নৌকায় করে মামার বিয়ের স্মৃতিময় গল্প// পর্ব- ২

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বর্ষাকালে নৌকায় করে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করা যায়। পিকনিক করার মুহূর্ত এবং নৌকায় করে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন আগে নৌকায় করে অনেক দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে বর্ষার পানি সেরকম আর হয় না। যার কারণে মানুষ নৌকায় করে বিয়ে খুবই কম দেখে। ঐতিহ্যবাহী এই নৌকায় করে বিয়ে করার দৃশ্য আর দেখা পাওয়া যায় না। তাই আমার স্মৃতির পাতা থেকে মামার বিয়েতে আমি নৌকায় করে গিয়েছিলাম। আর সেই মুহূর্তের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি, আশা করছি গল্পটি পড়ে ভালো লাগবে।


ship-952292_1280.jpg

source

তো আমরা সবাই মিলে নৌকায় করে মামার বিয়েতে গিয়েছিলাম। আর নৌকায় করে যাওয়া সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দময় ছিল। কারণ সবাই একসাথে একই নৌকায় করে আনন্দের সাথে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পরে আমরা ওই বাড়িতে অনেক আয়োজন দেখতে পেলাম এবং সকল আয়োজনের পার হয়ে আমরা যখন খাবারে বসলাম। দেখতে পেলাম তারা অনেক সুন্দরভাবে খাবারের আইটেম করেছে। বিশেষ করে মামার জন্য অর্থাৎ বরের জন্য তারা খুবই সুন্দর একটি আসনের ব্যবস্থা করেছে। এই আসনে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে তারা অনেক আনন্দময় এবং উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে মামা এবং আমার অন্য অন্য খালুদের খাওয়াচ্ছিলো।


আমরা সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম, খাওয়া দাওয়া পরে মামা জুতা পাচ্ছিলাম না। মামার জুতা নিয়ে তারা লুকিয়ে রেখেছিল। আসলে জুতা নাকি টাকা ছাড়া দেয় না। যার কারণে তারা লুকিয়ে রেখেছিলো। মামা আর জুতা পাইলো না তারপরে অনেক খোঁজাখুঁজি করলো। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি কিন্তু জুতা পাচ্ছিলাম না। তারপরে ও তাদেরকে টাকা দেওয়া হলো আর মামার শালিয়া কোথা থেকে যেন এই জুতা বের করে এনে দিল। আসলে মামা এবং আমার ছোট মামারা অনেক আনন্দের সাথে সেই দিনটা পার করতেছিল। খু্বি মজার সাথে সময় পার করছিলো।আমি ও মামা বয়সের মামাতো ভাইরা শুধু দেখতে ছিলাম আর ভাবছিলাম আমরা কবে বড় হব। আমরাও বিয়েতে এরকম আনন্দময় মুহূর্তের উপভোগ করব।


boat-164977_1280.jpg

source

আমার ছোট মামারা তার ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা তাই কয়েকজন মিলে খুবই আনন্দের সাথে ওই দিনটা উপভোগ করতে ছিল ও যে মামা বিয়ে করছে তার শালীদের কাছে পান চেয়েছিল। আর তারা মরিচ দিয়ে পান বানিয়ে দিয়েছিল। মামারা বুঝতে পারেনি যখন পানগুলো খেয়েছি মামারা মরিচের গুড়া কারণে ঝালে মুখের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।বিয়াই বিয়াইনরা মিলে খুবই আনন্দের সাথে ওই দিনটা তারা উপভোগ করতে ছিল। আমরা শুধু তাকিয়ে দেখতে ছিলাম।


ওই ঝালের পানের প্লেটটা নিয়ে তারা যখন রুমে দিকে যাচ্ছিল এমন সময় আমার নানার ভাই অর্থাৎ চাই চাচাতো নানা তাদেরকে ডাক দেয় এবং ডাক দিয়ে বলে পান নিয়ে কোথায় থাকো। খাওয়াতে হবে তো। এই বলে একটি ঝাল পান হাতে নায় এবং তারা না করে যা আপনার জন্য এই পার না। আপনার জন্য আরো পান নিয়ে আসছি। কিন্তু সে কথা না শুনে পানটি মুখে দিয়ে খাওয়া শুরু করে দেয় এবং ঝালে তার মুখের অবস্থা খারাপ হয়। আর নানার এই ভাই ছিল আরো ত্যাড়া মেজাজের। যার কারণে ওরকম রাগারাগি এবং পুরো বিয়ের বাড়িতে যেন মাথায় তুলে নেয়। এতটা রাগারাগি শুরু করে দেয় একজন হইচই শুরু হয়ে যায়। আনন্দের মুহূর্তগুলো যেন মাটি হয়ে যায় এবং সবাই আতঙ্কিত হয় পড়ে।

মামারা সবাই এসে বলে যে এই পান আপনার জন্য না। এই পান আমাদের সাথে মজা করার জন্যই ওরা এনেছিল। আপনিই তো জোর করে খেয়েছেন। কিন্তু নানা তো সেই ত্যাড়া মানুষ।সে বলে যে আমাকে ইচ্ছা করে ঝাল পান খাওয়ানো হয়েছে। এই বিয়ে বাড়ির সবাই শয়তান। নানা রকমের কথায় সবাই অন্য রকম হয়ে গেলো।সকল অনুষ্ঠানের মুহূর্ত যেন নানার কারণে ভেস্তে যাচ্ছিল। রাগারাগি করে রাগ করে নানা চলে যাচ্ছিলো সবাই তাকে বুঝা ছিলো কিন্তু সে বুঝতেই চাচ্ছিলো না। তারপরে যারা পান বানিয়েছিল তারা এসে ভুল শিকার করে নানার কাছে অনেকবার মাপ চেয়ে নানাকে ঠান্ডা করা হয়। এবং বিশেষ করে মামারা ও যে মামার বিয়ে হয়েছে সে মামাও হাতজোড় করে নানাকে ঠান্ডা করে।তারপর সেই নানা একটু ঠান্ডা হলো,তো বন্ধুরা বাকি অংশটুকু আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবেন ইনশাআল্লাহ।আশা করছি সে পর্বের জন্য আপনারা সবাই অপেক্ষা করবেন। 🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 7 months ago 

আমি তো কখনও নৌকায় করে বরযাত্রী আসে দেখিনি। সেই দিনগুলো এখন আর নেই। কখনো তা ফিরে আসবেও না। বিয়ে বাড়িতে সবসময়ই হট্টগোল হয়ে থাকে। এবার যেকোনো বিষয় নিয়েই হতে পারে। এটা যেন বিয়ে বাড়ির একটা রীতি। তবে অবশেষে আপনার নানা ঠান্ডা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার মামার বিয়ের গল্পের সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60841.72
ETH 2603.92
USDT 1.00
SBD 2.56