যমুনা নদীর পাড়ে বন্ধুদের সাথে ভ্রমণের সুন্দর মুহূর্তের দ্বিতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। দ্বিতীয় পর্বে বন্ধুদের সাথে নৌকা ভ্রমণের আনন্দ মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে নৌকা ভ্রমনে খুব মজা করেছি। যমুনা নদীতে নৌকা ভ্রমনের মুহূর্তটা ছিল অসাধারণ। বিশেষ করে বিকেলবেলা হওয়াতে অনেক আনন্দ করেছিলাম। বন্ধুদের সাথে এই মুহূর্তটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। সেই দিনটা আজ খুব মিস করছি। সত্যি নৌকা ভ্রমনের করতে পেরে খুবই আনন্দ করেছি। কারণ নৌকা ভ্রমণের সময় যমুনা নদীতে লঞ্চ চলাচল করতে ছিল। এই দৃশ্যগুলো নদীতে ভ্রমণ করা অবস্থায় উপভোগ করেছি। আমার খুবই ভালো লেগেছে। তো বন্ধুরা চলুন সেই ভ্রমণকাহিনীর ফটোগ্রাফি গুলো দেখা শুরু করা যাক,,,।

বিকেল বেলা নদীর পাড়ে প্রকৃতির পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কারণ প্রকৃতির পরিবেশ ছিল অসাধারণ। বিশেষ করে নদীর সৌন্দর্যময় প্রকৃতি আমার খুবই ভাল লাগল এবং নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম আকাশের সৌন্দর্যটা যেন আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তো আমরা একটি নৌকা ভাড়া করলাম। আমরা যমুনা নদীর এপার থেকে চায়না বাঁধ এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আর এখান থেকে প্রতিজনের নৌকা ভাড়া ৩০ টাকা করে. আমরা সকল বন্ধুরা নৌকা ভাড়া করলাম ২৫০ টাকা দিয়ে।নৌকাতে শুধু আমরা বন্ধুরা উঠলাম। আর অন্যকেউ উঠলো না। যার কারণে আমরা বেশি মজা করতে পেরেছি।

আমরা যে নৌকাটি ভাড়া করলাম নৌকাটি অনেক সুন্দর ছিল এবং নতুন নৌকা ছিল। যার কারণে বেশী ভালো লেগেছে এবং আমার বন্ধুরা সবাই নৌকাতে উঠলাম। আমার এক বন্ধু সাঁতার জানে না, যার কারণে সে নৌকাতে উঠেছি ভয় পেলো এবং সে মাঝখানে বসলো। এ নিয়ে আমরা অনেক মজা করলাম। তারপর আমাদের নৌকা চায়না বাঁধ এর উদ্দেশ্যে রওনা হল।

নৌকাতে উঠেছি অনেক ভালো লাগলো। কারণ অনেকদিন পর নৌকা ভ্রমন করছি মআর যমুনা নদীর শীতল বাতাসের মধ্যে নৌকা ভ্রমনের মুহূর্তটা ছিল অসাধারণ। তাই আমরা সকল বন্ধুরা সেলফি নিয়ে ব্যস্ত থাকলাম। সত্যিই নদীর প্রকৃতির দৃশ্য গুলো খুব ভালোভাবে উপভোগ করতেছিলাম।

নৌকা ভ্রমনের মুহূর্তটা ভালোভাবে উপভোগ করতেছিলাম এবং নদীতে দেখতে পেলাম অনেকে স্টিমার চলাচল করছে। এই স্টিমারগুলো আমাদের নৌকার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সত্যিই স্টিমারগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো।তাই নৌকার উপর থেকে এই স্টিমারগুলো ফটোগ্রাফি করলাম।মুহূর্তটা অনেক আনন্দময় ছিল।

যমুনা নদী যেন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে লঞ্চ স্টিমার গুলো বেশি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। সত্যিই নদীতে ভ্রমণ করে অনেক আনন্দ পেয়েছি। আসলে নৌকায় করে ভ্রমণ করলে নদীর সৌন্দর্য ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। স্টিমারগুলো আমাদের নৌকার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল আমার এই মুহূর্তটা সত্যিই অনেক আনন্দ হচ্ছিল।

নদীর মাঝ দিয়ে আমাদের নৌকাটি যাচ্ছিল। আসলেই নৌকা ভ্রমনের মুহূর্তটা অনেক আনন্দ হচ্ছিল। যখন স্টিমারগুলো আমাদের নৌকার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখন বড় বড় ঢেউ এসে আমাদের নৌকায়কে ধাক্কা দিচ্ছিল। তখন যেন মনের ভিতর অনেক ভয় লাগলো। আসলে নৌকা ভ্রমনের মুহূর্ত অনেক আনন্দের, তেমনি নদীর বুকে দিয়ে নৌকা ভ্রমন করতে আবার ভয়ও লাগে।

সন্ধ্যার সময় পশ্চিম আকাশে সূর্য অস্ত যাচ্ছিল। নদীতে নৌকা ভ্রমণ অবস্থায় এই আকাশের সৌন্দর্য দেখতে পেলাম। সত্যি আকাশ যেন অন্যরকম এক সৌন্দর্যময় রূপে সাজিয়ে। সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি খুবই ভালো লেগেছে। এই মুহূর্তে ফটোগ্রাফি করলাম।