প্রকৃতির সৌন্দর্যময় এই নদীর পারে দৃশ্যগুলো সত্যি অসাধারণ। আর নদীর পাড়ে এই মুহূর্তে উপভোগ করার জন্য ভ্রমণে বের হয়েছিলাম মোটরসাইকেল করে বন্ধুদের সাথে। নদীর পাড়ে ভ্রমণ করলাম, আসলে নদীর পাড় দিয়ে আমরা নতুন বাঁধের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। নদীর পাড়ে এই সুন্দর দৃশ্যগুলো দেখে যেন খুবই ভালো লাগলো। নদীর পাড়ে নতুন একটি বাঁধ তৈরি করা হয়েছে আর কিছু দিন হলো এই বাঁধে আমরা ভ্রমণ করতে আসলাম। সবুজের ঘাসের পাশের রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল ভ্রমণের সেই মুহূর্তটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বিকেলবেলা হওয়াতে নদীর পাড়ে এই দৃশ্যগুলো যেন অনেক ভালো লাগলো।শুধু মানুষ আর মানুষ তারাও যেন এই নদীর পারে সৌন্দর্য দেখার জন্য এসেছে। আসলে বিকাল বেলা হলে নদীর পারে হাজার মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। এই নদীর পারে সৌন্দর্য দেখার জন্য সেই মুহূর্তগুলোর ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম।

নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য সুন্দর ভাবে আরও একটি নতুন বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। আর এই বাঁদ দিয়ে যেন অপরূপ সৌন্দর্যময় রাস্তা রয়েছে।এখান দিয়ে হেঁটে যেতে অনেক ভালো লাগে। বিকেলবেলা অনেকেই দেখছি ভ্রমণ করছে। আর এই সবুজ প্রকৃতির নতুন বাঁধের নতুন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল।

নদীর পারে এই বাঁধের পাশে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। নদীর পাড়ে বসে নদীর আবহাওয়া উপভোগ করতে লাগলাম। নদীর আবহাওয়া উপভোগ করতে করতে নৌকা ভ্রমণের দৃশ্যগুলো দেখতে লাগলাম। আসলে আমরা নদীর মাঝে এসেছি এই বাঁধটি নদীর মাঝে যেন অবস্থিত। এখান থেকে নৌকা ভ্রমণের দৃশ্য গুলো খুবই আনন্দের সাথে উপভোগ করা যায়। এরকম সুন্দর পরিবেশের মধ্যে উপভোগের করার মুহূর্তটা আমার দারুন লেগেছে।বিশেষ করে যমুনা নদীর এই পশ্চিম পাশে আসতে পেরে আজকে অনেক ভালো লেগেছে।

যত বিকাল হয় ততই যেন এই বাঁধে মানুষ বেশি আসে। আগে আমরা চায়না বাঁধে ভ্রমন করেছি। এইটি নতুন বাঁধ হওয়াতে মানুষ এখন এখানে আসছে। কারণ নতুন বাঁধ সবাই দেখতে আগ্রহি বেশি।তাই অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে গাড়ি নিয়ে এসেছে এই নদীর দৃশ্য দেখার জন্য। তাই আমরাও আজকে এখানে ভ্রমণ করতে এসে খুবই ভালো লাগছে। প্রায় চার পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বাঁধটি। সেখানে হেঁটে যেতে খুবই কষ্টকর। তাই সকলে গাড়ি নিয়ে যেন এসেছে।

নদীর পাড়ের অন্য দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম বালুচরের সবুজ প্রকৃতির ফসলের চাষাবাদ করেছে। এই বালুচরে তারা বাদামের চাষাবাদ করেছে। আসলে বালুচরে এই চাষাবাদ দৃশ্য গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এরকম সবুজ প্রকৃতির ফসলের মাঠ নদীর বালুচরে দেখতে পেয়ে যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করতেছিল। তাই এই সবুজ প্রকৃতির দৃশ্যগুলো ফটোগ্রাফি করলাম।

নদীর পাড়ী একটি সুন্দর ভাস্কর্য রয়েছে। আর এই ভাস্কর্যটি হলো যারা আমাদের বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাগার রোজনামচা বইটির ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এখানে এসেই যেন মানুষ এই ভাস্কর্যটি দেখতে আসে। আসলে নদীর পাড়েই যেন এটি অবস্থিত যার কারণে সবাই এসে দেখে যায়।

নদীর পারে এই সুন্দর পরিবেশের মধ্যে সুন্দরময় দৃশ্য দেখতে দেখতেই সন্ধ্যা নেমে আসলো। আর সন্ধ্যার সময় সূর্য অস্ত যাচ্ছিল, এই সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটি আমি খুবই ভালোভাবে উপভোগ করলাম। সত্যি নদীর পাড়ে এসে অপরূপ সৌন্দর্যময় এই দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে আমি আনন্দিত।