ট্রেন ভ্রমণে ঢাকা যাওয়ার মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি //পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


IMG_20230616_164153.jpg

সিরাজগঞ্জ শহর থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি স্টেশনে আসলাম। স্টেশনে এসে দেখতে পেলাম আমাদের ট্রেন এসে পৌঁছেছে। আর সকাল ছয়টার সময় এই ট্রেন যাত্রা শুরু করে। আমি অনলাইনে আগে টিকিট কেটেছিলাম। তাই আমার সিট পাওয়া গিয়েছিল।আমি জানালার পাশে টিকিট কেটেছিলাম। আর জানালার পাশ থেকে যাত্রার পথে সৌন্দর্যময় রাস্তার এই দৃশ্যগুলো দেখতেছিলাম। সত্যিই ভ্রমণের সেই মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল। ভ্রমণের মুহূর্তটা আমি আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি এবং যখন আমি বাংলাদেশের সবচাইতে বড় কমলাপুর রেলস্টেশনে আসলাম। সেখানে আমি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। যে ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম।


ফটোগ্রাফি-১👇

IMG_20230616_163938.jpg

এই ট্রেনে করে যখন ভ্রমণ করতেছিলাম। মাঝেমধ্যে অন্যান্য ট্রেন যাচ্ছিল। আমাদের ট্রেনের পাশ দিয়েই, তাই আমি স্টেশন এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অন্যান্য ট্রেন যাওয়ার সেই দৃশ্যগুলো জানালা দিয়ে উপভোগ করতেছিলাম। সত্যি চারপাশের সবুজ প্রকৃতি ছিল এর মধ্যে দিয়ে ট্রেন যাচ্ছিল। সেই দৃশ্যটি আমার খুবই ভালো লেগেছে, তাই ফটোগ্রাফি করেছি।
ফটোগ্রাফি-২👇

IMG_20230616_163925.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৩👇

IMG_20230616_164020.jpg

ট্রেনের ভিতরে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আমার পাশেই ছিল একটি ছোট মেয়ে তার সাথে আমি কথা বলতেছিলাম। ভালই লাগতেছিল সেই মুহূর্তটা। সত্যি অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি।ট্রেনের ভিতরে অনেক হকাররা এসেছিল। তাদের কাছ থেকে কিছু কেনাকাটা করলাম। ট্রেনের ভিতরে এই হকারদের কাছ থেকে কিছু কিনে খাওয়াটাও অনেকটাই বিপদের। তারপরেও আমাদের দেখে খেতে ইচ্ছা করছিলো। কারণ আমরা না খেলে তাদের পেট চালবে কিভাবে।
ফটোগ্রাফি-৪👇

IMG_20230616_164002.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৫👇

IMG_20230616_164043.jpg

তারপরে আমি যাত্রা পথে আমাদের ট্রেন ক্রসিংয়ের জন্য দাঁড়ালো। আরেকটি ট্রেন আসবে, সেই ট্রেনটির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। এমন সময় দেখতে পেলাম অনেক হকাররা এসেছে পানি বিক্রি করছে। আর প্রচণ্ড গরম পড়েছিল এর মাধ্যে আমারও তৃষ্ণা পেয়েছিল। তাই তাদের থেকে পানি কিনলাম।ট্রেন যখন থামিয়েছিল তখন আমি জানালার পাশ দিয়ে দেখতেছিলাম তারপরে আমি ট্রেন থেকে নামলাম। নেমে ওখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেই মুহূর্তগুলো সত্যি অসাধারণ ছিল।
ফটোগ্রাফি-৬👇

IMG_20230616_164032.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৭👇

IMG_20230616_164140.jpg

দীর্ঘ চার ঘন্টা ট্রেন জার্নি করে ঢাকা শহরে আসলাম। বাংলাদেশের সবচাইতে বড় কমলাপুর রেলস্টেশনে আসলাম। এই কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে আমি অবাক হয়ে গেলাম। সত্যি কমলাপুর রেলস্টেশনের এত সুন্দর পরিবেশ যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আর এই সুন্দর রেলস্টেশনে হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা, দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম।
ফটোগ্রাফি-৮👇

IMG_20230616_164103.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৯👇

IMG_20230616_164308.jpg

আমাদের ট্রেন এসে কমলাপুর রেলস্টেশনে থামল। দুই নাম্বার প্ল্যাটফর্মে আমাদের ট্রেন দাঁড়ালো। তখন আমি ট্রেন থেকে নামলাম, ট্রেন থেকে নেমে যেন চারপাশে দৃশ্য উপভোগ করতেছিলাম। আর ফটোগ্রাফি করতেছিলাম। সত্যি আজকে ট্রেন জার্নিটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে আরও বেশি ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফি-১০👇

IMG_20230616_164256.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-১১👇

IMG_20230616_163950.jpg

বাংলাদেশের সবচাইতে বড় কমলাপুর রেলস্টেশন। এখানে প্রতিটা ট্রেন এসে থেমে যায়। আর এখান থেকে যেন যাত্রা শুরু হয়। তাই এই স্টেশনের নামতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আর ইস্টিশনের নেমে আমি স্টেশনটা প্রথমবারের মতো দেখতে পেলাম। আর প্রথমবারের মতো এতো বড় স্টেশন দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। সত্যিই এই ইষ্টিশনে যেন এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করতেছিল আমার।
ফটোগ্রাফি-১২👇

IMG_20230616_163901.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-১৩👇

IMG_20230616_164128.jpg

ট্রেন থেকে নেমে যেন গেটের দিকে আসতে লাগলাম। আর গেটের দিকে আসার সময় স্টেশনের সৌন্দর্যময় এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে লাগলাম। সত্যি আমি ফটোগ্রাফি করতে লাগলাম। ইস্টিশনে ট্রেন থেকে নেমে অনেকখানি হেঁটে গেটের দিকে আসতে হয়। আর টিকিট ছাড়া এই স্টেশন থেকে বের হওয়া যায় না। তাই আমার টিকিট রয়েছে, টিকিটটা আমি হাতে নিলাম এবং হাঁটতে শুরু করলাম। তাই দৃশ্যগুলোর ফটোগ্রাফি করলাম।
ফটোগ্রাফি-১৪👇

IMG_20230616_164118.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ট্রেন ভ্রমরের সেই সৌন্দর্যময় মুহূর্তগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং কমলাপুর রেলস্টেশনে দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। তাই ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করছি দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে আপনাদের সাথে আরও কিছু সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করতে পারব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল।🙏🌹🙏


New_Benner_ABB.png

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাRedmi Note 6 Pro
ধরণফটোগ্রাফি।
ক্যামেরা.মডেলNote 6 Pro
ক্যাপচার@rayhan111
অবস্থানসিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ

banner-abbVD.png

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png-4.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন💗🌹💗🌹💗

Sort:  
 last year 

ট্রেন ভ্রমণ করে ঢাকায় গিয়েছিলেন। মুহূর্তটা একেবারে অন্যরকম ছিল, যা আমি পড়েই বুঝতে পারছি। কমলাপুর রেলস্টেশন জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর। আপনি বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্যের এবং কমলাপুর রেলস্টেশনের কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ট্রেন থেকে নেমে। অনলাইনে প্রথমে টিকিট কেটে ফেলেছিলেন এটা ভালোই করেছিলেন। আর আপনি জানলার সিটের টিকিট কেটেছিলেন। জানালার পাশে বসে এভাবে ট্রেনে ভ্রমণ করার মুহূর্তটা উপভোগ করতে একটু বেশি ভালো লাগে। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট ছিল বলতে হয়।

 last year 

ট্রেন জার্নি সত্যি খুব ভালো লাগে। আমিও মাঝে মাঝে ঢাকায় আসা যাওয়ার সময় ট্রেনে করে আসা যাওয়া করি। তবে আপনি ঠিক বলেছেন হকারদের কাছ থেকে এসব খাওয়া অনেক বিপদের,তবে ওদের এই খাবারগুলো কিন্তু ভালো লাগে 😉। সবগুলো ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। ঠিক বলেছেন ট্রেনের সাথে যখন অন্য পাশে ট্রেন যায় সেটা দেখতে কিন্তু খুব ভালো লাগে।

 last year 

ওয়াও ভাই আপনি দেখছি আজ আমাদের মাঝে অনেক চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।ট্রেন ভ্রমণে ঢাকা যাওয়ার মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি, ট্রেন ভ্রমণ আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আর আপনি দেখছি অনেক মজা করে টেনে চড়ে ঢাকায় রওনা দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনার যাত্রা যেন শুভম হয়।

 last year 

ট্রেন জার্নি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে ।এই লাইন দিয়ে আমি একবার ঢাকা গিয়েছি।
আপনি ট্রেন ভ্রমণের অনেক সুন্দর অভিজ্ঞতা সেই সাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো দেখে।।

 last year 

এই পথে আমিও বেশ কয়েকবার ট্রেনের জার্নি করেছি। খুব ভালো লাগে ট্রেনের জানালার পাশে বসে বাইরে প্রকৃতি দেখতে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন ট্রেনে হকারদের কাছ থেকে খাওয়া আসলেই বিপদজনক। আবার এদের কাছ থেকে না কেনাটাও ঠিক ভালো না। কারণ এদেরও তো সংসার আছে। টেন ক্রসিং এ দাঁড়ানোর পর আরেকটি ট্রেন পার হওয়ার সময় খুব বিরক্তি লাগে। ট্রেনে জ্যাম একদমই ভালো লাগেনা। যাই হোক আপনি ট্রেনে খুব সুন্দর জার্নি করে ভালোমতো পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।

 last year 

আপনি দেখছি ট্রেন ভ্রমণের দৃশ্যটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলেন। এভাবে ট্রেনে ভ্রমণ করতে সবার কাছেই অনেক বেশি ভালো লাগে। আর যদি হয় জানালার সিট তাহলে তো কোন কথাই নেই। কমলাপুর রেলস্টেশনের সৌন্দর্য দেখে সত্যি আমিও মুগ্ধ হলাম। আপনি সেখানে নেমে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছিলেন। সব মিলিয়ে আপনার কাটানো মুহূর্তটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি এবং ফটোগ্রাফি গুলো ও দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো

 last year 

সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার মুহূর্তে আপনি ট্রেন ভ্রমণের সময় কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় ট্রেন ভ্রমণের মাঝে যে আনন্দ আছে সেটা বাসে পাওয়া যায় না। খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ভাই,ট্রেন জার্নি আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। আর তাই অনেক সময় শখ করে ট্রেনে করে ঢাকা গিয়েছিলাম। আর হ্যাঁ ভাই, ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন সত্যিই খুব সুন্দর একটি জায়গা। আমার কাছেও এই জায়গাটি খুবই ভালো লেগেছিল। আপনি সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার মুহূর্তে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং আপনার ট্রেন জার্নি নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। যা পড়ে খুব ভালো লাগলো। ট্রেন ভ্রমণে ঢাকা যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত টুকু শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

আমার কাছে ট্রেন ভ্রমণ ভীষণ ভালো লাগে। ট্রেন ভ্রমণের মধ্যে আলাদা মজা আছে বিশেষ করে বন্ধুদের সাথে এই ভ্রমণটা সবচেয়ে বেস্ট। দারুন ছিল আপনার ঢাকা যাওয়ার মুহূর্তটা তার পাশাপাশি চারিপাশের পরিবেশের ফটোগ্রাফি খুব সুন্দরভাবে করেছেন ভালো লাগলো।

 last year 

দীর্ঘ চার ঘন্টা ট্রেন জার্নি নিশ্চয়ই খুব ভালো উপভোগ করেছেন। ট্রেন জার্নি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। কিন্তু ভারতের সেই ট্রেন এক্সিডেন্ট এর পর এখন ট্রেন জার্নি কেন জানি খুব ভয় লাগে। যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফি কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। ট্রেনের ভিতর থেকে জানালা দিয়ে বাহিরের পরিবেশ খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়। ভাইয়া আপনার দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.17
JST 0.031
BTC 88194.12
ETH 3339.93
USDT 1.00
SBD 3.00