বন্ধুত্বের বন্ধন // পর্ব-২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
বন্ধুত্বের বন্ধন খুবই শক্তিশালী, আর এই বন্ধুত্বের বন্ধন কখনো হারিয়ে যায় না। বন্ধুত্বের বন্ধন হয়তো দূরত্বের কারনে সম্পর্কের মধ্যে একটু দূরত্ব চলে আসে। কিন্তু বন্ধুত্বের যে মিল এবং বন্ধুত্বের টান এটা হৃদয়ের মাঝে থেকে যায় সারা জীবন। আসলে স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে অনেক স্মৃতি ছড়িয়ে রয়েছে। সেই বন্ধুদের সাথে যখন হঠাৎ করে দেখা হয় তখন খুবই ভালো লাগে। আর সেই পুরনো স্মৃতিগুলো যেন চোখের সামনে ভাসতে থাকে। বন্ধুত্বের সাথে নিয়ে আপনাদের মাঝে প্রথম পর্ববের গল্প শেষ করেছি। আজকে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসলাম। আশা করছি দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে বন্ধুত্বের বন্ধনের গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
তো আমাদের পাঁচ বন্ধুর মধ্যে রফিক অনেক ভালো রেজাল্ট করে এবং আমরাও ভালো রেজাল্ট করেছি। তবে রফিকের নাম্বার অনেক বেশি ছিল মযার কারণে রফিক খুব ভালো একটা কলেজে চান্স পায়। আর রফিক তখন ওর বাবার সাথে ঢাকায় একটি ভালো কলেজে ভর্তি হয়। আর আমরা চার বন্ধু সিরাজগঞ্জের গভর্মেন্ট কলেজে ভর্তি হয়। আমরা চার বন্ধু সিরাজগঞ্জ গভর্মেন্ট কলেজে একসাথে ভর্তি হতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। তবে রফিকের শূন্যতা যেন আমাদের ভিতর থেকে কাটতে ছিল না। বারবার রফিকের কথা মনে করতেছিল। যদি রফিক আমাদের সাথে এখানে থাকতো তাহলে পাঁচ বন্ধু কোন আফসোস ছিল না। অনেক আনন্দময় সাথে দিন পারতাম। তবে রফিকের জীবন আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাক। এটাই ভেবে যেন ভালো লাগতেছিল। যে রফিক আরো ভালো কিছু করুক। আর আমাদের এই বন্ধুত্বের বন্ধন কখনো শেষ হবে না। মাঝেমধ্যে আমরা কথা বলতাম এবং সেই দিনের কথা একসাথে আনন্দময় এর সাথে উপভোগ করতাম। মাঝে মাঝে রফিক আমাদের সিরাজগঞ্জ আসতো এবং আমাদের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতো।
আমরা কলেজ জীবনে এই চার বন্ধু সবসময় একই জায়গায় থাকতাম এবং একসাথে একই জায়গায় প্রাইভেট পড়তাম। যার কারণে বন্ধুত্বের বন্ধন যেন আরও শক্তিশালী হয়। আর এই বন্ধুত্বের সাথে নিয়ে অনেক আনন্দময় মূহুর্ত উপভোগ করেছি। বিশেষ করে আমরা চার বন্ধু মিলে রফিকের সাথে দেখা করার জন্য ঢাকা গিয়েছিলাম। আর আমরা তখন ট্রেনে করে ভ্রমণ করেছিলাম। আর এই ট্রেন ভ্রমণির মুহূর্ত সত্যি অনেক আনন্দের ছিল। কারণ আমাদের চার বন্ধুর মধ্যে একজনের টিকিট ছিল না। যার কারণে তিনটা টিকিট দিয়ে আমাদের চারজনকে ম্যানেজ করতে হয়েছে।টিকেট চেয়েও পায় নাই। কাউন্টার থেকে বলা হলো টিকেট নেই।তারপর সত্যিই ট্রেনের ভিতরে যেন আমরা এদিক থেকে ওদিকে ভ্রমণ করতে ছিলাম। আসলে বন্ধুত্বের সাথে নিয়ে এভাবে আনন্দ সাথে ভ্রমণ অসাধারণ ছিলো।
এভাবে টিকেট ছাড়ার ট্রেন ভ্রমণের মুহূর্ত আনন্দময় হলেও অনেক ভয় হচ্ছিল। যে কখন টিটি সে ধরবে যে টিকিট দেখাও। আসলে এভাবে পার হচ্ছিলাম, তারপরও যেন অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করতেছিলাম।এভাবে আমরা ট্রেন ভ্রমণ করলাম এবং আমরা কমলাপুর স্টেশন এর নামলে টিকিট প্রত্যেকের কাছে চায়ে থাকে। সেজন্য আমরা বিমানবন্দর স্টেশনে নামলাম। আর বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে আমরা বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য একটি সিএনজি নিয়ে চলে গেলাম। আসলে বন্ধুর সাথে দেখা করব অনেকদিন পর তাই খুবই ভালো লাগতেছিল। আর চার বন্ধু মিলে একসাথে বন্ধুর সাথে দেখা করবে এবং ঢাকাতে কয়েক দিন থাকবো, আর অনেক আনন্দ মুহূর্ত উপভোগ করবো। সেই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা ঢাকাতে এসেছি তাই অনেক বেশি ভালো লাগতে ছিলো।
সত্যি ভাইয়া বন্ধুত্বের বন্ধ সব সময় শক্তিশালী হয়। তবে এটা সত্যি দূরে গেলে দূরত্ব একটু থেকেই যায়।আর ভালো কাজের জন্য দূরে যাওয়া অনেক ভালো। যাইহোক আপনারা তো চারজন এক জায়গায় আছেন। এটা অন্য রকম একটা আনন্দ তিন টিকিটে চার জন যাওয়া। হে ধরা পড়লে আবার মহাবিপদ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলে শুধু আপনার ক্ষেত্রে না সবার ক্ষেত্রেই এরকমটা হয় যে বন্ধুদের মাঝে একজন অনেক ভালো রেজাল্ট করে সে ফ্রেন্ড সার্কেল থেকে একটু বাইরে চলে যায় তবে বন্ধুত্বটা কখনোই মুছে যায় না। আর আপনাদের মত আমরাও বন্ধুরা মিলে ট্রেনে এরকম টিকিট না কেটে অনেক ভ্রমণ করেছি একসময় ।তবে সেই সময় গুলো এখন অনেক মিস করি যাই হোক আপনার মজার কাহিনী টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ