আসলে কোথাও যদি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভ্রমন করা যায়। সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের হয়, কারণ আনন্দময় মুহূর্ত গুলো পরিবারের সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে খুবই ভালো লাগে। তাই আমি ছুটির দিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে নৌকা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যমুনা নদীর পাড়ে এসেছিলাম। আর যমুনা নদীর পারে অপরূপ সুন্দর দৃশ্য গুলো আমি মাঝে মাঝেই উপভোগ করি। কিন্তু পরিবারের সবাই তো আর মাঝে মাঝে উপভোগ করতে পারে না। তাই আজকে বড় মামা, মামি এবং খালাদের সাথে নিয়ে নদীর পাড়ে অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য উপভোগ এবং নৌকা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে নদীর পাড়ে এসেছি। আর নদীর পাড়ে দৃশ্য গুলো দেখে তারা খুবই আনন্দিত হলো। আমরা একটি বড় নৌকা ভাড়া করলাম। আর এই বড় নৌকাতে অনেক মানুষ ছিল আমাদের সাথে। আশেপাশের অনেক মানুষ ছিল আর এই নৌকা ভ্রমনের মুহূর্তটা খুবই আনন্দের। ভ্রমণ মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন ভ্রমণের ফটোগ্রাফি গুলো দেখা শুরু করা যায়,,,।

যুমনা নদীর অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখার জন্য সিরাজগঞ্জ শহরে এবং সিরাজগঞ্জ শহরের আশেপাশে ১৫ টির মত পয়েন্ট রয়েছে। পয়েন্টগুলোতে প্রতিদিনই হাজার মানুষের আনাগোনা হয়। নদীর সৌন্দর্য দেখার জন্য আজকে আমরা এসেছি সিরাজগঞ্জের পুরাতন জেলখানার গেট। এখানে পুরাতন জেলখানা ছিল। আর এই জেলাটি নদী ভাঙ্গনের কারণে শহরের উত্তর সাইডে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পুরাতন জেলখানা ঘাট নামে পরিচিত। আজকে আমরা এখানে আসলাম। এখানে এসে দেখতে পেলাম হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা।

তারপরে আমরা নদীর সৌন্দর্য দৃশ্য উপভোগ করলাম এবং নদীর পাড়ে দেখতে পেলাম অনেক নৌকা রয়েছে। এ নৌকাগুলো নদীতে ভ্রমণ করে। আমরাও একটি নৌকা ভাড়া করলাম এবং আমার মামা- মামী আগে নৌকায় উঠল। তারপরে আমরা আস্তে আস্তে নৌকায় উঠলাম। নৌকায় উঠে দেখতে পেলাম নৌকার আশেপাশে অনেক স্পিড বোর্ড নৌকা নদীতে ভ্রমণ করছে। দেখে ভালো লাগলো।

আমরা সবাই নৌকাতে উঠলাম এবং নদীতে অনেক ঢেউ ছিল। তাই আমরা নৌকায় উঠে একটু ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার মামাকে দেখতে পেলাম সে নৌকার হাল ধরেছে। সত্যিই এই দৃশ্যটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। অবশ্য মামা আগে থেকেই নৌকার হাল ধরা পারতো। সে নৌকার হাল ধরা নিয়ে পাকা ছিল, কিন্তু আজকে অনেকদিন পর যমুনা নদীতে নৌকা ভ্রমনের হাল ধরা কিন্তু কঠিন।তার পরেও সে ধরলো

নদীর মাঝে দিয়ে নৌকা ভ্রমন করছি, কি অপরূপ সৌন্দর্যময়, মুক্ত বাতাসের মধ্যে ভ্রমণ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগলো। সত্যি আজকে আমি আনন্দিত পরিবারের সকলকে নিয়ে নৌকা ভ্রমনের মুহূর্তে অসাধারণ ছিল। তাই আমি সেলফি উঠে পরিবারের সকলের সাথে ক্যামেরাবন্দী করে রাখলাম।

পরিবারের সবাই নৌকায় ভ্রমন করেছে এবং তারা অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করছে। তাদের আমি ফটোগ্রাফি করলাম। আসলে আজকে অনেকেই এসেছে মামা- মামি, খালা -খালু ছোট ছোট বোন এবং ভাগ্নির সাথে নিয়ে এসেছি। সবাইকে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করাতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।

ভ্রমণের মুহূর্তে আমাদের নৌকার আশেপাশে অনেক নৌকা চলাচল করছে। সাথে লঞ্চ, স্টিমার যাচ্ছে মাঝে মাঝে। এই দৃশ্যগুলো আমি ছোট ভাই এবং ভাগ্নির দেখালাম। তারা অনেক আনন্দিত হলো। সত্যিই আজকে ভ্রমণের মুহূর্ত অনেক আনন্দের ছিল। বিশেষ করে পরিবারের সকলের সাথে মুহূর্তটা ভাগাভাগি করে নিতে পেরে আমি খুবই খুশি।

অবশেষে সন্ধ্যা নেমে আসলো।আমরা অনেকক্ষণ নৌকায় করে ভ্রমণ করলাম। এখন আমাদের নৌকা থেকে নামতে হবে। আমাদের নৌকা প্রায় ঘাটে এসেছে। আমরা এখন এখানে নামবো, সত্যিই মুহূর্তটা অনেক ভাল ছিল। সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাবে, এখন মুহূর্তটা খুবই ভালো লাগলো। আজকে ভ্রমণ করতে পেরে আমরা সবাই যেন অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করলাম।