বন্ধুদের সাথে মাছ ধরার গল্প//পর্ব-১
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
এখন বর্ষাকাল, চারদিকে থৈ থৈ পানি আর এই বর্ষার কারণে বাংলাদেশসহ অন্যান্য সকল জেলার মানুষ খুবই কষ্ট করছে। তবে বর্ষাকালের দৃশ্য দেখতে পেয়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমি তখন ক্লাস নাইন টেনে পড়াশোনা করি তখন আমি বন্ধুদের সাথে বর্ষার সময় অনেক মাছ ধরেছিলাম। আসলে সেই বর্ষাটা এত ক্ষতিকারক ছিল না। তবে সেই বর্ষার মধ্যে বন্ধুদের সাথে মাছ ধরার সেই স্মৃতিময় গল্পটি যেন চোখের সামনে ভাসতে।তাই আপনাদের মাঝে স্মৃতিময় এই গল্পটি শেয়ার করলাম। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমরা তখন স্কুলেই রয়েছি, বন্ধুরা মিলে ক্লাস করতে ছিলাম। তখন স্যার এসে বলল যে চারদিকে বর্ষার পানি ঢুকে গেছে, তোমাদের স্কুল বর্ষার জন্য ১০ দিন ছুটি থাকবে। বর্ষার পানি কমে গেলে তোমরা তখন আবারো স্কুলে আসবে, কারণ চারপাশে পানি আর পানি। বাচ্চারা স্কুলে আসা বিপদজনক। এই পানির মধ্যে আসলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। যার কারণে স্কুল তখন ছুটি দিল। আমরা তখন আনন্দে বাড়িতে আসলাম। বাড়িতে এসে দেখতে পেলাম আমাদের বাড়ির চারপাশে শুধু পানি আর পানি। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে যার কারণে বন্ধুরা মিলে তিনটি কলা গাছ কেটে ভেলা বানানো সিদ্ধান্ত নিলাম।
তাই আমরা বিকেলবেলা তিন বন্ধু মিলে, তিনটি বড় বড় কলা গাছ কাটবো। আসলে এই কলা গাছ কাটা খুবই রিক্স, কারণ চারপাশে বর্ষার পানি আর এই কলা গাছে কাটতে অনেক সময় লাগে। তার পরেও আমরা তিন বন্ধু যেন খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে এই কলা গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ আমরা একটা ভেলা বানাবো, আর এই বেলায় করে বর্ষার পানিতে চারপাশে আমরা ভ্রমণ করব। আর মাছ ধরার জন্য চেষ্টা করব। যার কারণে তিন বন্ধু সারাদিন চেষ্টা করে তিনটি কলা গাছ আমরা কেটেছি। আর এই কলা গাছ সুন্দরভাবে কেটে আমরা বাঁশ ও দড়ি দিয়ে বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় আমরা একটি ভেলা বানানো শুরু করে দিলাম।
সারাদিন আমাদের এই ভেলা বানাতে লেগেছিলো,কারণ ভেলা আমরা খুবই সুন্দরভাবে বানিয়েছি। আর প্রথম প্রথম বানিয়েছি যার কারণে অনেক সময় লেগেছে। আর আমাদের সাথে এক বড় ভাই ছিল সে আমাদের সহযোগিতা করেছে, যার কারণে ভেলাটি আমরা ভালোভাবে তৈরি করতে পেরেছি। আর ভেলা তৈরি করতে পেরেই যেন অনেক আনন্দ আমরা প্রকাশ করেছি। কারণ সারাদিন চেষ্টার পরে আমরা ভেলা তৈরি করেছি। আর এই ভেলাতে আমরা তিন বন্ধু উঠে প্রথমেই আমাদের বিলের মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করতে ছিলাম। বিশেষ করে আমাদের বাড়ির চারপাশে যে রাস্তা ডুবে গেছে, সেই রাস্তা দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম বাজারের দিকে। বাজারে এখনো অনেক দোকান রয়েছে যে দোকানে পানি ওঠেনি।
তাই আমরা তিন বন্ধু মিলে আমাদের বানানো এই ভেলাতে করে বাজারে আসলাম। বাজারে এসে আমরা মাছ ধরা জাল খুঁজতে লাগলাম। আসলে বর্ষার পানিতে চারপাশে যেন মাছের থৈ থৈ কারণ বর্ষার পানি ঢুকলেই সেখানে স্রোত থাকে। আর এই স্রোত থেকে মাছ ধরা যায়, যার কারণে আমরা মাছ ধরার জন্য জাল কিনতে লাগলাম। আমরা দুই ধরনের জাল কিনেছি। একটি হলো কারেন্ট জাল,যেটা পেতে রাখতে হয়। আর অন্য একটি হলো সিপ জাল,চারো পাশে বাঁশ দিয়ে তৈরি করতে হয়।এই সিপ জালটি বড়দের সাহায্যে পেতে রাখতে হয়। কারণ এটা অনেক পরিশ্রমের কাজ। এই দুই রকমের জাল কিনে আমরা বাজার থেকে বাড়ির দিকে আসতে লাগলাম। আসলে বাজারে জালের দাম অনেক কম ছিল, আর সবাই আমাদের ভেলা দেখতে পেয়ে যেন তাকিয়ে রইল। আসলে বর্ষাকালে চারপাশে পানি থাকে। আর এই ভেলার গুরুত্ব তখন অনেক বেশি হয়।
https://x.com/rayhan111s/status/1828747938954387565?t=Ss8nHFUCsBY2-XEHreLNXQ&s=19
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আসলে সকলেরই মাছধরা খুবই শখ। আমি মনে করি মাছ ধরতে ভালোবাসে না এমন কেউ নেই। তাছাড়া বর্ষার পানিতে মাছ ধরার খুবই ধূম পড়ে যায়। আপনারা তিন বন্ধু মাছ ধরার জন্য জাল কিনতে বাজারে এসেছিলেন। আসলে মাছ ধরা একটা নেশা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনাদের তিন বন্ধুর পরিকল্পনা টা কিন্তু বেশ মজাদার ছিল। কলা গাছ দিয়ে তৈরি ভেলায় করে ঘুরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে। তবে কলা গাছ কাটা তো খুব বেশি একটা কঠিন কাজ নয়, আপনাদের এত সময় লাগলো কেন বুঝলাম না। যাই হোক, আপনাদের কলার ভেলায় করে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা জেনে খানিকটা ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ভাই।