ছোটবেলা বাবার সাথে যমুনা নদীর পাড়ে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প//শেষ-পর্ব
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
ছোটবেলা আমি বাবার সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আসলে প্রত্যেকটা বাবা তার সন্তানকে আগলে রাখে সকল বিপদের মাঝে। আর ছোটবেলা বাবার সাথে যেন অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি। বিশেষ করে বাবার সাথে নদীর পাড়ে ভ্রমন করতে গিয়েছিলাম। আর এই নদীর পাড়ে ভ্রমণ করতে গিয়ে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই নদীর পাড়ে ভ্রমণের মুহূর্তের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ছিলাম। আজকে সেই গল্পটি শেষের পর্ব নিয়ে এসেছি। আসলে ছোটবেলা বাবার সাথে প্রথমবার নদীর পাড়ে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম, আর সেই মুহূর্তগুলো এখুন মনে আছে, অনেক আনন্দময় ছিলো।তাই গল্পটি আপনাদের মাঝে আজকে শেয়ার করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। তো বন্ধুরা চলুন শেষের পর্বটি পড়া শুরু করা যাক।
নদীর পাড়ে ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো সত্যি অনেক আনন্দময় ছিল। এবং নদীর পাড় থেকে আমরা ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে যখন বাসার দিকে রওনা দিলাম। তখন দেখতে পেলাম বটগাছের নিচের ওখানে অনেক মানুষের ভিড় এবং সেখানে কেউ কেউ বলছে মারামারি বেজেছে। তাই বাবা সেখানে গেল গিয়ে দেখতে পেল আমাদের গ্রামের রহিম চাচা এবং অন্য একটা লোকের সাথে ঝগড়া বেজেছে। আর রহিম চাচা খুবই ভদ্র মানুষ ছিল। যার কারণে বাবা রহিম চাচার পক্ষে নিয়ে তার সাথে কথা বলতে লাগলো। আসলে রহিম চাচার সাথে যে লোকটি কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। সেই লোকটি ছিল খুবই খারাপ। সে ছিল নেশাখোর এবং টাকার জন্য মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করত।
আসলে রহিম চাচা ছিল মাছ বিক্রেতা, সে নদীর থেকে মাছ ধরে বিক্রি করতো এবং সততার সাথে ব্যবসা করতো। যার কারণে আমাদের গ্রামের মানুষ এবং আশেপাশে গ্রামের মানুষ রহিম চাচাকে খুবই ভালোবাসতো এবং তার সাথে ভালো ব্যবহার করতো, কিন্তু এই লোকটি ছিল নেশাখোর সে রহিম চাচার কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল। আর চাচা দিতে চাইনি বলে তার সাথে ঝগড়া বেজেছে। এলাকার মানুষ সেই লোকটিকে অনেক খারাপ বকাবকি করতে ছিল। আসলে নেশাখোর মানুষ হলে যা হয় তাদের নেশা উঠলে যেন টাকার জন্য পাগল হয়ে যায়। নেশাখোর লোকটি বললো আমি রহিমের কাছ থেকে মাছ কিনতে এসেছি। তাকে আমি ৫০০ টাকা দিয়েছি সে আমাকে ৪০০ টাকায় ফেরত দেয়নি. কিন্তু রহিম চাচা বলতেছে সে তাকে ১০০ টাকা দিয়েছে আর এই ১০০ টাকার বিনিময়ে রহিম চাচা তাকে মাছ দিয়েছে। তারপর এসে আরো ৪০০ টাকা ফেরত চাচ্ছে।
এই নিয়ে ঝগড়া হচ্ছিল, কিন্তু রহিম চাচা বলছে তার কাছে মাত্র ৩০০ টাকা রয়েছে। সে ৩০০ টাকার মাছ বিক্রি করেছে। এবং ৫০০ টাকা সে কিভাবে দিল। তার কাছে ৫০০ টাকার কোন নোটি নেই এবং ৫০০ টাকাও তার কাছে নেই। এই নিয়ে যেন তর্ক হচ্ছিল। আসলে এই নেশাখোর লোকটি মিথ্যা বলতে ছিলো। সে ১০০ টাকার মাছ তো নিয়েছে আরো ৪০০ টাকা ফেরত নিবে এই ধান্দা করে এসেছিল। এলাকার মানুষ ও বাবা সাথে থেকে ওই লোকটিকে অনেক শায়েস্তা করে এবং ওখান থেকে সরে যেতে বলে। আর বলে যে তোকে যেন আর কোনদিন এখানে মাছ কিনতে আসতে না দেখি কারণ আমার বাবার বন্ধু ছিল এই এলাকার চেয়ারম্যান। যার কারণে চেয়ারম্যানকে ফোন দেওয়া হয় এবং চেয়ারম্যান তখন দুই একজন লোক পাঠিয়ে দেয় সেই খারাপ লোকটিকে শায়েস্তা করার জন্য।
আমার পরিচয়
👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
Sort: Trending
[-]
successgr.with (74) last year