ছোটবেলার দিনগুলো অনেক আনন্দময় ছিল, আর ছোটবেলার এই স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে যেন খুবই ভালো লাগে।আসলে ছোটবেলা বন্ধুদের সাথে এবং বাড়ির সবাইকে সাথে নিয়ে অনেক আনন্দময় মুহুর্ত পার করেছি। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে ছোটবেলার অনেক মজার মজার গল্প রয়েছে। আর ছোটবেলা আম চুরির গল্প আমাদের জীবনে প্রায় সবারই ঘটেছে। অনেকের জীবনে সাথে গল্পগুলো মিলে যাবে। আসলে ছোটবেলার দিনগুলো কথা ভাবতেও ভালো লাগে।সেই দিন গুলো অনেক আনন্দমার সাথে উপভোগ করতাম। আর ছোটবেলার গল্প নিয়ে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করতেছিলাম। এই গল্পের আজকে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি দ্বিতীয় পর্ব করে আপনাদের ভালো লাগবে, তো বন্ধুরা চলুন গল্পটি পড়া শুরু করা যাক।

ছোটবেলায় ঝড়ের দিনে যখন আম কুড়িয়ে নিয়ে বাড়ির দিকে আসতে ছিলাম। তখন স্যারের বউ আমাদের কাছ থেকে আমগুলো জোর করে কেড়ে নেয়। আর এই আম কেড়ে নেওয়াতে অনেক খারাপ লেগেছে।আমি কান্না করতে করতে বাড়িতে এসেছি, মা তো সেই রাগ আর আমাদের ওই গাছতলা যেতে দিবে না। এই কথা আমার চাচাতো ভাই এবং আমার বড় ভাই শুনতে পেয়ে বলল এর প্রতিশোধ নিতেই হবে। কিভাবে ওই স্যারের কাছে আম থাকে আম পাড়া যায় তা বের করতাছি। দ তাই বড় ভাই তার বন্ধুদের সাথে কথা বললো এবং চাচাতো ভাইকে সাথে নিয়ে একদিন রাতে আম গাছের নিচে আসলো। আর সেই আম গাছ থেকে সকল আম রাতের বেলা পারলো লাগলো। আর স্যারের ঘরের দরজা ভাইয়ারা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিয়ে ছিলো।

তারপর ভাইয়া ও তার বন্ধুরা মিলে স্যারের গাছ থেকে পাকা এবং কাঁচা সকল আম পারলো। একটি বস্তার ভিতর নিয়ে সেই বস্তাটি নিয়ে অন্য জায়গায় চলে গেল এবং এই বস্তাটি অন্য একজনের বাড়িতে রেখে দিয়েছিলো। আর সকালবেলা যখন আসার সময় স্যারের দরজার তালা খুলে দেওয়া হয়। তারা বুঝতে পারেনি কারণ গভীর রাতে ছিল। আর সকাল বেলা স্যারের বউ যখন আমতলা এসে দেখলো যে গাছে আম নেই তখন অনেক চিৎকার করতে লাগলো।কারা আম চুরি করল এই নিয়ে স্যারের বউ যেন চিৎকারের করতে লাগলো এবং আমাদের টার্গেট করলো কারণ আমাদের কাছ থেকে জোর করে আমগুলো কেড়ে নিয়েছিল কিন্তু কোন প্রমাণ ছিল না। যার কারণে আমাদের ওইভাবে টার্গেট করতে পারেনি, তবে একা একা অনেক চিৎকার করতে লাগছিলো।

তারপরও দুই তিন দিন পরে ভাই আমাদের বলল যে তোরা আম খাবি নাকি। তখন আমি বললাম খাবো ভাইয়া।তখন বন্ধুদের সাথে নিয়ে ভাইয়া সেই বন্ধুর বাড়িতে গেলাম এবং বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আমগুলো দেখতে পেলাম।দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। ভাইয়া বললো কাউকে বলা যাবে না।সেই আম গুলোর মধ্যে অনেক আম পেঁকে গিয়েছিলো। আমরা আম খেলাম ভাইয়া বলেছে বাড়িতে বলার দরকার নাই। বাড়িতে বললে বাবা-মা আবার বকা দিবে, কারণ আমি আম চুরি করেছি।প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ও স্যারের বউকে শিখা দেওয়া জন্য। আসলে ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের অনেক ভালোবাসা থাকে। ভাইয়ের অপমান অন্য ভাই সইতে পারেনা। সেদিন ভাইয়ার এই কাজটা করাতে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। তাই ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরেছিলাম এবং ভাইয়া এবং আমার বন্ধুদের সাথে মিলে আনন্দের সাথে আমগুলো খাচ্ছিলাম। খুবই ভালো লাগতেছিল সেই মুহূর্তটা।