বর্ষাকালে নৌকায় করে পিকনিক খাওয়ার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-৩ (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বর্ষাকালে পিকনিকের মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ ছিল। আর এই পিকনিকের দিনে আমি অনেক আনন্দ করেছি, বিশেষ করে বড় ভাইয়ের সাথে পিকনিকে গিয়েছিলাম আর এই পিকনিকের মুহূর্তটা অনেক আনন্দময় ছিল। বিশেষ করে যখন মাঠের ভিতরে আমরা খেলাধুলা করলাম। খুবই ভালো লাগলো এবং সকলে একসাথে খাওয়া দাওয়া মুহূর্তটা অনেক আনন্দময় ছিল। গোল হয়ে বসে সবাই মিলে এভাবে খাওয়ার মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ ছিলো।আর পিকনিকের এই খাওয়ার মুহূর্তটাই যেন আনন্দ দেয়। তাই আমাতের একসাথে খাবার সেই দৃশ্যগুলো যেন এখনো চোখের সামনে ভাসে। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে বর্ষাকালে পিকনিকের যাওয়ার সেই গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি শেষ পর্ব পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে, তো বন্ধুরা চলুন গল্পটি পড়া করা শুরু হয়ে যাক।


ship-952292_1280.jpg

source

রান্নাবান্না যখন শেষ হয়ে গেল, তখন আমরা খাওয়ার জন্য মাঠের ভিতরে গোল হয়ে বসলাম। আর এই সবার সাথে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দময় ছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা মাঠের ভিতরে খেলাধুলা করতে লাগলাম। আসলে ভাইয়েরা ফুটবল নিয়ে এসেছিল। যার কারণে তারা এই মাঠের ভিতরে ফুটবল খেললো। আমরা দেখলাম বড়দের এই খেলার মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল। তারপরে তারা সাঁতারের প্রতিযোগিতা দিয়েছিল। এই স্কুল মাঠের পাশেই যে বর্ষার পানি হয়েছিল সেখানে তারা সাঁতারের প্রতিযোগিতা দিয়েছিল। এখানে এই সাঁতালের প্রতিযোগিতা দেখতে খুবই ভালো লাগছিলো।সত্যি সেই মুহূর্তগুলো যেন অনেক আনন্দময় ছিল।


তারপরে আমরা এই প্রতিযোগিতার পরে আবারো সবাই মিলিয়ে নৌকায় উঠলাম। নৌকায় উঠার পরে এই নৌকা আবারো যাত্রা শুরু করল। আসলে এখান থেকে আমরা একটি সৌন্দর্যময় নিবিলের দৃশ্য দেখতে যাবো। আর এই জায়গাটির নাম চলনবিল। এখানে অনেক সুন্দরময় চারপাশের প্রকৃতি এবং শাপলা ফুললে সমাহার। সেই দৃশ্য দেখে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিব। চলনবিলের উদ্দেশ্যে আমাদের এই নৌকা যাত্রা শুরু করলো। তারপরে আমরা আনন্দের সাথে এই বিল দেখার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। নৌকাতে গান-বাজনা হচ্ছিল। সকলে আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে ছিল। আমরা যেন চলন বিলের এই শাপলা ফুলের প্রকৃতির দৃশ্য দেখার জন্য আগ্রহী ছিলাম।


boat-164977_1280.jpg

source

তারপরে ২০ মিনিট পরে, আমরা চলনবিলে এসে পৌঁছালাম। চলনবিলে এসে যেন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। কি অপরূপ সৌন্দর্যময় চারপাশের প্রকৃতি। শাপলা ফুলগুলো যেন ফুটে রয়েছে। এই অপরুপ সৌন্দর্যময় বর্ষাকালে চলনবিলের দৃশ্য দেখতে যেন অসাধারণ লাগতেছিল। তাই আমরা এই সৌন্দর্যময় মুহূর্তের মধ্যে কিছু সময় পার করলাম এবং আমি এই শাপলা ফুল গুলো তুলছিলাম। সত্যি শাপলা ফুল এভাবে ফুটে রয়েছে সেই দৃশ্য দেখে যেন অনেক বেশি ভালো লাগলো। আর এই প্রকৃতির সৌন্দর্যময় দৃশ্যের মধ্যে নৌকাতে গান বাজনা হচ্ছিল সত্যি অসাধারণ সেই মুহূর্ত ছিলো।


চলনবিলের এই সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো। সকলে যেন আনন্দময় একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছে। তারপরে আমরা এখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে এখান থেকে বাড়ি যেতে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। আর নৌকা খুব তাড়াতাড়ি যাচ্ছিল। আমরা আনন্দের সাথে এই নৌকা ভ্রমণ করছিলাম। তারপরে আকাশের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। যার কারণে খুব তাড়াতাড়ি ছুটে চলছিল। ছুটে চলার পথে দেখতে পেলাম আর একটি পিকনিকের নৌকা যাচ্ছে। এই পিকনিকের নৌকার সাথে আমাদের নৌকা প্রতিযোগিতা দিল। আমাদের নৌকা বড় ছিল যার কারণে আমাদের নৌকা আগে চলে আসলো, সেই নৌকা পারেনি। আমাদের নৌকা আগে চলে আসলো তখন আমাদের খুবই ভালো লাগতেছিল। সত্যি এই পিকনিকের মুহূর্ত অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি এবং বাড়ি আসার মুহূর্তটা আরো আনন্দময় হয়েছিল।

পিকনিকের এই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। বড়দের সাথে সত্যি পিকনিকের মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দময় ছিল। যার কারণে পিকনিকের সেই দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে এখনো খুবই ভালো লাগে। বাড়ি আসতে আসতে রাত হয়ে গেল এবং স্কুল মাঠে আমাদের নৌকা যখন থামলো। তখন দেখতে পেলাম বাবা আমাদের এগিয়ে নেয়ার জন্য অনেক আগে এখানে এসে বসে রয়েছে। খুবই ভালো লেগেছে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আমি।বড় ভাই তার বন্ধু বান্ধবের সাথে আরো একটু পরে আসলো। কারণ নৌকা থেকে অনেক কিছু নামাতে হবে। সেই দিনটা আমার খুবই ভালো লাগেছে।এখুনো খুব মনে পরে সেই দিনের কথা।তো আশা করছি আমার এই গল্প পড়ে আপনাদেরও ভালো লাগবে।আজকে এখানেই শেষ করছি,পরবর্তী আবারও আপনাদের মাঝে ভিন্ন কোন গল্প নিয়ে হাজিদ হবো ইনশাআল্লাহ। 🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 58132.39
ETH 3138.08
USDT 1.00
SBD 2.44