দাদার শেষ বিদায়ের অনুভূতি সত্যি অনেক কষ্টকর ছিলো
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আমরা যখন এই পৃথিবীতে আগমন করি, পরিবারের সবাই তখন আনন্দে খুশিতে মেতে উঠে। সত্যিই আবার আমরা এই পৃথিবী থেকে যখন চলে যায়, তখন পরিবারের সবাই অনেক কষ্ট পায়। আসলে আমাদের এই পৃথিবীতে আগমনের সাথে সাথেই আমাদের পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে এটা চিরন্তন সত্য। আর এটা মেনে নিতে হবে। যদিও আমরা জানি যে এটা চিরন্তন সত্য, আমাদের একদিন চির বিদায় নিতে হবে। তার পরেও যেন সেই বিদয়টা খুবই কষ্টকর। আসলে প্রত্যেকটা বিদায়ী অনেক কষ্টকর মসেটা চির বিদায় হোক, আর ক্ষনিকের বিদায় হোক। বিদায় শব্দটা যেন অনেক কষ্টকর এবং বেদনাদায়ক। বিশেষ করে চির বিদায় দেওয়ার অনুভূতিটা সত্যিই অনেক কষ্টকর। হৃদয় থেকে যেন এই কষ্টটা উপলব্ধি করতে হয়। আজকে আজকে আপনার সাথে শেয়ার করতে আসলাম, আমার চাচা দাদার মৃত্যু খবর শুনে আমারও খুবই খারাপ লেগেছে। আমার চাচাতো দাদাকে শেষ বিদায় দেওয়ার অনুভূতিটা সত্যিই অনেক কষ্টকর ছিল। এই অনুভূতিটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আসলে শেষবিদায়টা যেন মানুষকে অনেক কষ্ট দেয় এবং অনেকটাই দুর্বল করে ফেলে।
গত দুইদিন আগে রাত সাড়ে এগারোটার সময়, আমি প্রতিদিনের মত আমার বাংলা ব্লগ এ কাজ করতে ছিলাম। এরইমধ্যে আমাকে আমার মামা কল দিল, আমি তখন কলটা রিসিভ করলাম। ভেবেছি হয়তো অন্যকোন খবর। আসলে রাত করে যে কল গুলো আসে সেই কল গুলো হয়তো আনন্দের, হয়তোবা দুঃখের হয়তো কোনো প্রয়োজনে হয়ে থাকে। তবে এরকম একটা খবর পাবো সেটা কখনোই কল্পনা করিনি। মামা ফোন দিয়ে বলল তোমার দাদা আর এই পৃথিবীতে নেই। সে চির বিদায় নিয়েছে, তুমি সকাল সকাল চলে আসো। সকালবেলা তাকে বিদায় দেওয়া হবে। সত্যিই খবরটা শুনে যেন আমার খুবই কষ্ট হলো। কারণ আমি রাতে দাদার সাথে কথা বলেছিলাম। আসলে দাদা একদম সুস্থ মানুষ ছিল। কীভাবে কি হয়ে গেলো খবরটা শুনব আমি মেনে নিতে পারছিলাম না। আমি বললাম আমি তো কিছুক্ষণ আগে কথা বললাম। বলল যে সবার সাথেই কথা বলেছে। কথা বলার পরেই যেন তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।
আসলে আমি আমার আপন দাদা ও দাদিকে আমার জন্মের আগে হারিয়েছি। তাদেরকে দেখার আমার সৌভাগ্য হয়নি। তবে আমার এই চাচাতো দাদা এবং দাদী আমাকে নিজের নাতির মতোই পালন করে। সে কখনোই বুঝতে পারিনি যে এরা আমার চাচাতো দাদা-দাদী।দাদা খুবই ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তার মনে কোন অহংকার ছিল না। সে যেন এক অন্যরকম মানুষ। সকলকে খুবই ভালবাসতেন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে তার ছেলেমেয়ে এবং আত্মীয়দের সাথে একবার হলেও কথা বলে নিতেন। দাদার এটাই বড় গুণ ছিলো।সে প্রতিদিনের মত আজকেও যেন রাতের খাবার খেয়ে নামাজ পড়ে সকলকে ফোন দিয়েছিলেন এবং ফোনে কথা বলেছিলেন। সত্যিই দাদার এই গুনটার জন্য সবাই দাদাকে অনেক পছন্দ করত। আর দাদা আল্লাহভীরু ছিলেন। আল্লাহ তাআলার ইবাদত করতেন সব সময় এবং দাতার বয়স হয়েছে ৮৫ বছর। তারপরে দাতা একদম তরতাজা ছিলেন এবং সে একাই হেঁটে সকল কাজ করতেন। এর আগেও দাদা হার্ট অ্যাটাক করেছিল দুইবার। তাই দাদা ওষুধ প্রতিনিয়ত খেতেন। আজকে অনেক ভাল ছিলেন এবং আজকে এশার নামাজ পড়ে সকলকেই সাথে কথা বলেছিলেন। আর ওযু দিয়ে প্রতিদিনের মতে বিছানায় শুতে যাবে তখন আবার দাদাকে অ্যাটাক করে ফেলে। আরে হার্ট অ্যাটাকের কারণে দাদা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে নেয়।
দাদা যখন ওযু দিয়ে রুমে আসতে ছিল তখনই দাদা বুঝতে পেরেছিল তার হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। তখনই বড় ছেলেকে ডাক দেয়, আর বড় ছেলে তখন বাসায় ছিল সে তখন এসে বলল বাবা আপনার কি হয়েছে। তখন দাদা বললো যে আমি আর বাঁচবো না। আমাকে তোমরা বিদায় দিয়ে দাও।এই বিদায় দিয়ে দাও কথাটা যেন তার বড় ছেলের কানে এখনো ভার্সে। সে যেন এটা বলছে আর চিৎকার করে কান্না করছে। বাবা বলল যে আমাকে বিদায় দাও।এটা বলে তার বাবা তারই কোলে শুয়ে পরল এবং কালেমা পড়তে পড়তে আল্লাহতালার নাম নিতে নিতে যেন ঘুমিয়ে গেল। সত্যি দাদার যেন এক মিনিটও সময় লাগে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে। এত সুন্দর একটি মৃত্যু আল্লাহতালা দিয়েছেন। সেজন্য আল্লাহতালাকে অনেক শুকরিয়া জানাই। কারণ এভাবে ছেলের কোলে ঘুমিয়ে যাওয়ার মত মৃত্যু কপালে সবার আসে না। আসলে দাদা ছিলেন আল্লাহ তাআলার ইবাদত করতেন এবং আল্লাহ ভীর ছিলেন। তার জানাজা নামাজে হাজার হাজার মানুষের আগমন, সকলেই দাদার জন্য দোয়া করতে ছিল।
দাদা শেষ বিদায় দিতে গ্রামের সকলেই এসেছে শুধু গ্রাম্য নয় গ্রামের আশেপাশে এবং অন্যান্য এলাকাতে থেকে হাজার হাজার জানাজা মানুষ দাদার শেষ বিদায় দিতে এসেছিলো। আসলে ভালো মানুষকে সবাই ভালবাসে এবং সবাই যাকে ভালোবাসে আল্লাহতালা তাকে ভালবাসেন। তাই দাদার এই শেষ বিদায় সকলেই যেন মহান আল্লাহতালার কাছে হাত তুলে দোয়া করতে ছিলেন। আসলে দাদা খুবই ভালো মনের মানুষ ছিলেন। জানি না আল্লাহ তাআলার কাছে তিনি কেমন থাকবেন। আল্লাহ তালা যেন তাঁকে তাঁর শ্রেষ্ঠ মর্যাদা দিয়ে যান। এটাই দোয়া করি।
আল্লাহ পাক আপনার দাদাকে বেহেশত নসিব করুন। খুব সুন্দর মৃত্যু আল্লাহ দান করেছেন ওনাকে। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার দাদাকে বেহেশত নসীব করুন,আমিন।চিরন্তন সত্যি এই মৃত্যু। একদিন সবাইকে তা ভোগ করতে হবে।তবে আমরা যেনো আল্লাহর সন্তুষ্টি এনে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে পারি আমাদেরকে সেই চেষ্টাই করতে হবে।আল্লাহ পরিবারের সবাইকে এই কষ্ট সহ্য করার তৌফিক দান করুন।
একদম ঠিক কথা বলেছেন অনেক রাতে ফোন আসলে সেগুলো মানুষের মনে ভয় যোগায়। শুনে অনেক ভালো লাগলো আপনার চাচাতো দাদা আপন দাদার মতোই ভালোবাসতো। আসলে তারাও এক ধরনের জীবনের অনেক বড় ছায়া চলে গেলে সেটা বুঝতে পারা যায়। আল্লাহতালা তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক কামনা করি।
সত্যিই ভাইয়া, পৃথিবী থেকে দাদার শেষ বিদায়ের মুহূর্তটা নিঃসন্দেহে আপনার জন্য অনেক কষ্টের ছিল। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, মহান আল্লাহতালা যেন আপনার দাদাকে জান্নাত নসিব দান করেন, আমিন।
এটা কিন্তু সত্যি বিদায় শব্দটা একেবারেই কষ্টকর। মানুষ যেমন এই পৃথিবীতে এসেছে, তেমনই একদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে চলে যেতে হবে। আপনার দাদা আপনাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছে এটা জেনে সত্যি খুবই খারাপ লেগেছে। আল্লাহ তায়ালা যেন ওনাকে বেহেস্ত নসিব করেন সেই কামনা করি। আপনি আপনার আপন দাদা দাদুকে জন্মের আগে হারিয়েছিলেন। আপনার চাচাতো দাদা দাদু আপনাকে অনেক ভালোবাসতো, নিজের নাতির মত। আল্লাহ তায়ালা ওনাকে খুবই সুন্দর একটা মৃত্যু দান করেছেন।
মানুষ মরণশীল। আপনার দাদার মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা।আল্লাহ আপনার দাদাকে বেহস্ত নসীব করুণ।
প্রিয়জন হারানোর কষ্ট কখনো ভুলার নয়। যার যে চলে গিয়েছে সেই বুঝে হারানোর যন্ত্রনা। এই পৃথিবীতে যখন এসেছি আর এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে একদিন সবাইকে যেতে হবে এটাই সত্য। আপনার চাচাতো দাদার মৃত্যুর খবর শুনে খারাপ লাগলো। আপনার দাদার জন্য দোয়া রইল যাতে আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করেন।
আপনজনকে হারানোর বেদনা যে কত বড় কঠিন তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। কারণ আপনজন নিজের কলিজার চেয়ে প্রিয় হয়ে থাকে। আর সেই মানুষ যখন দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় তার জন্য হৃদয় ভেঙ্গে যেন কান্না বয়ে আসে চোখ দিয়ে তবুও মাথায় রাখতে হবে এভাবে একদিন আমাদেরও এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। তাই ভেঙে পড়তে নেই তাদের জন্য শুধু একটাই করণীয় বেশি বেশি দোয়া প্রার্থনা করা। আপনার দাদু যেন বেহেস্ত নসিব হয় সেই দোয়া রইল।
নিজের দাদার মতোই আপনার চাচাতো দাদা আপনাকে অনেক বেশি আদর করত। নিজের আপন দাদার ভালোবাসা কখনো পাননি। কারণ ওনারা আপনার জন্মের আগে মারা গিয়েছিলেন। আপনার চাচাতো দাদা দাদু আপনাকে খুবই ভালোবাসত। এখন আপনার চাচাতো দাদা আপনাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে এটা জেনে খারাপ লেগেছে। আসলে কখন কে আমাদের ছেড়ে চলে যায় তা কেউই বলতে পারবে না। মৃত্যু সবার জীবনে নির্ধারিত। আল্লাহ তায়ালা যেন আপনার চাচাতো দাদাকে বেহেস্ত নসিব করে সেই দোয়া করি।