গল্প: ভালোবাসার শেষ পরিণতি//পর্ব-২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
ভালোবাসা হৃদয়ের অনুভূতি আর এই ভালোবাসা কখন কার প্রতি তৈরি হয় সেটা কখনোই কেউ বলতে পারে না। ভালোবাসা ধনী গরিবের ভেদাভেদ দেখে না, ভালোবাসা দেখে দুটি মনের মিল। আর এই দুটি মনের মিল হয়ে থাকে হৃদয়ের অনুভূতি থেকে। যাকে ভালোবাসা যায় সেই মানুষটাকে ছাড়া অন্য মানুষটাকে যেন আর ভালই লাগে না। এরকম ভালোবাসা বারবার আসে না হৃদয়ের অনুভূতি থেকে একজন মানুষের প্রতি ভালোবাসা জন্ম হয়। আর এই ভালোবাসা কখনোই ধনী গরিব, উঁচু নিচু ভেদাভেদ দেখে না।তেমনি মানিক ভাই ও সাবিহার ভালোবাসা ছিল প্রকৃত ভালোবাসা। তাদের ভালোবাসা হৃদয়ের অনুভূতি থেকে জন্ম হয়েছিল। আর এই ভালোবাসাকেই কেন্দ্র করেই আজকের গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি আজকের দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভালো লাগবে, তো বন্ধুরা চলুন দ্বিতীয় পর্বটি পড়া শুরু করা যাক।
মানিক ভাই অনেক ভালো স্টুডেন্ট ছিল। যার কারণে সাবিহার সাথে মানিক ভাইয়ের একটা বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আর সেই বন্ধুত্বের থেকেই তাদের মধ্যে ভালোবাসা শুরু হয়ে যায়। আর ভালোবাসার এই সম্পর্ক অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যায়। যখন সাবিহার বাবা জানতে পারে তখন সাবিয়াকে মানিক ভাইয়ের কাছ থেকে দূরে চলে যেতে বলে এবং মানিক ভাইকে দূরে চলে যেতে বলে কারণ তখন বলে আমরা অনেকে উচু পরিবারের আর মানিক একদম গরীব পরিবারের। যার কারণে সাবিহার বাবা এই ভালোবাসা মেনে নিতে চায় না। সাবিহার আপু অনেকবার তার বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু তার বাবা বোঝার মানুষই না।তার বাবার ভিতরে ছিল অনেক অহংকার এবং টাকার ডেমাগ। সে অনেক টাকার মালিক ছিল,যার কারণে তার অহংকার বেশি ছিল এবং সে গরিব দুঃখীদের দেখতেই পারত না। তাই মানিক ভাইকে অনেক ভাবে না করে। মানিক ভাই যখন সাবিহা আপুকে বেশি ভালোবেসে। তারপরে সাত দিন কলেজে না পেয়ে অনেক কষ্ট পায়। তারপরে তারা একদিন বাইরে দেখা করে, আর এই দেখাটাই যেন তাদের ভালোবাসার আরো কাল হয়ে দাঁড়ায়।
আসলে মানিক ভাই আর সাবিয়া আপু প্রকৃত ভালোবাসায় দুজন আবদ্ধ ছিল। যার কারণে তারা চেয়েছিল যেভাবে হোক মিল হবে, তাই তারা বাইরে দেখা করেছিল। দেখা করেছিল একটি নদীর পাড়ে। আর নদীর পারে একটি বটগাছ ছিলো, সেই বট গাছের পাশে দাঁড়িয়ে সাবিহা আর মানিক ভাই কথা বলে, সাবিহা আপু বলে আমার বাবা জীবনেও মেনে নেবে না। তাই আমি আর তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। চলো আমরা দূরে চলে যাই। আমরা দূরে চলে গেলে কিছুদিন পরে আসলে হয়তোবা তখন মেনে নেবে মতাছাড়া আমাদের কখনোই মেনে নেবে না। সাবিহা আপুকে মানিকভাবে বুঝায় যে আমি পরিবারের বড় সন্তান। আমি যদি তোমার সাথে এভাবে চলে যায় তাহলে আমার পরিবারটা শেষ হয়ে যাবে। আমার বাবা-মা এমনি অসুস্থ। আমার উপরে পরিবারের সকল দায়িত্ব। আমি টিউশনি করে পরিবার চালায়। তোমার সাথে আমি চলে যাই তাহলে আমার পরিবারে কি অবস্থা হবে। সত্যি মানিক ভাইও সেদিন পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে তার প্রকৃত ভালবাসাকে দূরে সরে দেয়।
একজন ছেলে পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে সকল কিছু করতে পারে। আসলে বিশেষ করে পরিবারের বড় ছেলেরা হাজারো কিছু ত্যাগ করতে পারে তার জীবন থেকে,এমনকি তার জীবনের চাইতেও প্রিয় ভালোবাসার মানুষ কেউ ত্যাগ করতে পারে এই পরিবারকে ভালোবেসে পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে। বড় ছেলেদের এত বড় আত্মত্যাগ সত্যি কখনোই কল্পনা করা যায় না। তাই মানিক ভাই সেদিন তার প্রকৃত ভালোবাসা এবং হৃদয়ের গভীরে যাকে স্থান করে দিয়েছিল, সেই মানুষটিকে নিয়ে যত স্বপ্ন দেখেছিল তার হাত ধরে চলে যেতে পারতো কিন্তু পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে সে চলে যায়নি। আর মানিক ভাইয়ের এভাবে বুঝানোর কারণে সাবিহা আপু নিরবে চোখের পানি ফেলে বাড়ির দিকে চলে যায়।
তারপরে সাবিহা আপু বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে চলে যাওয়ার পরে তার বাবাকে আবার বুঝায়। যে আমি মানিককে ছাড়া থাকতে পারবো না। তুমি আমাদের বিয়ে দাও।মানিকে সাথে পারিয়ে যেতাম মানিক ভালো ছেলে তাই পারিয়ে গেলো না। তার বাবা যেন আরো রাগ হয়ে যায়। তার বাবা তখন তাদের আত্মীয়র ভিতরেই জোর করে সাবিহা আপুর বিয়ে ঠিক করে দেয় এবং বিয়ে করতে সাবিহা আপু রাজি হয় না।তারপরে জোর করে বিয়ে করে দেয়। নিরবে চোখের পানি ফেলে যায়। অনেকদিন না খেয়ে থাকে এবং সে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়।মানিক ভাই সাবিহার বিয়ের কথা শুনে অনেক অসুস্থ হয়ে পরে তাকে আমাদের সিরাজগঞ্জের সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং সুস্থ করার পরে সেই পরিবারের হাল ধরার জন্য বুকের ভিতর কষ্ট নিয়ে পরিবারের জন্য কাজ করা শুরু করে দেয়। হৃদয় যে মানুষের জায়গা দিয়ে ছিলো সেই মানুষটির জায়গা হৃদয়ের সারা জীবন থাকে। আর এই জায়গাটি কখনো পূরণ হবে না তাকে ছাড়া, হৃদয়ের অনুভূতিটা হৃদয়ের কষ্ট মানিক ভাই নীরবে সহ্য করতে থাকে।
কি বলবো বলেন ভাইয়া, অনেক পরিবারের অভিভাবকদের জন্যই কিন্তু সাবিহা আর মানিক ভাইদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। জোর করে বিয়ে দেওয়া গেলেও কিন্তু জোড় করে ভালোবাসার মানুটিকে মন থেকে মুছে ফেলা যায় না। আর এ জন্যই সাবিহা আর মানিক ভাইরা এভাবেই শেষ হয়ে যায়। সুন্দর ছিল আজকের গল্পটি।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মানিক সাবিহাকে ফিরিয়ে দিয়ে জীবনের সব থেকে বড় ভুল করেছে মনে হয়। পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলেই ভালো করত। ভালবাসার মানুষকে ধরে রাখতে পারল না। হয়তো পরিস্থিতির কারণে মানিককে এরকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। যাই হোক দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। বেশ ভালো লাগলো গল্পটা ভাইয়া।
এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
আসলে ভাইয়া পরিবারের বড় ছেলেদের অনেক দায়িত্ব এবং চিন্তা থাকে তাদের মাথায়। যাহোক, মানিক ও সাবিহার মধ্যে সত্যিই হৃদয়ের গভীর থেকে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছিল এবং তারা সত্যিকারে ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়েছিল। এখন দেখা যাক তাদের ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত কোন ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া🌻🌹