শান্তির প্রতীক কবুতরের সাথে কিছু মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম, শান্তির প্রতীক কবুতরের সাথে কিছু মুহুর্ত এবং এই কবুতরের কিছু ফটোগ্রাফি। আসলে আমার বন্ধু হাসান তার বাসার ছাদে বিশাল বড় একটি কবুতরের ফার্ম দিয়েছে। আর এই কবুতরগুলো সে শখের বশে পালন করছে। আর অনেকদিন হলো এই কবুতর পালন করার দৃশ্য দেখার জন্য আসতেছে চেয়েও আসা হয়নি,তাই আজকে আমি হাসানের সাথে তার কবুতর দেখার জন্য এসেছি। কবুতর দেখতে পেয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তার বাসার ছাদে কবুতরের বিশাল বড় একটি রুম করেছে। আর এখানে বিভিন্ন জাতের কবুতর রয়েছে। এই কবুতরগুলো জাত সম্পর্কে আমি আগে জানতাম না। অনেক কবুতরের জাত রয়েছে। বিদেশী জাতের কবুতর বেশি ছিলো।বন্ধুরা চলুন আপনাদের সাথে এই কবুতরগুলো ফটোগ্রাফি নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।
কবুতর শান্তির প্রতীক। আর কবুতর পালন করতে সকলেই ভালোবাসে কারণ কবুতর দেখলে যেন এ কবুতরের মায়া পড়ে যায়। কবুতর ধরতে ইচ্ছা করে, আসলে কবুতর খুবই পছন্দের একটি প্রাণী। আর এই কবুতর আমি বন্ধুর বাসায় এসে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। তার বাসার ছাদে খুবই সুন্দর ভাবে এই কবুতর গুলো রেখেছে এবং এখানে অনেক জাতের কবুতর রয়েছে। আর কবুতরগুলো খুবই সুন্দরভাবে এই ঘরের উপরে বসে রয়েছে। এই দৃশ্য দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আর কবুতরগুলো দেখে যেন কবুতর সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে ইচ্ছা করলো, তাই আমি আমার বন্ধুর কাছ থেকে কবুতর সম্পর্কে অনেক কিছু জানতেও পারলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
বন্ধু হাসান অনেক কবুতর পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই সে অনেক বড় রুম তৈরি করেছে এই কবুতর রাখার জন্য। এখানে অনেকগুলো কবুতর রাখা যাবে। বিশেষ করে কবুতর রাখার জন্য কাঠ দিয়ে খুবই সুন্দর ঘর বানিয়ে দিয়েছে। এই ঘরগুলোতে কবুতর থাকে। আর ঘরের বাহিরে অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে যেখানে কবুতর গুলো উরে বেড়াবে।এই ঘরের উপর দিয়ে কবুতর গুলো বসেছিল, এই দৃশ্যগুলো আমার খুবই ভালো লাগলো।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
খাঁচার ভিতর দুইটি কবুতর দেখতে পেলাম মএই দুটি কবুতর দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। হাসান বলল এই দুটি কবুতরের নাম গিজেল রেসার আর এই গুলোর কবুতর রেস দিয়ে থাকে। এই কবুতরগুলো অনেক দামি।গিজেল রেসার কবুতরের জোড়ার দাম ৫০০০ টাকা। দাম শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম, কিন্তু দেখে খুবই ভালো লাগলো। এই বিদেশী জাতির রেসার গুলো সত্যিই অসাধারণ কবুতর। তাই কবুতর গুলো দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর এই কবুতরগুলো ডিম দিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই বাচ্চা হবে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
তারপরে খাঁচার ভিতর আমি আরো দুইটি কবুতর দেখতে পেলাম। এ দুটি কবুতরও রেসার, কিন্তু এগুলো রেসারের অন্য জাতের কবুতর। আসলে রেসার কবুতরের মধ্যে অনেক জাত রয়েছে। বন্ধুর কাছে আমি শুনতে পেলাম সে বলল কবুতর সম্পর্কে এত কিছু এখনই জানতে পারবি না। আস্তে আস্তে জানা লাগবে।হাসান বললো আমার কাছে ৫ রকমের রেসার কবুতরের জাত রয়েছে। এগুলোর বাচ্চা দিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে বাচ্চা গুলো উড়ে বেড়াবে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
বন্ধুর কবুতর পালন করার দৃশ্য গুলো দেখতে পেয়ে কবুতরের প্রতি আমার একটা মায়া চলে আসলো। আমারও ইচ্ছে করল কবুতর পালন করার। তাই আমি বন্ধুকে বললাম আমাকে কিছু ভালো কবুতর দেহ, আমিও পালন করা শুরু করে দিব। তখন আমাকে বন্ধু বলল তুই তাহলে এই রেসার গুলো নেহ। সবুজ কালারের রেসার গুলো অনেক ভাল মানের। এগুলো বাচ্চা দিয়ে থাকে প্রতিমাসে। তাই আমি এই দুটি রেসার কবুতর নিলাম। বন্ধু আমার কাছ থেকে কোন টাকা নিলো না। আমাকে এই দুটি কবুতর একদম ফ্রি দিল পালন করার জন্য।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
বন্ধুর কাছে দেশি কবুতর রয়েছে অনেক, এই কবুতরগুলো দেশি, এর মাধ্যমে দেশি কবুতরের ছোট বড় অনেক বাচ্চা রয়েছে। আসলে দেশি কবুতর খুব তাড়াতাড়ি বাচ্চা দিয়ে থাকে। তাই বন্ধু অনেকগুলো দেশি কবুতরের রেখেছে। আর এই কবুতরগুলো বিকেল বেলায় ছেড়ে দেয় এগুলো আকাশ দিয়ে উড়ে বেড়ায়,বিকাল হলে আবার একাই চলে আসে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
বন্ধুর সাথে ও বন্ধুর কবুতরের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করলাম। বিশেষ করে এই কবুতরের দৃশ্য গুলো দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। সত্যি কবুতর অনেক জাতের রয়েছে। তাই কবুতর দেখে যেন খুবি ভাল লাগল। তারপরে বন্ধু আমার সামনে কবুতর গুলোকে খাবার ছিটিয়ে দিলো এবং সকল কবুতর একসাথে খাওয়া শুরু করলো সত্যিই এই কবুতরগুলো খাবার খাওয়ার দৃশ্য দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তাই আমি এই দৃশ্য তাকিকে দেখতে লাগলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | কবুতরের সাথে কিছু মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি। |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
কবুতর শান্তির প্রতীক সেটা আমরা সবাই জানি কারণ যে কোনো শুভ কাজ উদ্বোধনের ক্ষেত্রে কবুতর দিয়ে কাজটি শুরু করে। বেশ ভালোই লিখেছেন আপনি আপনার বন্ধু হাসান তো অনেক সুন্দর কবুতর লালন পালন করতেছে। কবুতর গুলো দেখে একদম মন ভরে গেছে। কবুতরের ঘরটি অসাধারণ ছিল। আপনি তো বন্ধুর বাসায় কবুতর দেখতে যেয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটালেন।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শখের বসে অনেক বড় একটি কবুতরের ফার্ম করেছে দেখে খুবই ভালো লাগলো।।
আসলে প্রবল ইচ্ছা শক্তি দিয়ে মানুষকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তা আপনার বন্ধুকে দেখলেই বোঝা যায়।।
নিশ্চয়ই এই সুন্দর কবুতরের ফার্ম দেখে খুব ভালো সময় পার করেছেন বন্ধুর সাথে।।
আমারও কবুতর রয়েছে অনেকগুলো তবে সবই দেশি কবুত।।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শান্তির প্রতীক কবুতর। কবুতর দেখলে এমনিতেই ভালো লাগে। আমাদের বাসায় ছাদে অনেক গুলো কবুতর রয়েছে। সকাল সকাল তাদের কে দেখতে ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মতামত পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে।
এই ধরনের কাজ সৌখিন মানুষেরাই করে থাকে ।আসলে কবুতর লালন পালন করা সবার দ্বারা সম্ভব নয়। আলাদা একটা শখের মাধ্যমে এই কাজটা সম্পূর্ণ করা হয়। যেটা আপনার বন্ধু করেছে অনেক ভালো লাগলো দেখে দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন।
এত সুন্দর ভাবে প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ।
কবুতর শান্তির প্রতীক। বন্ধু হাসানের বাড়ীর ছাদে যেয়ে তার পালিত কবুতরের বেশ সুন্দর সুন্দর অনেক গুলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। আপনার বন্ধু হাসানের ও মত আমার কবুতর পালন করার সখ আছে। কিন্তু হয়ে উঠে না। ধন্যবাদ ভাইয়া শান্তির প্রতীকের এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
অনেকেই দেখি যে বাসার ছাদে কবুতর পালন করে। আপনি আপনার বন্ধুর বাসার ছাদে খুব সুন্দর কিছু কবুতর দেখেছেন এবং ফটোগ্রাফি করেছেন। কবুতরের বিভিন্ন ধরন হয় এত ধরণ একসঙ্গে দেখা হয়নি। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক ধরনের কবুতর একসঙ্গে দেখা হল।গিজেল রেসার কবুতরের দাম তো দেখছি অনেক। এত সুন্দর সুন্দর কবুতরের মাঝে ভালো সময় কাটানোরই কথা। দেখেও বেশ ভালো লাগলো।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
কবুতর পালন করতে সবাই পারে না। আপনার বন্ধু হাসান দেখছি খুবই সুন্দর ভাবে তাদের ছাদের উপরে অনেকগুলো কবুতর পালন করছে। কবুতর গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আপনি ওখানে গিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে কবুতর গুলোর সাথে খুবই ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন এবং খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছিলেন। সেগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 🌹
আসলে কবুতর দেখলে সবসময়ই যেন ভাল লাগে। আমারও শখ ছিল কবুতর পালন করার কিন্তু সেই শখটা পূরণ করতে পারেনি। কবুতরের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া🌻