ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা যখনই মনে করি তখনই যেন খুবই ভালো লাগে। মনে হয় যেন ছোটবেলায় দিনগুলো যেন অনেক আনন্দের ছিল। সেই দিনগুলো যদি আবারও আমরা ফিরে পেতাম কতই না ভালো হতো। আসলে বন্ধুদের সাথে ছোটবেলার দিনগুলো অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। কোথাও কোনো বাধা ছিল না, কোন চিন্তা ভাবনা ছিলো না। যেন আনন্দের সাথে সেই দিনগুলো পার করেছি। সকালে হতে না হতেই বন্ধুদের সাথে ছুটে চলেছি স্কুলে। আর সারাটা দিন বন্ধুদের সাথে আনন্দের সাথে মুহূর্তগুলো পালন করেছি। ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা যখনই ভাবি তখনই যেন স্মৃতির পাতা থেকে সেই দিনের মুহূর্তগুলো চোখে সামনে ভাসতে থাকে। তাই আজকে আমি ছোটবেলার স্মৃতিময় একটি গল্প শেয়ার করতে এসেছি। আর এই গল্পটি হল প্রথম আমি পিকনিকে গিয়েছিলাম স্কুল থেকে। আর বন্ধুদের সাথে এই পিকনিকে যাওয়ার মুহূর্তটা অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। জীবনে প্রথম পিকনিক যাওয়ার কারণে সেই মুহূর্তগুলো এখনো যেন চোখে সামনে ভাসছে।সেই দিনগুলো কখনোই ভুলতে পারবো না। তো বন্ধুরা আশা করছি সেই দিনের গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমাদের গ্রামেই প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। এই স্কুলেই আমি পড়াশোনা করেছি পাঁচটি বছর। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত এই স্কুলে পড়াশোনা করেছি। স্কুলটি অনেক ভাল ছিল, কারণ আমাদের স্কুলের হেডমাস্টার খুবই ভালো মনের এবং অনেক ভালোভাবে আমাদের পড়াশোনা করিয়েছে।যার কারণে আমাদের স্কুলের পড়াশোনা অন্য স্কুলে তুলনাই অনেক ভালো ছিল। আর এই স্কুলে শুধু ক্লাস ফাইভে যারা ওঠে তাদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেছিলো।আমাদের মনের ভিতরে আশা ছিল কবে আমরা ফাইভে উঠব, স্যারদের সাথে আনন্দময় দিন পার করবো। আসলে পিকনিকে যখন বড় ভাইদের যাওয়া দেখতাম তখন অনেক আফসোস হতো। যদি আমরা যেতে পারতাম।
তাই যখন আমরা ক্লাস ফোরে ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে ফাইভে উঠব। এই সময় আমার খুবই ভালো লাগতেছিল এবং আমাদের ক্লাসে আরো বড় বড় দুজন স্টুডেন্ট ছিল ওরদের নাম ছিল সুজন ও মানিক। ওরা স্যারদের সাথে কথা বললে যে স্যার এখন আমরা ফাইভে উঠেছি। আমাদের নিয়ে পিকনিকে যাবেন তো। স্যার বললে কোন সমস্যা নাই। তোমরা যেহেতু ফাইভে উঠেছো তোমাতে পিকনিকে নিয়ে যাবো।স্যারের কথা শুনে খুবই ভালো লেগেছিল। কারণ স্যারের সাথে আমরা পিকনিকে যাব সেই মুহূর্তগুলো কল্পনা করতেছিলাম, দীর্ঘ অনেক দিনের অপেক্ষার পর আমরা প্রথম পিকনিকে যাবো। তাই স্যার বলল যে জানুয়ারি মাসে তোমাদের পিকনিক। ১০ তারিখে আয়োজন করা হয়েছিলো।
ডিসেম্বর মার্চ ছুটির পরে আমরা যখন জানুয়ারির প্রথম দিকেই ক্লাসে আসলাম। তখন খুবই ভালো লাগলো এবং আমার বন্ধু সুজন ও মানিক পিকনিকের জন্য সকলের কাছ থেকে টাকা তুলতে লাগলো। আসলে আমাদের কাছ থেকে সেদিন ১০০ টাকা করে নিয়েছিল পিকনিকের জন্য। আর বাকি টাকা স্যার দিবে। এই নিয়ে যেন পিকনিকের আয়োজন আর এবারে পিকনিকে আমাদের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সুন্দর একটি পার্ক রয়েছে সেই পার্কে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে স্যাররা। তাই আমরা সকলে মিলে টাকা তুলতে লাগলাম এবং আনন্দের সাথে সেই পিকনিকের প্রস্তুতি নিতে লাগলাম ।
স্কুল থেকে পিকনিকে যাওয়ার মজাটাই আলাদা আর বিশেষ করে এ ধরনের পিকনিকে অভিভাবক যাওয়াটাই উত্তম। আপনি আপনার ভাইয়ের সাথে অনেক বন্ধু সুলভ জেনে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক সাড়ে আটটায় যেহেতু আপনাদের বাস ছেড়ে দিয়েছে, আগামী পর্বে কি ঘটেছে সেটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ছোটবেলার পিকনিক করার চমৎকার একটি স্মৃতিময় গল্প পড়ে আমার সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। আসলে ছোট অবস্থায় পিকনিকে গেলে সাথে একজন অভিভাবক থাকা নিঃসন্দেহে জরুরী। খুবই সুন্দর একটি স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।