🌹আমার বাংলা ব্লগ 🌺 //ছুটির দিনে কাটানো আনন্দময় স্মৃতির গল্প//[১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য]🌺
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
তো আমরা বন্ধুরা মিলে যখন নদীর পাড়ে আসলাম। নদীর পাড়ে এসে দেখতে পেলাম প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় নদীর পাড়ে হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা। সকলেই নদীর পাড়ে বসে নদীর সৌন্দর্যময় পরিবেশ উপভোগ করছে। কারণ নদীর পাড়ে পরিবেশটা খুবই ভালো ছিল। এমনিতেই বিকেল বেলা নদীর পরিবেশের আবহাওয়া দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং প্রকৃতির এই সুন্দর পরিবেশ আমার অনেক ভালো লেগেছে।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় নদীর এই সৌন্দর্য দেখতে অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভ্রমণ করতে এসেছে। আসলে আমি নদীর পারে যখন আসলাম তখন দেখতে পেলাম নদীর পাড়ে অনেকই মাছ ধরছে। তাই আমরা সেখানে গেলাম এবং মাছ ধরা দেখলাম। আমার খুবই ভালো লাগলো। এই সুন্দর প্রকৃতি পরিবেশ উপভোগ করতে পেরে আমার খুবি ভালো লাগছিলো।
![]() | ![]() |
---|
অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে নদীর পাড়ে এই সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমার বন্ধু সুজন বললো চলো আমরা এখন নদীর পাড়ে মেলা বসেছে। সেখানে যাই। মেলাতে অনেক রকমের সুন্দর সুন্দর খেলনা রয়েছে। তাই আমি বন্ধুকে সাথে নিয়ে মেলার আসলাম। মেলার পাশে এসে দেখতে পেলাম এখানে অনেক ছোট বড় মানুষ রয়েছে। বিশেষ করে ছোটরা বেশি কারণ ছোটদের জন্য এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এখানে হাজার হাজার মানুষ আসে। মেলার আয়োজনটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো।
নদীর পাড়ে অনেক মানুষের ভীর দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। কারণ আমরা সকলেই যখন একসাথে নদীর এই সৌন্দর্যময় পরিবেশ উপভোগ করি। তখন খুবই ভালো লেগেছে। যদি আমরা একা একা আসতাম। তাহলে নিরিবিলি এই সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে খুব ভাল লাগত না। যখন মানুষের আনাগোনা চারদিকে তখন মনে হচ্ছিল যেন একটা উৎসবের দিন কাটছে। আসলেই শুক্রবার এই ছুটির দিনে এতটা মজা হবে কখনো ভাবিনি। সত্যি প্রতিটা মুহূর্ত আমার খুবই আনন্দ হয়েছে। আসলেই এই সুন্দর পরিবেশটা খুব একটা দেখা যায় না। বিশেষ করে শুক্রবার ছুটির দিন ছিল তাই এই সুন্দর আয়োজন। আসলেই নদীর পাড়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় পরিবেশের মেলার আয়োজন কারণে আরো বেশি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
![]() | ![]() |
---|
মেলার মধ্যে একটা জিনিস দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। সেটি হল ঘোড়ার গাড়ি। নবাবী স্টাইলে ঘোড়ার গাড়ি বানানো হয়েছে। প্রাচীনকালের নবাবরা এরকম সুন্দর ঘোড়ার গাড়িতে চলাফেরা করত। তাই এই ঘোড়ার গাড়ি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে আমার বন্ধু রফিক বারবার বলতে ছিল, যে আমরা নবাবি স্টাইলে ঘোড়ার গাড়িতে করে ভ্রমণ করব। আসলেই নবাবী স্টাইলে এই ঘোড়ার উপরে যখন আমরা উঠলাম। তখন খুবই ভালো লাগলো, মনে হচ্ছিল যে নিজের ভিতর যেন একটা নবাবি অভাব এসেছে। সত্যিই খুবই আনন্দময় মুহূর্ত। আমি এই প্রথম ঘোড়ার গাড়িতে উঠলাম আর ঘোড়ার গাড়িতে উঠে আমার খুবই ভাল লাগল, একসাথে আমরা ১০ জন ঘোড়ার গাড়িতে উঠেছিলাম। এতগুলো মানুষ নিয়ে দুটি ঘোড়া খুবই দ্রুত বেগে ছুটছিল। যার কারণে আমি প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম, তাই ঘোড়ার গাড়ির উপর থেকে ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। কিন্তু নদীর পাড় দিয়ে দ্রুত বেগে চলতে লাগল, তখন সত্যিই আমার খুবই ভালো লেগেছে। যদি একটু ভয় হয়েছে, তারপরে অনেক ভালো লেগেছে। সর্বপ্রথম ঘোড়ার গাড়িতে উঠলাম আর এই ঘড়ি দুটি ছিল সুন্দর আর ঘোড়ার গাড়িটিও সাজানো হয়েছিল।ঘোড়ার গাড়ি অনেক উন্নত ছিল, যার কারণে নদীর পাড়ে দিয়ে সুন্দর ঘোড়ার গাড়িতে ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
![]() | ![]() |
---|
ঘোড়ার গাড়ি যখন দ্রুত বেগে ছুটতে লাগল। তখন আমার বন্ধু সুজন বারবার বলতে ছিল যে ঘোড়ার গাড়িটা থামাতে বল। আমি নেমে যাব,আমি নেমে যাব। কারণ সে খুবই ভয় পাচ্ছিল। সে প্রথম ঘোড়ার গাড়িতে উঠেছে। আমিও ঘোড়ার গাড়িতে প্রথম ওঠেছি কিন্তু আমি সুজনের মত অতটা ভয় পাইনি। আর সুজন ঘোড়াকেই অনেক ভয় পায়।যার কারণ সুজনকে একবার ঘোড়া লাত্থি দিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়ে ছিলো,তার পরে থেকে সে খুবই ভয় পায় ঘোড়াকে। আমরা বন্ধুরা মিলে সেটা নিয়ে অনেক হাসাহাসি করছিলাম। যাই হোক বারবার বলতেছে আমাকে নামিয়ে দেহ, না হলে আমি লাফ দিয়ে নেমে যাবো,ব্যাপারটা কিন্তু অনেক হাস্যকর ছিল। আমরা খুবই শক্ত করে ধরে রেখেছিলাম সুজুনকে, চোখ বন্ধ করে বারবার একটা কথাই বলতে লাগলো, আমাকে নামিয়েদে।আসলেই সেই মুহূর্তটা আমরা খুবই আনন্দ উপভোগ করেছি।
তারপরে আমরা ঘোড়ার গাড়ি থেকে নামলাম, নেমেই দীর্ঘ নিশ্বাস নিয়ে নদীর পাড়ে বসে বাদাম খাচ্ছিলাম। এই সুন্দরময় বিকেল বেলায় এভাবে সন্ধ্যা নেমে আসলো। আমরা বন্ধুরা অনেক আনন্দ ও মজা করলাম। দিনটি কখনো ভোলার নয়। অনেক আনন্দ করেছি সন্ধ্যা নেমে আসলো। তাই আমাদের সকলের বাসার দিকে রওনা দিতে হবে। তাই বন্ধুদের সাথে হাঁটতে হাঁটতে নদীর পাড় থেকে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
আসলে ছুটির দিনে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো কখনোই ভোলার নয়। এই দিনটি হয়তো শেষ হয়ে গেল কিন্তু স্মৃতি পাতায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো কখনোই শেষ হবে না। এগুলো আমাদের স্মৃতিতে রয়ে যাবে। দিনটি হয়তো আমরা ফিরে পাবো না, কিন্তু এই দিনের অনুভূতি কল্পনা আমাদের চোখের সামনে ভাসবে। সত্যিই অনেক আনন্দময় সময় পার করেছি। খুবি ভালো লাগছে দিনটি।আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনাদেরও ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকতে, দোয়া রইলো।
ফটো গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে । আপনি খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বন্ধুদের নিয়ে নদীর পাড়ে ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া 🌹🌺🌹
ছুটির সময় থাকলে খুব ভালো কাটিয়েছেন দেখা যাচ্ছে। জায়গাটা দেখতে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনি খুব সুন্দর করে ছবিগুলো তুলেছেন। আনন্দময় একটি দিন কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। ছুটি পেলে মনে হয় যেন মনের বিতর থেকে একটি তৃপ্তি পাওয়া যায়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া🌻🌹
ছুটির দিনে বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো মূহুর্ত গুলো আপনার অনেক সুন্দর, আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বলে মনে করি,। আপনার কাটানো মূহুর্ত গুলোর মধ্যে ঘোড়া গাড়ি টি অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা রইল
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ছুটির দিনে নদীর পাড়ে বসে খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাই। ছুটির দিন টা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য খুবই আনন্দময় হয়ে থাকে আপনার পোস্টটা পড়ে অনেক আনন্দ পেলাম আপনার মুহূর্তগুলো উপলব্ধি করার সুযোগ পেলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর সময় গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা এবং দোয়া রইলো ❤️❤️🥰
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনার ফটোকপি গুলো খুবই অসাধারণ হয়েছে ।ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ছুটির দিনে সময় গুলো খুব ভালোভাবে কাটিয়েছেন। এবং অনেক কিছু উপভোগ করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন ভাই।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি শুক্রবার ছুটির দিনে খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে ঘোড়ার গাড়ির ফটোগ্রাফি টা সাথে খুব সুন্দর করে বিবরণ দিয়েছে। আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে মাঝে মাঝে একটু ঘুরতে যেতে। কিন্তু দেয় না শয়তান জামাই টা।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ