বর্ষাকালে নৌকায় করে পিকনিক খাওয়ার মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ ছিল। আর এই নৌকা করে পিকনিক খাওয়ার মুহূর্ত গুলো আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। কারণ বড় ভাই ও বন্ধুদের সাথে সেই দিনটি অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। আসলে বর্ষাকালে অনেকেই নৌকায় করে পিকনিক করে।আর নৌকায় করে পিকনিক খাওয়ার মুহূর্তগুলো সত্যি অসাধারণ। কারণ নৌকায় করে যখন পিকনিক খাওয়া হয় তখন নদীর প্রকৃতি এবং বর্ষার সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো উপভোগ করা যায়। তাই বর্ষাকালে নৌকায় করে পিকনিক খাওয়ার গল্পের আজকে শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে। এই গল্পটির শেষ পর্ব পড়ে আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

পিকনিক খাবার সেই মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। ব্রিজের নিচে যখন আমরা রান্নাবান্না করলাম এবং খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম তার সাথে গান-বাজনা হল, খুবই আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করলাম।আর বড় ভাইরা বলল যে এই নদী থেকে আরেকটু দূরে গেলে একটি বিশাল বড়চর রয়েছে। সেই চরের সুন্দর কিছু ঘর রয়েছে। এখানে গেলে খুবই ভালো লাগবে, তাই আমাদের নৌকাটি সেই চরের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। সত্যি আমি চরে কখনো যাই নাই। এইবার প্রথমেই যাব। তাই যেন খুবই ভালো লাগতেছিল, আর সেই চরের কাছাকাছি নৌকা যখন এসলো তখন খুবই ভালো লাগলো। কারণ বিশাল বড় চর মনে হচ্ছিল এটা যেন একটি গ্রাম।

তারপরে আমরা নৌকা থেকে সেই নদীর চরে নামলাম। চরে নেমেই যেন অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য,নৌকা থেকে নেমেই যেন বালুর কিছু দৃশ্য ছিল, সেই বালুর দৃশ্যের মধ্যে হেঁটে যাচ্ছিলাম। আসলে বালুর মধ্যে দিয়ে এভাবে হাঁটতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আর বালু পেরিয়ে যেন সবুজ প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর দৃশ্য, আসলে খুবই সুন্দর সুন্দর ফসল রয়েছে। বিশেষ করে চরে গম ও বাদাম চাষ করা হয়েছে। এই বাদামগুলো দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো এবং বাদাম তুলে তুলে আমরা খাচ্ছিলাম। কাঁচা বাদাম খাওয়ার মজাটাই যেন অন্যরকম, আসলে এখানে এসে খুবই ভালো লাগলো।চরের ভিতরে অনেক সুন্দর একটি ছনের ঘর রয়েছিল। আসলে বন দিয়ে তৈরি করা এই ঘরটি। এখানে বসার খুবই ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আমরা সেই ঘরের পাশে আসলাম এবং ঘরের পাশে এসে আমরা বসলাম এবং চরের উপরে সাথে যেন সবুজ ঘাসেরও কিছু দৃশ্য রয়েছিল। সেই ঘাসের উপরেও আমরা বসলাম। তখন সেখানে আমাদের লটারি আয়োজন করা হলো এবং এই লটারিতে আমি একটি পুরস্কার জিতেছিলাম। তাই আমার খুবই ভালো লাগতেছিল।

চরের সুন্দর দৃশ্য দেখতে ছিলাম দেখতে দেখতে যেন সময়টা পার হয়ে যাচ্ছিল। তারপরে ভাইরা বলল যে এই বালের ভিতরে আমরা কিছু সময় ফুটবল খেলব। তাই নৌকা থেকে একটি ফুটবল নিয়ে আসলো আর এই ফুটবলটি বড় ভাইরা নিয়ে এসেছে নদীতে সাঁতার কাটার জন্য, কারণ ফুটবল ধরে সাঁতার কাটতে নাকি অনেকটাই ভালো লাগে। যারা সাঁতার শিখে নেয় তাদের জন্য ভালো হয়। তাই সেই ফুটবলটি দিয়ে এই বালু চরের ভিতরে কিছু সময় খেলাধুলা করা হলো। সত্যি ফুটবল খেলার সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দ ছিল, অনেকেই পড়ে যাচ্ছিল, আর সেই দৃশ্যগুলো ছিল অনেকে হাসির এবং মজার।

ফুটবল খেলা শেষ করলাম, শেষ করে যেন অনেক ভালো লাগতেছিল। তারপরে নদীর কিনারায় আসলাম এবং নদীর কিনারে এসে সকলে একসাথে এই বর্ষার পানিতে গোসল করলাম। সত্যিই সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দ ছিল। সবাই সাবধানে গোসল করলো, যাতে কোন সমস্যা না হয় এবং গোসল করে আমরা নৌকাতে উঠলাম এবং সেই দিনের গল্পটা সত্যি অনেক ভালো ছিলো।অনেক সুন্দর মুহূর্ত এবং সকলে মিলে নদীতে গোসল করা অনেক আনন্দ ছিল। তারপর আমরা আবারও নৌকায় ওঠলাম আমাদের গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।