নদীর পারে ভূত দেখার গল্প//পর্ব-১
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আসলে ভূতের ভয় আমাদের প্রত্যেকেরই মনে রয়েছে। কারণ ছোটবেলা থেকেই এই ভূতের গল্প আমরা শুনতাম বড়দের কাছে।এখন অনেকেই বলে ভূত বলতে কিছু নেই। কিন্তু আমার মনে হয় ভূল বলতে কিছু না কিছু আছে। অন্ধকার রাতে কোথাও গেলেই এই ভূতের কথা মনে পরে।আমরা ভয় পেয়ে থাকি।মনে হয় পেছন থেকে এই ভূত এসে আবার আমাদের ধরে ফেলে। আর এই ভূতের গল্প গুলো আমরা ছোটবেলা থেকেই দাদা দাদি বা নানা নানির কাছে শুনে আসছি। আর এই ভূতের প্রতি আমাদের একটা দুর্বলতা রয়েছে। তাই স্মৃতির পাতায় থেকে ভূত দেখার অনুভূতি নিয়ে ঘটে যাওয়া গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আসলে এই গল্পটি একদম বাস্তবমুখী গল্প।
আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়াশোনা করি। ছোটবেলা বেশিরভাগ সময় আমি মামা বাড়িতে থাকতাম। আসলে মামা বাড়িতে আমার সমবয়সী অনেক মামাতো ভাই ছিল। যার কারণে ওদের সাথে খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। আর মামা বাড়িতে গিয়ে খুবই ভালো লাগতো, কারণ সমবয়সীদের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করা যেতো। আর মামা বাড়িতে বাবা-মার শাসনও থাকত না, যার কারণে খুবই ভালো লাগতো। মামা বাড়িতে গিয়ে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতাম। একদিন বিকেল বেলা আমি এবং আমার মামাতো ভাইরা মিলে ঘুরতে এসেছিলাম নদীর পাড়ে। নদীর পাড়ে ঘুরতে আসার সেই মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দ ছিল। তবে নদীর পাড়ে আমাকে ভ্রমণ করতে দেয় না, কারণ নদীর পাড়ে একটি গাছ রয়েছে বিশাল বড় পুরনো গাছ। এই গাছের কাছে নাকি ভূত রয়েছে।
আমাদের চাইতে একজন বড় আমার মামাতো ভাই ছিলো সেই ক্লাস নাইনে পড়াশোনা করতো। আর এই মামাতো ভাই বলতেও চল আজকে আমরা নদীর পাড়ে যাই। নদীর পাড়ে গিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য দেখব। আর সেই মামাতো ভাইয়ের সাথে আমরা বিকেল বেলায় এসেছিলাম নদীর পাড়ে, আসলে বিকেলবেলা আমাকে নদীর পাড়ে আসতে দিত না। কারণ আমার সাথে নাকি ভূতের আরি বেশি নানি বলতো ছোট বেলা অনেক সমস্যা হতো আমার। আসলে আমার রাশি পাতলা, যার কারণে কোন কিছু দেখলেই আমি ভয় পেতাম এবং রাতে কোথাও গেলে ভয়ানক কোন জায়গায় গেলে আমি নাকি রাতে কান্না করতাম। যার কারণে আমাকে এই নদীর পাড়ে আসতে দিত না। বিশেষ করে নদীর পারে যে পুরনো গাছ রয়েছে, এই গাছে গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছিল একজন মেয়ে। যার কারণে এখানে ভয় অনেক বেশি। আর এই নদীর পারে আমাকে সেজন্য আসতে দিত না। বারবার না করত কিন্তু সেদিন মামাতো ভাইয়ের সাথে আমি নদীর পাড়ে এসেছি এবং নদীর পারে এসে সেই গাছের নিচে বসে থেকেই আমরা মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে ছিলাম। তবে আমার মামাতো ভাই বলছে আসলে ভূত বলতে কিছু নেই। এগুলো এমনি এক কথা তুই যেন কোন ভয় পাস না।
নদীর পারে সেই গাছের নিচে অনেকগুলো নৌকা বাধা ছিল। আমরা সেই নৌকার উপরে খেলাধুলা করতেছিলাম। তবে নৌকার উপরে খেলাধুলা করতে কিরকম যেন একটা ভয় লাগলো। আমি গাছের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, আর দেখতে পেলাম সাদা সাদা কি যেন উড়ে এসে গাছের উপরে বসলো। তখন মাগরিবের আজান দিবে, এই সময় আসলে মাগরিবের পরে এখানে কেউ থাকেনা। কিন্তু মামাতো ভাইয়ের সাথে আজকে ঘুরতে এসে বিপদে পড়ে গেছি ও তো যাবে না। আমার মনে হচ্ছিল মামাতো ভাইয়ের মধ্যে কিছু একটা হয়েছে। সে যেন বারবার আমাদের নৌকার উপরে নিয়ে খেলাধুলা করতেছিল। মনে হচ্ছিল সে আমাদের ধাক্কা দিয়ে নৌকা থেকে ফেলে দেবে। আমি বললাম আমি আর এখানে থাকবোই না। চলে যাব, যার কারণে আমার সাথে আরো ছোট ছোট মামাতো ভাইরা ছিল আমার সমবয়সী ওরাও চলে আসলো চায়লো।
আমার সমবয়সী মামাতো ভাইরাও আমার সাথে চলে আসলো। তবে গাছের উপরে সাদা কি এসে পড়ল এটাই যেন আমার সব সময় কল্পনা হচ্ছিল। আর আমি এটা নিয়ে ভাবতেছিলাম খুবই খারাপ লাগতেছিল। সেই দৃশ্যটির কথা বারবার মনে পড়তে ছিল, আর মনে হচ্ছিল কি দেখলাম সেটাই কি ভূত নাকি। আমার মনের ভিতর অনেক চিন্তা রাতে আমি ঘুমিয়েছি ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে দেখতে পেলাম একজনে সাদা ভয়ানক পোষাকের ভুতের মতো কি যেন আমার বুকের উপরে এসে বসলো। আমি চিৎকার করে উঠলাম এবং ঘুম আমার ভেঙ্গে গেল।
গল্পটি চলমান
আমিতো গল্প করতে করতে কেমন যেন একটা হয়ে গিয়েছিলাম। নদীর ধারে নৌকাতে খেলা করতে করতে গাছের উপর কি যেন একটা সাদা উড়ে এসে বসলো কথাটি যতবার পড়ছি তেমন একটা ভালো লাগলো। আসলে ভুতের গল্প পড়তে ও শুনতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে আপনার পুরো গল্পটাই যে ঘুমের মধ্যে এটা শেষ পর্যন্ত না পড়লে হয়তো বুঝতে পারতাম না। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।
ভুতের গল্প পড়তে আপনারা ভালোলাগে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। তবে আপু আমার পুরো গল্পটা ঘুমের মধ্যে না। আমার গল্পটা নৌকার ভিতর নদীর পাড়ে যেটা হয়েছিল রাতে ঘুমের মধ্যে ওই ভয়টা আবারো দেখে ভয় পেয়েছিলাম।
এমনও তো হতে পারে এই ভূত আপনার মামাতো ভাইয়ের উপর ভর করে আপনাদেরকে বারবার নৌকায় নিয়ে যেতে চাচ্ছিল। তাছাড়া আগেকার দিনে মাগরিবের আযানের পর বাচ্চাদেরকে বাইরে থাকতে নিষেধ করত। কারণ সে সময় নাকি ভুতের আনাগোনা বেশি হতো। যাই হোক সন্ধ্যার সময় ভয় পেয়েছিলাম জন্য স্বপ্ন দেখেছিলেন রাতে। আশা করি আপনার নানির পানি পড়া খেয়ে আপনারভয় কেটে গিয়েছিল।
আপনার কথায় যুক্তি রয়েছে, আসলে ভুত মামাতো ভাইয়ের উপর ভর করেও পারে,তাইর হয়তো মামাতো ভাই বারবার আমাদের ওই নৌকার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল এবং বারবার বলতে ছিল ভয় নেই, আপনার মন্তব্য যেন ধন্যবাদ।
ভূতের গল্প পড়তে আমার কাছে ভালো লাগে কিন্তু আবার অনেক ভয়ও লাগে। তার মধ্যে রাত্রেবেলা বেশি ভয় পাই। আগে আমরাও দেখতাম মাগরিবের নামাজের পর বাচ্চাদেরকে বেশি বাহিরে থাকতে দিত না। আপনার ভূতের গল্পটি পড়ে আমার কাছে ও ভয় লেগেছে। পানি পড়া খেয়ে পরে শুয়ে যাওয়ার পর কি হয়েছিল। তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে ভূতের গল্প পড়তে আমাদেরও সবারই ভালো লাগে এবং গল্পগুলো শুনতেও আগ্রহ প্রকাশ করি আমরা, কিন্তু এই গল্পগুলো পড়তে এবং শুনতে ভয় লাগে বিশেষ করে রাতের বেলায়।আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি একের পরে এক আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর গল্প শেয়ার করে যাচ্ছেন৷ আজকেও খুবই সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন । আপনারা যখন নদীর পাড়ে নৌকার উপরে খেলাধুলা করছিলেন তখন মাগরিবের হয়ে গেল এবং যখনই আপনি গাছের দিকে তাকালেন তখন দেখলাম যে সাদা কিছু উড়ে বেড়াচ্ছে৷ এরপর সকলকে বললেন যে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য৷ তবে আপনার মামাতো ভাইয়ের যেন কি হয়ে গিয়েছিল যে কোনমতেই যেতে চাচ্ছিল না৷ পরবর্তী সময় আপনি অনেক জোরাজোরি করার পর যখন আপনি বললেন যে এখানে আর আপনি থাকবেন না তখন সকলে আপনার সাথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো৷ এরপর বাসায় আসার পর যখন আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন, ঘুমের ঘোরে আপনি স্বপ্নে দেখতে পাচ্ছেন যে আপনার বুকের উপর কি যেন এসে বসে গেছে৷ আপনি চিৎকার করে উঠে গেলেন৷ আসলে সে সময় আপনি যে ভয়টি পেয়েছিলেন এটি আপনাকে প্রতিনিয়তই ভয় দিয়ে যাচ্ছে৷ ফলে ঘুমের ঘোরেও আপনি এরকম ভুতের মত কিছু জিনিস দেখতে পাচ্ছেন৷ পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ঘুমের ঘরে যে ভয়টা পেয়েছিলাম সেটা অনেক দিন থেকেছে, আর এই ভয়টা যেন এখনো মাঝেমধ্যে পাই।
এরকম ভয় পেলে তা ভোলার মতো নয়। আশা করি তাড়াতাড়ি আপনি এটি ভুলে যাবেন৷
কে বলল ভূত বলতে কিছু নেই। আলবাত আছে। এই যেমন আপনি ছেলেবেলায় দেখেছেন তেমন করে সবাই একবার দেখলেই বুঝবে কত ধানে কত চাল। আপনার এই ছেলেবেলার ভূত দেখার গল্প পড়ে তো আমি নিজেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু, ভূত বলতে কিছুই নেই,এই কথা সত্য নয়, যে দেখে সেই বুঝে কত ধানে কত চাল মন্তব্য জন্য ধন্যবাদ।
https://twitter.com/rayhan111s/status/1772141043871359021?t=cgbcj5oCq8VGzE7OGPw-eA&s=19
ভূতের গল্প পড়তে আমার যেমন ভালো লাগে তেমনি ভূতের মুভি দেখতেও।আপনি বড়দের মুখ থেকে শুনে সুন্দর ভূতের একটি গল্প শেয়ার করেছেন।আর এটা বাস্তবে আপনার সঙ্গে ঘটেছে বলেই বেশ মজার লাগলো, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আপু ভূতের গল্প বা মুভি দেখতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আর এই গল্পটা আমার সাথে বাস্তব হয়েছিল যার কারণে আপনার ভালো লাগলো জেনে আমি খুশি হলাম।
ভুতের গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ছোট বেলায় এমন অনেক ঘটনা আমাদের সাথে ঘটেছে। আপনাকে নদীর পাড়ে মেতে না করেছিলো তার পর ও আপনি আপনার মামাতো ভাইদের সাথে গিয়েছেন। তারপর বাড়ি ফিরে আসার পর আপনার মনে হয়েছে কেউ আপনার সাথে এসেছে। স্বপ্নের মধ্যে কেউ আপনার বুকের উপর এসে বসেছে। তারপর পানি পড়া খাওয়ার পর কি হয়েছিল জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। গল্পটি বেশ গা ছমছমে ছিলো ধন্যবাদ গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাই নদীর পাড় থেকে যখন বাড়িতে এসেছিলাম, রাতে যে স্বপ্নটা দেখেছি এই স্বপ্নটা অনেক ভয়ানক ছিল। যায় হোক আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার গল্প পড়তেছি আর চারদিকে দেখতেছি সত্যি আবার এখানে ভুত আসবে নাকি।তবে আমাকে ভয় লাগছে যখন সেই গাছের উপর দরি বাঁধিয়ে একটা মেয়ে মারা গেছে। আবার আপনি সাদা সাদা কি যেনো দেখতে পাইছেন।আপনার পুরো গল্প আমি ভয় ভয় করে পড়ছি।যাইহোক পরের পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।