দাদিকে মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করলাম
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আজকে আমি সকালবেলা ঘুমিয়ে ছিলাম এমন সময় আমাকে ফোন দিয়ে বলল মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের দিকে যেতে। এখানে আমার দাদিকে নিয়ে আসবে। দাদি নাকি অসুস্থ। আসলে আমি ঘুমিয়েই ছিলাম শীতের মধ্যে লেপের ভিতর থেকে উঠতে মন চাচ্ছিল না। যখনই এই খবরটা শুনলাম তখনই যেন আমি তাড়াহুড়া করে উঠলাম এবং আমি মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের দিকে রওনা দিলাম। সকালবেলা না খেয়েই এই মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস আমি আগেই চলে গেলাম এবং আমি ওখানে গিয়ে ফোন দিলাম বলল যে তারা নাকি গাড়িতে রয়েছে। দাদিকে নিয়ে আসছে। আসলে দাদি হঠাৎ করে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে। যার কারণে সে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ভর্তি করবে। আর এই মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে আমার অনেক বন্ধু এবং আমার পরিচিত স্যাররা রয়েছে। যার কারণে আমি আগে আসলাম। আগে এসে এই মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। যেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে যেতে সিরাজগঞ্জ শহর থেকে মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগে। আর আমি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে এই মসজিদ আলী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে আসলাম। আর এই কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে আমি দেখতে পেলাম অনেক মানুষই আজকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য এসেছে। আসলে হসপিটালে অনেক মানুষ চিকিৎসা নেয় কারণ এই মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস আমাদের সিরাজগঞ্জ শহরের মানুষের জন্য একটা অন্যরকম পান কেন্দ্র হয়েছে।হাজার হাজার মানুষ মারা যেতো বিনা চিকিৎসা জন্য। গরিব মানুষ চিকিৎসা পেত না যার কারণে এই মেডিকেল কলেজ হসপিটাল হওয়াতে বিনা টাকায় অনেক ভালো চিকিৎসা পাচ্ছে। তাই প্রতিনিয়ত এখানে রোগী যেন আসতে শুরু করেছে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
এই মেডিকেল কলেজ অনেক বড় এবং অনেক জায়গা নিয়ে গঠিত। যার কারণে আমি গেট থেকে ঢুকে যেন মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের দিকে রওনা দিলাম। আসলে মেডিসিন বিভাগে যেতে আমার অনেকখানি হেঁটে যেতে হয় এবং কারণ এত বিশাল হসপিটালের মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগ একটু অন্য সাইটে দেওয়া হয়েছে। তাই আমি হেঁটে হেঁটে এই মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের দিকে আসতে লাগলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
মেডিসিন বিভাগে ঢোকার আগে আমি দেখতে পেলাম একাডেমি ভবন। আর একাডেমী ভবনে আমার পরিচিত দুইটা স্যার রয়েছে। তারা মেডিসিন বিভাগেই দায়িত্বে রয়েছে। তাই আমি এই স্যারদের সাথে দেখা করার জন্য একাডেমি ভবনের দিকে আসলাম। আর তাদের সাথে আমি কথা বললাম তারা বলল কোন সমস্যা নেই। তুমি ভর্তি করে দাও আমি রোগীকে ভালোভাবে দেখব। স্যারদের সাথে কথা বলে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অনেকটাই যেন সাহসও পেলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
তারপরে দাদিকে নিয়ে আসা হল। দাদিকে নিয়ে মেডিসিন বিভাগের ভিতরে আমার বড় ভাই ঢুকে গেছে। আমিও স্যারদের সাথে কথা বলে মেডিসিন বিভাগে আসলাম। এই ভবন মেডিসিন বিভাগের। তাই আমি মেডিসিন বিভাগে নিয়ে ভর্তি করে দিলাম এবং ভর্তি করার সময় ওয়ার্ডে গিয়ে দেখতে পেলাম সেখানেও আমার একজন পরিচিত বড় ভাই রয়েছে। এবং আমার দুইজন বন্ধু রয়েছে। তাদের আমি ভালোভাবে বলে আসলাম। তারা বলল কোন সমস্যা নেই সকল বিষয়ে আমি তোমাদের হেল্প করব। আসলে মেডিসিনের বিভাগে কারো হেল্প পেলে ভালোই লাগে। কারণ পরিচিত মানুষদের সরকারি হসপিটাল একটু ভালোভাবে চিকিৎসা করানো হয়।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
স্যারকে দেখানোর পরে স্যার বলল যে একটা সিটি স্ক্যান লাগবে। তুমি সিটি স্ক্যানটি কাল করিয়ে নিও সকালবেলা। তাই আমি দাদিকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করে দিয়ে বাইরে চলে আসলাম এবং আগামীকাল এসে আবারো সিটি স্ক্যান করে স্যারকে রিপোর্ট দেখাবো। তো স্যার বলল খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না। এমনি রোগী অনেকটাই ভালো রয়েছে। কথা শুনে ভালোই লাগলো। আসলে দাদি আমাকে খুবই ভালোবাসে। যার কারণে স্যারের মুখে ভালো আসে শুনতে পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | ফটোগ্রাফি। |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
আপনার দাদি অসুস্থ মাথায় অনেক আঘাত পেয়েছে জেনে খুব খারাপ লাগলো। আপনার দাদির জন্য সুস্থতা কামনা করছি খুব দ্রুত যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে একটা বিষয় খুব ভালো লাগলো তা হচ্ছে মনসুর আলী মেডিকেল হল কলেজ হাসপাতাল দেখতে খুবই সুন্দর। পুরো জায়গাটি অনেক সুন্দর বেশ ভালো একটি পরিবেশের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে।
আসলে সব ধরনের হসপিটালেই যদি একজন পরিচিত মানুষ থাকে তাহলে খুবই উপকার পাওয়া যায়। হসপিটালে আপনার কিছু পরিচিত বন্ধু ও স্যার থাকায় ভালই হয়েছে। আশা করছি সিটি স্ক্যান রিপোর্ট ভালোই আসবে
আপনার দাদির সুস্থতা কামনা করছি।জেনে ভালো লাগলো যে মনসুর আলী মেডিকেলেজে অনেক গরীব অসহায় রুগিরা সেবা পেয়ে থাকে।আপনার ফটোগ্রাফিতে হাসপাতালের পরিবেশ খুব সুন্দর মনে হচ্ছে। আসলে দাদীর ভালোবাসা মায়ের মতোই হয়ে থাকে।দাদীরা সব সময় আগলে আগলে রাখেন আর আপনি এই দাদীর অসুস্থতায় ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার দাদিকে মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করার কিছু মুহূর্ত। আসলে ভাই শীতের সময় লেপের মধ্যে শুয়ে থাকলে উঠতে সত্যি কারো মন চায় না। যেহেতু আপনার দাদি অসুস্থ তাই সেই কথা শুনে আপনি মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আপনার দাদির সুস্থতা কামনা করি যেন অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারো বাসায় ফিরে যেতে পারে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার দাদি হঠাৎ মাথায় আঘাত পেয়েছে জেনে ভীষণ খারাপ লাগলো।আপনার দাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আপনি আপনার দাদিকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেন সিটি স্ক্যান করাতে।আসলে হাসপাতাল বা যেকোনো জায়গায় পরিচিত মানুষ জন থাকলে খুব বেশী সুবিধা হয়।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে হসপিটালের পরিবেশ খুবই সুন্দর বুঝতে পারলাম।এই হসপিটালে গরীব-দুঃখীদের বিনা টাকায় চিকিৎসা হয় জেনে আরো বেশী ভালো লাগলো। আশাকরি আপনার দাদির সিটি স্ক্যানের রিপোর্টটি ভালো ই আসবে।আল্লাহ তার সুস্থতা দান করুন, আমিন।