ঈদের আগের দিনে আমার কাটানো অনুভূতি
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
প্রথমে জানাই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক। আশা করছি আপনারা সবাই পরিবারের সাথে নিয়ে ঈদের আনন্দটা ভাগাভাগি করে নেবেন। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। বছরে দুটি ঈদ আমাদের জন্য আসে এই খুশির দিন নিয়ে। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। আর এই ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে আমাদের মনে হাজারো স্বপ্ন এবং পরিকল্পনা থাকে।তাই আমি শহর থেকে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি পরিবারের সাথে এই আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য। আর এই মুহূর্তটা খু্বি ভালো লেগেছে আমার। বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দ করবো এটাই পরিকল্পনা ছিলো মনের মধ্যে। তাই শহর থেকে গ্রামে এসেছি ঈদের আগের দিন সকাল বেলায়। ঈদের আগের দিন সকালবেলা এসেই যেন বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা হলো আর তখন অনেক ভালো লাগলো এবং ঈদের নামায় পড়ার মাঠ সাজানোর দায়িত্ব আমাদের সকলের উপরে দিয়েছিল। তাই আমার বন্ধুরা মিলে মাঠ সাজানোর দায়িত্বটা ভালোভাবে বুঝিয়ে নিলাম।
যখন আমাদের বন্ধুত্বের উপরে ঈদগা মাঠ সাজানো দায়িত্ব দেয়া হলো। তখন আমরা বন্ধুরা মিলে ঠিক করলাম, এবার খুবই সুন্দরভাবে সাজাবো এবং সবাইকে তাক লাগিয়ে দিব। তাই আমরা পাঁচ বন্ধু এবং গ্রামের আরো পাঁচজনকে একসাথে নিয়ে ঈদগা মাঠ সাজানো কাজে সকাল থেকে শুরু করে দিলাম। বন্ধুদের সাথে নিয়ে ঈদের আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতে এবং ঈদগা মাঠ সাজানোর মুহূর্তটা সত্যি অনেক আনন্দে ছিল। এই কাজগুলো অনেক কঠিন ছিল তারপরেও যেন সকল বন্ধুরা মিলে একসাথে করতেছিলাম জেনে অনেক বেশি ভালো লাগলো এবং আমরা আরো ডেকোরেশন করার জন্য ডেকোরেটরকে ভাড়া করা হলো তারা পুরো রাস্তা যেন লাইটিংয়ের কাজ করতেছিল। সত্যি সময়টা অন্যরকম আনন্দের ছিলো।
সকল বন্ধুরা মিলে সকাল থেকে সেই দুপুর তিনটা পর্যন্ত কাজ করতেছিলাম। তারপরেও যেন এখনো কাজ শেষ হয়নি। এমন সময় তিনটার পরে আকাশে মেঘ দেখতে পেলাম। খুবই খারাপ লাগতেছিল বারবার চাচ্ছিলাম যেন বৃষ্টি না হয়, কিন্তু সাড়ে তিনটা চারটার দিকে বৃষ্টি নামলো। তখন খুবই খারাপ লাগলো এবং বৃষ্টির পরিমাণমূলক কম ছিল তাই যেন অনেক দোয়া করতে ছিলাম। যেন বৃষ্টি না হয়, কিন্তু গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলো, তারপরে বৃষ্টি শেষে আবারও আমাদের কাজ শুরু করে দিলাম। ভাবলাম এই বৃষ্টিতে কিছু হবে না, তাই আবারও আমরা কাজ শুরু করে দিলাম এবং বন্ধুদের সাথে নিয়ে লাইটিংয়ের কাজটা শেষ করলাম। তারপরে ঈদহা মাঠের দুই পাশে দুইটি গেট দেওয়া হয়েছে, এই গেট এর লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হলো।
সকল বন্ধুরা অনেক পরিশ্রম করলাম, এবং পরিশ্রমের শেষে রাত আটটার দিকে আমাদের কাজ শেষ হলো। পুরো মাঠ যেন সুন্দরভাবে সাজিয়েছি এবং দু'পাশে অনেক রাস্তা দূরে লাইটিং এর ব্যবস্থা এবং দুটি গেট তৈরি করেছি।সত্যি গ্রামের মানুষ যেন তাক লেগে গেল। যে এবার এত সুন্দর আয়োজন করেছি। তারপরে রাতে যখন আমরা বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম এবং অনেক পরিকল্পনা করতেছিলাম, কিভাবে এই টাকাগুলো গ্রামের মানুষ থেকে তোলা যাবে এবং কিভাবে কি করা যাবে। তারপর রাত ১১টার পরে যেন আকাশের মেঘের ডাক শুনতে পেলাম এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নামা শুরু হয়ে গেল, তখন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার ছেড়ে বাসায় আসলাম এবং বাসায় এসে আমরা ফোনে কথা বলতেছিলাম।
বৃষ্টি পরিমাণ যেন বাড়তেই ছিল, সারা রাত বৃষ্টি হলো। আমি তো একদম হতাশ হয়ে গেলাম। বন্ধু বলল হতাশ হওয়ার কোন দরকার নাইম সকাল থেকে যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে মাঠে নামাজ পড়া যাবে। আর মাঠে নামাজ পড়া গেলে আর কোন সমস্যা নাই। শুধু দোয়া কর যেন সকালে বৃষ্টি না নামে। সারারাত বৃষ্টি হলো এবং সকালবেলা পাঁচটা থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু। আজকে আর এই মাঠে নামাজ পড়া হলো না। এত কষ্ট করে মাঠ সাজালাম, মাঠে যেন পানি জমে গেছে কিভাবে মাঠে নামাজ হবে। এখনো বৃষ্টি হচ্ছেই, বাইরের দিকে বের হওয়া যাচ্ছে না। আসলে এতদিন অনেক গরম ছিল এবং অনেক রোদ ছিল। আজকে যখন খুশির দিনে আসলো বৃষ্টি নামলো, তাই খুবই খারাপ লাগতাছে আমার। এই খারাপটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। তবে কি আর করা আল্লাহ তায়ালা যেটা ভালো মনে করছেন, সেটাই তো হবে।
প্রথমে জানাই ভাই ঈদ মোবারক। ঈদের দুই-তিন দিন আগে থেকে মানুষ অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন কাজে সবাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। ঈদের নামাজ পড়ার জন্য ঈদগাহ সাজানোর দায়িত্ব আপনাদের উপরে দিয়েছিল। আপনারা পাঁচ বন্ধু মিলে সুন্দর করে ঈদগা সাজে মানুষকে তাক লাগিয়ে দিবেন এমন পরিকল্পনা ছিল। যদিও বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এরমধ্যে দিয়ে আপনাদের কাজ শেষ করতে পেরেছেন বেশ ভালো লাগলো ভাই। আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ