বর্ষাকালে নৌকায় করে পিকনিক খাওয়ার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আসলে বর্ষাকালে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত আমরা উপভোগ করতাম।বিশেষ করে ছোটবেলায় বেশি আনন্দ হতো কারণ ছোটবেলায় প্রতিবছরই বর্ষা হতো, আর এই বর্ষার সময় বড়দের সাথে অনেক ধরনের পিকনিক করতাম। আসলে এই পিকনিক করার মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতি রয়েছে। বিশেষ করে নৌকায় করে পিকনিক করার মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করেছি তারা মাঝে মধ্যে এই নৌকায় করে পিকনিক করতাম। আর তারাই বুঝতে পারি নৌকায় করে পিকনিক করলে কতটা মজা হয়। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার স্মৃতির পাতা থেকে একটি গল্প শেয়ার করতেছিলাম, এই গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন স্মৃতির পাতায় সেই বর্ষাকালের পিকনিকে যাওয়ার মুহূর্তের অনুভূতিগুলো পড়া শুরু করা যাক।
আসলে বড়দের সাথে পিকনিক করার সেই মুহূর্তটা সত্যিই অসাধারণ ছিল। কারণ আমরা ছিলাম তিন জন ছোট আর সবাই ছিল বড়। তারা অনেক গান বাজানো শুরু করলো এবং নাচানাচি করলো। আমরা মাঝখানে বসে ছিলাম বিশেষ করে আমার ভাইয়া আমার সাথে ছিলো তাই বেশি ভালো লাগতেছিল এবং আমাদের নৌকা নদীর ভিতর দিয়ে ভ্রমন করতে ছিল। এমন সময় বৃষ্টি নামলো আর নৌকার মাঝিকে বলা হলো যে ব্রিজের নিচে দ্রুত নৌকাটিকে নিতে।ব্রিজের নিচে নিয়ে গেল এবং ব্রিজের নিচে নৌকাটি থামিয়ে দিল। এখানে অনেকক্ষণ আমরা থাকলাম। দেখতে পেলাম আরো কয়েকটা নৌকা এসেছে পিকনিকের।তাদের সাথে আমাদের অনেক সুন্দর একটি সম্পর্ক হল। তার পরে বৃষ্টি শেষে আমরা পাশের একটি গ্রামে বড় স্কুল মাঠ রয়েছে। সেই স্কুল মাঠের দিকে রওনা দিলাম।
তারপরে সেই স্কুল মাঠের দিকে আমরা রওনা দিলাম এবং দেখতে পাচ্ছিলাম স্কুল মাঠের মধ্যে অনেকেই যেন এসেছে। এই স্কুলের সাথে ছিল নৌকার ঘাটালে, এই নৌকায় ঘাটে অনেক নৌকা এসেছে দূর-দূরান্ত থেকে। তারাও যেন পিকনিকে এসেছে। আমাদের নৌকাটি ঘাটে যখন নামলো তখন আমাকে আর কয়েকজনকে ভাইয়া তাড়াতাড়ি নামিয়ে দিল এবং আমার সেই স্কুল মাঠে এসে খুবই ভালো লাগলো। কারণ স্কুল মাঠে একটি বড় বটগাছ ছিলো। সেই বটগাছের নিচে আমরা বসে থাকলাম এবং দেখতে পেলাম এই বট গাছের আশেপাশে অনেকেই এসেছে এবং আরও কয়েকটা নৌকা এখানে পিকনিক করতে এসেছে। তারা আমার মামাদের গ্রামের, সত্যি তাদের সাথে দেখা হয়ে খুবই ভালো লাগলো।
আসলে এভাবে পিকনিক করার মুহূর্তটা অসাধারণ কারণ অনেক মানুষের মাঠের ভিতরে এসেছে। একসাথে খাওয়া দাওয়া করবে। এই মাঠের ভিতরেই দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এসে তাদের সাথে পরিচিত হলাম। তারপর আমাদের পিকনিকের সকল জিনিস নৌকা থেকে নামানো হলো। এই মাঠে রান্নাবান্না শুরু করে দেওয়া হল। আসলে আমাদের গ্রামের দুই একজন খুবই ভালো রান্না করতে পারে। তাদের নিয়ে আসা হয়েছে,রান্না করার জন্য। তারা যেন অনেক আনন্দের সাথে রান্না করা শুরু করে দিল এবং আমরা গান বাজনা করতে লাগলাম। এই দিনটা সত্যি অনেক আনন্দের ছিল কারণ মামা বাড়ির অনেক পরিচিত মানুষ তাদের সাথে ছিলাম।তাদের সাথে আমরা খুবই সুন্দর সময় পার করতে লাগলাম।
আসলে পিকনিকের আনন্দময় মুহূর্ত হলো রান্নাবান্নার সেই দৃশ্য এবং রান্নাবান্নার সাথে থাকা। সবাই মিলে এই রান্নাবান্না করার মুহূর্তটা সত্যি অনেক আনন্দের। কারণ সবাই মিলে যখন এই পিকনিকের আয়োজন করা হয়,কখন ভিন্ন ভিন্ন মতামত দেওয়া হয়, আর সেই মতামত অনুসারেই হাসি ঠাট্টার চলে রান্না হয়ে যায়। তাই রান্নাবান্নার এই মুহূর্তটা আমার খুবই ভালো লাগতেছিল। সকলেই যেন এখানে ছিলাম তবে ভাইয়া বলল যে রান্না যেখানে থাকা লাগবে না, তোরা ওই দিকে ফুটবল নিয়ে খেলাধুলা কর। আসলে ফুটবল নিয়ে আসা হয়েছিল তাই আমরা মাঠের ভিতরে খেলাধুলা করতে লাগলাম এবং মামা বাড়ির অনেক পরিচিত আমার বয়সে ছিল তাদের সাথে নিয়ে আমরা মাঠের এক পাশে খেলতে লাগলাম।
এ জাতীয় পিকনিক গুলো কিন্তু ভাই আজ পর্যন্ত আমাদের কপালে জোটেনি কারণ আমাদের এলাকায় তো নদী নেই। আর নদীতে নৌকায় চড়ে আনন্দ আয়োজন পিকনিক এগুলো হয়ে ওঠেনি। যাইহোক আপনার সুন্দর সেই স্মৃতির মধ্য দিয়ে কিন্তু কিছুটা আনন্দ অনুভব করতে পারলাম। পাশাপাশি অনেক কিছু জানতে পারলাম।
আমি আমার লাইফে খুব বেশি নৌকায় উঠেছি বলে মনে পরেনা।
হয়তো দু একবার শখের বসে উঠতে পারি। যাই হোক আপনাদের নৌকা নিয়ে পিকনিক করার ঘটনাটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে যারা ছোট তারা যদি বড়দের সাথে এভাবে পিকনিক করে তাহলে সেটার আনন্দ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
সবশেষে নৌকা থেকে নেমে একটি স্কুলের মাঠে রান্নাবান্না আয়োজন করাতে আরো বেশি আনন্দদায়ক হয়ে উঠেছিল আপনাদের পিকনিক।
যাই হোক চমৎকার পিকনিকের অনুভূতিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি বর্ষাকালের পিকনিক এর বেশ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন।নৌকা থেকে নেমে একটি স্কুল মাঠে পিকনিক করেছিলেন। বড় দের সাথে ছোটরা মিলে পিকনিক করলে আনন্দ একটু বেড়েই যায়।ভালো লাগলো আপনার গল্পটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।