌন্দর্যময় আকাশের প্রকৃতির মাঝে এই সূর্যমুখী ফুলের একটি ফটোগ্রাফিক করলাম। ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভালো লেগেছে।

সূর্যমুখী ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে ভাল লাগল। আসলে প্রত্যেকটা গ্রামে এখন সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করা হয়। আর এই সূর্যমুখী ফুল গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আমাদের গ্রামের সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো।

গ্রামের ফসলের মাঠে সেচের পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এই সেচের পানি চলাচলের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা করা হয়েছে।ফসলের মাঠের পাশ দিয়ে সবুজ প্রকৃতি মাঠের পাশ দিয়ে পানি বয়ে চলেছে ফসলের জমি দিকে। তাই আমি বসে থেকে এই সুন্দর ফটোগ্রাফি করলাম।

আমাদের গ্রামের রাস্তার পাশে বড় একটি গাছ রয়েছে। আমরা এই গাছের নিচে বসে আড্ডা দেই। গাছের নিচে বসে বিশ্রাম করে। এই গাছটি আমার খুবই পরিচিত কারণ ছোটবেলায় গাছের নিচে বসে আমরা অনেক খেলাধূলা করতাম। আজকে এই গাছটি দেখতে ভাল লাগল। তাই সবুজ প্রকৃতির নীল আকাশের মাঝে গাছটির ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।