📸বড় ভাইয়ের সাথে মোটরসাইকেল করে পাবনা ভাঙ্গুরা ভ্রমণ এবং কিছু ফটোগ্রাফি🏍️||🛣️[১০% @shy-fox ]🌹
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
অনেকদিন পর বড় ভাই ছুটিতে বাড়ি এসেছে। আর বড় ভাই ছুটিতে বাড়ি আসলে আমরা সবাই বড় ভাইয়ের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করি। অনেকদিন পর বড় ভাই বাড়ি আসার কথা শুনে খুবই ভালো লেগেছে। তাই আমিও বাড়ি আসলাম এবং সিরাজগঞ্জ থেকে বড় ভাইয়ের সাথে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করলাম। তবে বড় ভাই বলল আমরা আজকে পাবনা ভাঙ্গুরা যাব। আমি বললাম পাবনা ভাঙ্গুড়া কেন। সে বলল পাবনা ভাঙ্গুড়ায় অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে পারবি। পাবনা ভাঙ্গুড়া অনেক সুন্দর একটি এলাকায়। এই এলাকায় প্রকৃতির পরিবেশের খুবই ভালো লাগে। দু'পাশে নদী মাঝ দিয়ে সুন্দর একটি রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তায় গেলে মন ভালো হয়ে যাবে। তারপরে পাবনা ভাঙ্গুড়া আমার এক বন্ধু রয়েছে। তার বাড়িতে আমরা বেড়াতে যাব। আমি আর কোন কথা না বলে বড় ভাইয়ের সাথে রাজি হয়ে গেলাম এবং আমি ও বড় ভাই মোটরসাইকেল করে সিরাজগঞ্জ থেকে পাবনা ভাঙ্গুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আর এই ভ্রমণের পথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি। আশা করছি ভ্রমণ কাহিনী এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।
মোটরসাইকেল করে পাবনা ভাঙ্গুরা ভ্রমণ এবং কিছু ফটোগ্রাফি📸👇
তাই আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে সকাল দশটার দিকে সিরাজগঞ্জ থেকে পাবনা ভাঙ্গুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সিরাজগঞ্জ রোড পার হবার পরে রাস্তাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর রাস্তা এবং এই রাস্তার দু'পাশ দিয়ে সবুজ প্রকৃতির কাজ পালা যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এই সৌন্দর্যময় পরিবেশের মধ্যে মোটরসাইকেল করে ভ্রমণ করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। তাই এই ফটোগ্রাফি গুলো করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
মোটরসাইকেল করে ভ্রমণের মুহূর্ত আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে বেশি ভালো লাগার কারণ হলো রাস্তার সৌন্দর্যময় পরিবেশ। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় পরিবেশ মধ্যে ভ্রমণ। আমরা প্রায় দুই ঘণ্টার মত মোটরসাইকেল ভ্রমণ করার পরে পাবনা ভাঙ্গুড়ার পাশাপাশি এলাকায় আসলাম। এখানে খুবই সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেলাম।রাস্তার দুপাশ দিয়ে নদী বহমান এবং মাঝখান দিয়ে সৌন্দর্যময় রাস্তা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। তাই এই সুন্দর প্রকৃতির পরিবেশের ফটোগ্রাফি করলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
আসলে নদীর সৌন্দর্যময় প্রকৃতি পরিবেশ দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়।রাস্তা দুপাশ দিয়ে যখন নদীর দৃশ্য গুলো দেখতে লাগলাম। তখন খুবই ভালো লাগলো, এই নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতেছিলাম। আসলে এই রাস্তা দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম দু'পাশের নদী থাকার কারণে নদীর পাশের এই রাস্তা দিয়ে যেতে খুবই ভালো লাগলো। নদী শীতল বাতাসে মন যেন মুগ্ধ হয়ে গেলো। আকাশে প্রচন্ড সেদিন রোদ ছিল। তার পরেও নদীর পাশ দিয়ে যাওয়ার কারণে নদীর শীতল বাতাস গায়ে লাগছিল। তাই খুবই ভালো লাগতেছিল সেই মুহূর্তটা।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
এই ইটের রাস্তা প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ধরে আমরা পার হলাম।পার হতে অনেক বেশি সময় লাগছে।আসলে ইটের রাস্তাটি হওয়ার কারণে আমরা মোটরসাইকেল খুব ভালোভাবে চালাতে পারেনি। কারণ আমাদের মোটর সাইকেলের স্পিড বেশি দিতে পারেনি।সাবধানতার সাথে যেতে হলো। এখানে অনেক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল, কারণ ইটের রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো কষ্ট কর। তারপরেও ভালো লাগতেছিল কারণ প্রকৃতির বাতাস বইছিল। আসলে নদী থাকার কারণে এই রাস্তাটি বিরক্ত লাগেনি, কারণ নদীর শীতল বাতাস এবং নদীতে মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করতেছিলাম আর এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
রাস্তার পাশে আমি দেখতে পেলাম আখ বিক্রি করছে। এটা যেন আখের বাজার। সত্যিই এরাকম বাজার কমই দেখা যায়।এখানে সকলেই আখ কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আসলে এরকম আখের বাজার আমি এর আগে কোথাও দেখিনি। যে রাস্তার পাশ দিয়ে শুধু আখ রয়েছে। অন্য দোকান খুব কমই রয়েছে। এই আখের বিক্রেতারাই বেশি। দৃশ্যটি দেখে ভালো লাগলো।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
নীল আকাশের অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য, সাদা মেঘগুলো যেন ভেসে বেড়াচ্ছে। নদীর পাড়ের দিকে তাকিয়ে নদীর সৌন্দর্য দৃশ্য উপভোগ করলাম। গাছগুলো নদীর পানিতে যেন অর্ধেক ডুবে আছে। এই সৌন্দর্যময় প্রকৃতির পরিবেশ থেকে ভালো লাগলো। আসলে নদীর পাড়ের এই সুন্দর প্রকৃতি দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
নদীর পানিতে আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। আর মাঝখানে একটি স্কুল দেখতে পেলাম। আসলে এই স্কুলের যারা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক, শিক্ষিকা রয়েছে। তারা হয়তো নৌকাযোগে পারাপার হয়। তাছাড়া এখানে প্রায় নয় মাস পানি জমে থাকে। আর এই নয় মাস এখানকার স্কুলের শিক্ষার্থীরা নৌকা চলাচল করে। নদীর ভিতর স্কুলটা দেখে কি রকম একটা অনুভূতি মনের হলো। আসলে এই স্কুলের শিক্ষক এবং ছাত্র ছাত্রীদের কতই না কষ্ট। তার পরেও তারা প্রতিনিয়ত এই স্কুলে আসা-যাওয়া করছে, এই দৃশ্যটি আমার ভালই লেগেছে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | মোটরসাইকেল করে পাবনা ভাঙ্গুরা ভ্রমণ এবং কিছু ফটোগ্রাফি📸 |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
বাড়িতে স্পেশাল কেউ আসলে সত্যিই ভাল লাগে। আপনি আপনার বড় ভাইয়ের সাথে মোটর সাইকেলে অনেক সুন্দর কিছু মুহুর্ত উপভোগ করেছেন। সিরাজগঞ্জ পার হওয়ার পর রাস্তার ছবিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। কি সবুজের সমারোহ রাস্তার দুই পাশে। ব্রিজের দুই পাশে নদীর দৃশ্যটি খুবই চমৎকার লেগেছে।১৫ কিলোমিটার এইরকম ইট বিছানো রাস্তা পার হতে নিশ্চয়ই কষ্ট হয়েছে আপনাদের। আহ এত আখ একসাথে দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। কতদিন দাত দিয়ে কামড়িয়ে আখ খাই না। নদীর পানিতে ওই এলাকা প্লাবিত হয়েছে জেনে খারাপ লাগছে। এই প্লাবন কত মানুষেরা ক্ষতি করে বলা বাহুল্য। তবে এত পানির মাঝে ছোট্ট স্কুলটি খুব সুন্দর দেখাচ্ছে, যদিও ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যেতে কষ্ট হয়ে যায়। পাবনার ভাংগুরা জায়গাটি সত্যিই সুন্দর। আমাদের দেশে কত সুন্দর জায়গা আছে আমরা তা জানিই না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে বাড়িতে বড় ভাই কিংবা অন্য মেহমান আসলে খুবই ভালো লাগে। আর বড় ভাইয়ের সাথে এই সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্যময় রাস্তা দিয়ে ভ্রমণ করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করেছেন।
পাবনার ভাঙ্গুড়া নামক এই স্থানটি অনেক আগে থেকেই অনেক ঐতিহ্য বহন করে রয়েছে। আমরা গত বর্ষায় আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম ।সেখান থেকে ফেরার পথে আমরা এই ভাঙ্গুরার এই জায়গাটি ভ্রমণ করেছিলাম।। দুপাশ দিয়ে পানি আর মাঝ দিয়ে রাস্তা।। বিশেষ করে উঁচু যে ব্রিজটা রয়েছে সেই ব্রিজের ওখানে দাঁড়িয়ে ফটো তুলে এবং বাচ্চাদের ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে পানিতে পড়ার দৃশ্য দেখে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল।। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় এই অঞ্চলের মানুষের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় ।যেমনটি আপনি বলেছেন স্কুলের কথা আসলে উপায় নেই এরকম ভাবেই চলাফেরা করতে হবে।।
ভাই আপনি ভাঙ্গুড়া ভ্রমণ করেছেন জেনে আমার খুবই ভালো লাগছে। ভাঙ্গুড়ার রাস্তা গুলো খুবই সুন্দর কারণ দুপাশের নদী। ছেলেরা নদীর ব্রিজ থেকে লাফ দেয় দৃশ্যগুলো সত্যিই অনেক আনন্দের।
বাংলাদেশে এমন অনেক স্কুল আছে যেখানে কীনা বর্ষা মৌসুমে পানি চলে আসে। ফলে অনেক কষ্ট হয়ে যায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের। পাবনা ভাঙ্গুরা জায়গাটা তো সত্যি অনেক সুন্দর। নীল আকাশের নিচে হুম জলরাশি মুগ্ধ করে দেবার মতোই। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনূভুতি টা বোঝা যাচ্ছে। বেশ ভালো ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। বড় ভাইয়ের সঙ্গে আপনার ভ্রমণটা ভালো ছিল।।
আসলে ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন, বাংলাদেশে এমন অনেক স্কুল-কলেজ রয়েছে যেখানে পানি জমে থাকে। বর্ষার সময় খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। এই স্কুলের স্যার এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট সীমা থাকে না।
আপনি কিন্তু একদম মনের কথা বলেছেন আমার। নদীর পাশ থেকে ফটোগ্রাফি করতে আমারও বেশ ভালো লাগে। আমার এর আগে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটো উঠানো ছিল। তখন হয়তো এত উন্নত এন্ড্রয়েড মোবাইল আমার ছিল না। তারপরেও নরমাল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল গুলোতে যার ছবি উঠাতাম বেশ ভালো লাগতো।আমার এমন স্মৃতি রয়েছে রাজশাহী পদ্মা পাড়ের পাশ থেকে নদীর পানি কাশফুল আর সাদা সাদা মেঘের একসাথে সুন্দর সুন্দর ফটো উঠাতাম যা দেখে আমার খুব ভালো লাগতো। খুবই খুশি হলাম আপনার আজকের পোস্ট এর ফটো গুলো দেখে। তবে একটা পরামর্শ থাকবে মোটরসাইকেলে রানিং অবস্থায় ফটোগ্রাফি না করা ভালো।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে নদীর পাড়ের সৌন্দর্যময় দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত।
Hi, @rayhan111,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @rex-sumon.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP
যেকোনো জায়গায় ভ্রমন করতে কতই না ভালো লাগে ।আর বিশেষ করে বাইকে ভ্রমণ করলে চারপাশের প্রকৃতি খুব ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। আমার কাছে বেশ ভালো লাগে বাইকে কোথাও ঘুরতে যেতে। তবে রাস্তা দেখে মনে হচ্ছে এখানে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে খুব মারাত্মক হয়ে যাবে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ।আর আপনার বড় ভাই বাড়িতে আসার আনন্দে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পেরেছেন।
আপনার মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর আপনি ঠিকই বলেছেন এই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটলেও অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
মোটরসাইকেল করে পাবনা ভাঙ্গুরা ভ্রমণ ভ্রমণের লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। এ ধরনের মোটরসাইকেলে ভ্রমণ করার মধ্যে সত্যি দারুন একটি আনন্দ রয়েছে। পাশাপাশি আপনার পোস্টের বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে আখের ফটোগ্রাফিতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আমার ভ্রমণ-কাহিনী ও ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভাল লেগেছে জেনে সত্যিই আমি আনন্দিত। আপনার মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।