গল্পঃ মনিক ভাইয়ের সততা দেখে সবাই মুগ্ধ //পর্ব-২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
সততা একটি মহৎ গুণ, আর এই সততার গুন প্রত্যেকটা মানুষই অর্জন করতে পারে না। আসলে এই মহৎ গুণ অর্জন করতে হলে তাকে মানুষের প্রতি দয়া মায়া এবং সহানুভূতিশীল হতে হবে, কারণ একজন সহানুভূতিশীল মানুষই সততার সাথে জীবন যাপন করতে পারে। আসলে এই দুনিয়ায় অনেক লোভ লালসার মাঝে যেন সততা টিকিয়ে রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। কারণ এই লোভ লালসার মধ্যে থেকে সততা যেন আমাদের মধ্যে থেকে হারিয়ে যায়। আসলে লোকলালসা নেশা মানুষ সামলাতে পারে না। কিন্তু এই লোভ-লালসার মধ্যে থেকে যে ব্যক্তি সততার সাথে জীবন গড়ে তোলে সেই সমাজের মূল্যবান ব্যক্তি হয়ে যায়। আর এই সততা মানুষকে অনেক সম্মান অর্জন করে দেয়। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে সততা নিয়ে গল্পটি যে শেয়ার করতেছিলাম। সেই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি দ্বিতীয় পর্বের গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
মানিক ভাই তার সিএনজিতে যে ব্যগটি পেয়েছিল সেই ব্যাগটি খুলে দেখলো ব্যাগের ভিতরে অনেক টাকা। আর এই টাকা দেখে মানিক ভাই অবাক হয়ে গেল এবং তার বাবাকে বলল তার বাবা বলল যে ঠিক আছে এই টাকাগুলো বের করে দেখো ব্যাগের ভিতর কোন পরিচয় পত্র আছে কিনা। আসলে মানিক ভাইয়ের বাবা অনেক সৎ ছিলো।যার কারণে মানিক ভাই ও তার বাবা ব্যাগের ভিতর থেকে সকল টাকা বের করল এবং একটি কাগজ পেল এই কাগজটি ছিল ব্যাংকের টাকা জমা দেওয়া কাগজ।
সেই কাগজে পুরো পরিচয় পত্র দেওয়া রয়েছে।আর ব্যাংকে জমা দিতে হলে কোথা থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে এবং কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সকল কিছু থাকে এবং মোবাইল নাম্বার থাকে এবং সেখানে দেখা গেল এই টাকাগুলো একটি হসপিটালের টাকা। আসলে হসপিটালে টাকা যেন ব্যাংকে জমা রাখা হয়। সেই জন্য এই ব্যাগের ভিতরে টাকাগুলো নিয়ে হয়তোবা ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে সিএনজিতে রেখে গিয়েছিলো মানিক ভাইয়ের বাবা বলল ঠিক আছে কোথাকার টাকা সেটা যেহেতু পরিচয় পাওয়া গেছে। আমরা সকালবেলা এই টাকাগুলো নিয়ে হসপিটালে যাব। তুমি আর চিন্তা করো না তুমি এখন ঘুমিয়ে পড়ো। মানিক ভাই সেই টাকাগুলো গুনে দেখলো এখানে ১২ লাখ টাকা রয়েছে। আর এই টাকাগুলো যদি মানিক ভাই তার কাজে ব্যবহার করত, তাহলে সে হয়তো আর এই ভাড়া সিএনজি চালাতে হতো না। সে নিজেই একটা ভালো সিএনজি কিনে অনেক ভালোভাবে চলতে পারতো। কিন্তু অন্যের টাকা নিয়ে বড়লোক হতে চায় না। যার কারণে মানিক ভাই ও তার বাবা এই টাকা গুলো হসপিটালে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
তাই সকালবেলায় মানিক ভাই ও তার বাবা সিরাজগঞ্জ এর আবিসিনা হসপিটালের দিকে রওনা দিল। এই টাকাগুলো জমা দেওয়ার জন্য, টাকা ভর্তি ব্যাগটা নিয়ে যাচ্ছিল এবং বাড়ির আশেপাশের সবাই বললো, এই ব্যাগের ভিতর কি। তখন মানিক ভাই বলল একটা ব্যাগ আমার কাছে একজন রেখে গিয়েছিলো।তাই এই ব্যাগটি জমা দিতে যাচ্ছি। আসলে একটা মানুষ কতটা সৎ হলে, সে ১২ লক্ষ টাকা হাতে পেয়েও যেন একটা টাকা খরচ করতে চাইলো না। এই টাকাটা আসল মালিককে দেওয়ার জন্য যেন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আসলে আমাদের সমাজে এরকম অনেক গরিব মানুষ রয়েছে, অন্যের টাকার প্রতি তাদের কোন যেন লোভী থাকে না। তারা অল্প কামাই করবে কিন্তু সততার সাথে জীবন গড়বে।
তারপরে মানিক ভাই ও তার বাবা হসপিটালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিল। গ্রাম থেকে শহরে তারা রওনা দেওয়ার পথে অনেক চিন্তা করতে ছিলো।যে এই টাকাটা ঠিকভাবে জমা দিতে পারবে কিনা। আসলে গরিব মানুষ এতগুলো টাকা নিয়ে যাচ্ছে মনের ভিতরে যেন ভয় হচ্ছিল। তারপরে আস্তে আস্তে তারা হসপিটালে আসলে এবং হসপিটালে এসেই গেট দারোয়ানের কাছে শুনতে পেল এই হসপিটালের মালিকের কারও সাথে দেখা করবে না আজকে।কারণ অনেকগুলো টাকা গতকাল হারিয়ে গিয়েছে, আর এই টাকাগুলো জমা দিতে গিয়েছিল এই হসপিটালের ম্যানেজার। ম্যানেজার এসে বলছে টাকাগুলো হারিয়ে গেছে, কিন্তু হসপিটালে এর মালিক এটা বিশ্বাস করছে না। যার কারণে সেই ম্যানেজারের উপরে অনেকে রেগে রয়েছে এবং ম্যানেজারের চাকরি বাদ দিবে।সাথে শাস্তিও দিতে পারে আর এই গেট দারোয়ান ছিলো মানিক ভাইয়ের গ্রামের তাই সকল ঘটনা শুনতে পেয়ে মালিক ভাই বলল যে আমি এই হসপিটালের মালিকের সাথে কথা বলতে চাই।
https://twitter.com/rayhan111s/status/1722305008967057559?t=MRK_1VZ7AbNr6JNOnoTirg&s=19