আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
প্রথমেই জানাই সবাইকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আশা করছি নতুন বছরের প্রথম দিন আপনারা সবাই অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন। আমিও এই প্রথম দিন অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। বিশেষ করে আমার হসপিটালের সকল স্টাফদের সাথে নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম। আর নতুন বছরকে আনন্দময় ভাবে উপভোগ করার জন্য এই আয়োজন ছিল। অনেক পরিকল্পনা ছিল সবাই মিলে একদিন পিকনিক করবো। তো স্যাররা বলতেছিল তাহলে নতুন বছরেই করা হোক। তাই নতুন বছর উপলক্ষে পিকনিকের আয়োজন ছিলো। সকলে একসাথে খাওয়ার মুহূর্তটা অনেক আনন্দ সাথে উপভোগ করেছি। স্যারদের সাথে মুহূর্তগুলো খুবই আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। বিশেষ করে হসপিটালের সবাই এক সাথে দিনটি উপভোগ করেছি।হসপিটালের সকল স্টাফদের সাথে নিয়ে এভাবে আনন্দময় মুহূর্ত করা হয় না। তাই নতুন বছর উপলক্ষে সবাইকে সাথে নিয়ে এই দিনটা অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। আর আমাদের কয়েকজনের দায়িত্ব ছিল রান্নাবান্না করা। তাই আমরা সবাই মিলে এবং আমরা কয়েকজন মিলে খিচুড়ি রান্না করেছি। আর সেই রেসিপিটি ধাপে ধাপে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি রেসিপিটা দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।
🍛প্রয়োজনীয় উপকরণ
| উপাদান | পরিমাণ |
|---|
| ১) চাউল | ১৫ কেজি । |
| ২) মরিচের গুঁড়া | পরিমানমতো। |
| ৩) হলুদের গুঁড়া | পরিমানমতো। |
| ৪) মসলা বাটা | পরিমানমতো। |
| ৫) লবণ | পরিমানমতো। |
| ৬)সয়াবিন তেল | ৩ লিটার। |
| ৭) মুসুরের ডাল | ১কেজি। |
| ৯)বুটের ডাল | ১ কেজি। |
| ১০)মুগের ডাল | ১/২ কেজি। |
| ১১)পিঁয়াজ | ৪ কেজি। |
| ১২) কাঁচা মরিচ | ২ কেজি। |
| ১৩)আদা বাটা | পরিমানমতো। |
| খিচুড়ি রেসিপি রান্না করা শুরু করে দিলাম,যেভাবে রান্না করেছি আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করছি। |
|---|
- এই পিকনিকের আয়োজন করার জন্য প্রথমে আমরা বাজার থেকে ডেকচি নিয়ে এসেছি এবং আমরা নিজেরা রান্না করব। স্যাররা বলেছিলো তোমরা যদি না পারো তাহলে বাবুর্চিদের বলি। আমরা বললা স্যার আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করবো সুন্দর করার জন্য। তাই আমরা নিজেরাই রেসিপি তৈরি করবো।তাই প্রথমে একটি চুলা তৈরি করে নিলাম আর তারপরেই সেই ডেকচিতে পিঁয়াজ, কাঁচা মরিচ তেলে ভাজতে লাগলাম।
- পেঁয়াজ কাঁচামরিচ ভালো করে তেলে বেছে নেওয়ার পরে, তার মধ্যে আমরা ডাউল গুলো ঢেলে দিলাম।আর তারপর চাউল গুলো দিয়ে ভালো করে মাখাতে লাগলাম। আসলে তেলে যত ভালো করে ভাজা হবে। তত এই খিচুড়ি রেসিপি সুস্বাদু হবে। তাই আমরা সকলেই বলে দিচ্ছিলাম, আসলে সবাই মিলে এই রেসিপিটা অনেক আনন্দের সাথে তৈরি করতে ছিলাম।
- ভালো করে তেলে ভেজে নেওয়ার পরে, পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে ঝোল করে নিলাম এবং ডেক্সিটি ঢেকে দিয়ে জ্বাল দিতে লাগলাম।
- একটু পরে ডেক্সিটি তুলে দেখলাম চাউল-ফুটতে শুরু করেছে এবং ভালো করে আবারো নেরে দেওয়া হল। যত নিচে না পুড়ে যায়।
*ঝোল অনেকটাই শুকিয়েছে এবং চাউলও অনেক ফুটে, খিচুড়ি রেসিপি মোটামুটি শেষের দিকে এসেছি। তাই আমরা বারবার দেখছিলাম চাউল ভালো করে ফুটেছে কিনা এবং কোন কিছু কম আছে কিনা।
- অবশেষে মজাদার এই খিচুড়ি রেসিপির শেষের ধাপে এসে পৌঁছেছি। আসলে শেষে ধাপে এসে দেখতে পেলাম খিচুড়িটা অনেক সুন্দর হয়েছে।আমরা যেভাবে তৈরি করতে চেয়েছি সেই ভাবেই ঝড়-ঝরা হয়েছে। তাই আমাদের সবার মধ্যে অনেক আনন্দ ছিল। আসলে আমরা ভেবেছিলাম নিজেরা এত বড় আয়োজন করছি, খিচুড়ি যদি ভালো না হয় নরম হয়ে যায় তাহলে খেতে অনেক খারাপ লাগবে।
- খিচুড়ি রান্না শেষে সবাইকে এক জায়গায় করা হলো। হসপিটালে বিশাল বড় একটি রুম রয়েছে সেই রুমে সবাই একসাথে খাবার মুহূর্ত ছিল। তাই সকলকে খাওয়াচ্ছিলাম এবং উপরে স্যাররাও ছিল। আসলে হসপিটালে অনেক বড় বড় স্যার ছিল, যাদের সাথে নিয়ে আজকের এই দিনটা উপভোগ করতে পেরেছি,আর তাদেরকে আমাদের নিজের হাতে রেসিপি রান্না করা খাওয়াতে পেরে আরো বেশি ভালো লেগেছে।
নতুন বছরে হসপিটালে সবাইকে সাথে নিয়ে এই দিনটা আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি।আমাদের তৈরি করা এই রেসিপি সবাই খেয়েছে। ৫০ জনের মতো স্টাফ ছিল কেউই বলেন রেসিপি খারাপ হয়েছে। সবাই অনেক সুনাম করেছে। বিশেষ করে স্যাররা অনেক সুনাম করেছে। তাই যেন অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কারণ আমাদের কষ্টের সার্থকতা পেয়েছি। তাই আপনাদের সাথে আজকের এই রেসিপিটা শেয়ার করলাম।প্রত্যেকটা দিন আমাদের সবারই অনেক আনন্দের সাথে কাটবে এই দোয়া রইল। এবং সবাই যেন পরিবারের সাথে আনন্দের সাথে উপভোগ করতে পারি। বিশেষ করে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে প্রত্যেকটা দিন যেন আনন্দের সাথে কাটে এই কামনা করি।🍲🙏🍲।
ফোনের বিবরণ
| ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
|---|
| ধরণ | রেসিপি। |
| ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
| ক্যাপচার | @rayhan111 |
| অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।
👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
Posted using SteemPro Mobile
যেহেতু হাসপাতালের সব স্টাফ এক সাথে আপনারা পিকনিক খেলেন। বছরের শুরুতে আপনারা খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন। সবাই মিলে অনেক মজার করে খিচুড়ি রান্না করে খেলেন। সেই সাথে রেসিপিটি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লাগলো।
বাহ নতুন বছরকে বরণ করে নিতে পুরাতনকে বিদায় দিতে সুন্দর পিকনিকের আয়োজন। আসলে আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে এমন পিকনিকের আয়োজন করতাম কিন্তু এবার করা হয়ে ওঠেনি। বেশি ভালো লাগলো সুন্দর এই কার্যক্রম দেখে যেখানে ছিল সুন্দর আনন্দ ভালো মুহূর্ত। আর এভাবে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ার মজাই আলাদা।
নতুন বছরকে গ্রহণ করেছেন পিকনিকের মাধ্যমে জেনে ভালো লাগলো।আসলে সবাই মিলে পিকনিক করতে বেশ ভালো লাগে। আপনি পিকনিকের খিচুড়ি রেসিপি শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগছে রান্নার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।ধাপে ধাপে রেসিপিটির রন্ধন প্রণালি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি খিচুড়ি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পিকনিক করতে কার না ভালো লাগে, আপনার খুব সুন্দরভাবে স্টাফ একসাথে হয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন একটা পিকনিকের মাধ্যমে। খুবই চমৎকার ছিল অনেক ইনজয় করেছেন বোঝা যাচ্ছে।
খিচুড়ি আমার বেশ ভালো লাগে খেতে । সবাই মিলে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। নতুন বছর উপলক্ষে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে বেশ ভালো হলো। হাসপাতালের সব স্টাফ এক সাথে আপনারা পিকনিকে মাধ্যমে চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
নতুন বছর উপলক্ষে পিকনিকের আয়োজন সত্যি অসাধারণ ছিলো।সবাই মিলে অসাধারণ একটি দিন উপভোগ করেছেন।