💗আমার বাংলা ব্লগ💗ছোটবেলার দিনগুলো খুবই মজার ছিল🤼♂️[10℅ shy-fox ]🙏
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
ছোটবেলার দিনগুলো আজ খুবই মনে পড়ছে। কারণ ছোটবেলার দিন গুলো খুবই আনন্দের ছিল।আজকে হঠাৎ আমার ছোটবেলার তিনজন বন্ধুর সাথে ফোনে কথা হলো।তারা এখন বাড়িতে খুব কম আসে।কারণ তারা ঢাকা শহরে থাকে। আমিও বাড়িতে খুবই কম আসি। কিন্তু বন্ধুরা হঠাৎ আমাকে ফোন দিয়ে বলল আজ অনেকদিন পর আমরা দেখা করব, তাই আমি শহর থেকে তাদের সাথে দেখা করার জন্য গ্রামে আসলাম। আসলে গ্রামে এসে দেখতে পেলাম বন্ধুরা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমার অবশ্য একজন বিয়েও করেছে। তবে বন্ধুদের সাথে আমার সেই পুরনো স্মৃতি গুলো নিয়ে গল্প করতে খুবি ভালো লাগছে। আসলে আমরা বন্ধুরা মিলে সেই পুরনো দিনের গল্পগুলো করতেছিলাম। আমাদের পুকুর পাড় বসে আমরা পুরনো স্মৃতিগুলো নিয়ে ভাবতেছিলাম। সত্যি সেই পুরনো দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে খুবই হাসি আসতেছিল।
আসলে ছোটবেলা কোনো চিন্তা-ভাবনা ছিলনা। স্বাধীনভাবে জীবন যাপন, পড়াশোনা নিয়ে অত ব্যস্ততা ছিলাম না।নেই কোন টেনশন, একদম স্বাধীন জীবন- যাপন। সত্যি সেই দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে ভালো লাগে।আমাদের গ্রামে ফুলজোর নদী রয়েছে। আমরা সেই নদীতে বিকালবেলা এসে মাছ ধরা দেখতাম এবং আমরা যখন দুপুর হত তখনই সে নদীতে গোসল দিতাম। আসলে আমাদের সাথে গ্রামের অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ছিল, তারাও একসাথে গোসল দিতো। আসলে নদীতে গোসল করার মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক আনন্দের। কারণ বন্ধুদের সাথে নিয়ে কত আনন্দ মজা করতাম। নদীতে এখন আর আগের মতো ছোট বাচ্চাদের গোসল করতে দেখা যায় না। তবে আমাদের সময়ে অনেক আনন্দ হতো। নদীতে নৌকা থাকত এবং আমরা সেই নৌকার উপর খেলাধুলা করতাম ও নদীতে গোসল দিতাম। আসলে সেই মুহূর্তগুলো খুবই ভালো লেগেছে।জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে, আমরা নদীর পাড়ে বসে মাছ ধরা দেখতাম। সেই দিনগুলোর কথা খুবই মনে পড়ছে।
আসলে আমরা গ্রামবাংলায় বেড়ে ওঠা মানুষ, আর গ্রামের ছোট ছোট ছেলেরা খেলাধুলা করার জন্য সাইকেল, ভ্যান এবং মোটরসাইকেলের চাকা দিয়ে খেলাধুলা করতো। এখন আর সেরকম খেলাধুলা হয় না, কারণ এখন অনেকটাই আধুনিক, তারা টায়ার বা চাকা দিয়ে খেলাধুলা করে না। তারা গাড়ি, সাইকেল মোটরসাইকেল আরো অনেক খেলনা রয়েছে সেগুলো দিয়ে খেলাধুলা করে। কিন্তু আমরা ছোটবেলা মোটরসাইকেলের টায়ার বা চাকা দিয়ে খেলতাম।মোটরসাইকেল চাকা যার রয়েছে তাকে উন্নত ভাব হতো।আমার টায়ার ছিলো না বন্ধুদের ছিলো,তাই আমি বাবাকে বললাম বাবা বাজার থেকে একটা পুরনো মোটরসাইকেলের টায়ার আমার জন্য নিয়ে আসলাম। পরদিন সকালেই মোটরসাইকেলের টায়ার বা চাকা নিয়ে বন্ধুদের সাথে খেলতে গেলাম।বন্ধুরা আমার মোটরসাইকেলের টায়ার দেখে অবাক হয়ে গেল।তারপর বন্ধুরা আমার পিছু পিছু ঘুড়তে লাগলো, আমার এই মোটরসাইকেল টায়ার চালাতে চায়তে ছিলো।রাস্তা দিয়ে সারা দিন টায়ার নিয়ে খেলাধুলা করতাম। এই দৃশ্য গুলো এখন আর দেখা যায় না। তবে সেই দিনের কথা মনে করতে পেরে খুবই হাসি আসছিল।
আসলে টায়ার নিয়ে খেলাধুলা করার মধ্যে অনেক আনন্দ রয়েছে।বন্ধুদের সাথে নিয়ে সারা দিন রাস্তায় ঘুড়ে বেরাতাম। বন্ধুরা আমার পিছু পিছু থাকতো।বন্ধুরা বলতো তোর টায়ারটা একটু দিবি আমি একটু চালাবো। সত্যি সেই দৃশ্যটা কথাটা মনে করতে পেরে এখন হাসি আসছে। যাইহোক বন্ধুদের সাথে সারাদিন খেলাধুলা করতাম,এখন খেলাধুলা করতে আর গ্রামে ওই দৃশ্যগুলো দেখা যায় না।
সারাটা দিন খেলাধুলায় নিয়েই ব্ থাকতাম, আমরা যখন মাঠে খেলাধুলা করতাম, আকাশ দিয়ে বিমান, উড়োজাহাজ উড়ে যেত। তখন আমরা সকল খেলাধুলা বাদ দিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতাম এবং বিমানকে হাত দিয়ে আমরা ডাকতাম। সত্যিই ঔই দৃশ্যগুলো অনেক আনন্দের ছিল। আমরা বিমানের পিছুপিছু রাস্তা দিয়ে দৌড়ে যেতাম। সত্যি এই দৃশ্যগুলো কথা মনে করতে পেরে অনেক হাসি পাচ্ছে। যখন রকেট যেত রকেট এর ধোঁয়া রাস্তা তৈরি হতো, এই দৃশ্যগুলো আমরা দেখলাম সত্যিই গ্রামের সহজ-সরল ছেলেরা কতটা আবেগপ্রবণ ছিল এই উড়োজাহাজকে দেখার জন্য, উড়োজাহাজের শব্দ শুনলেই দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতাম এবং আকাশের দিকে চেয়ে দেখতাম।
আসলে ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক ভাল ছিল। এই মুহূর্তগুলো এখন মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে, কারণ কোনো চিন্তা ভাবনা ছিল না। স্বাধীনভাবে জীবন যাপন কোন বাধা ছিল না। বন্ধুদের সাথে মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের ছিল। বন্ধুদের সাথে কাটানো অনেক স্মৃতি রয়েছে। আর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো অনেক মধুর।এই স্মৃতি গুলো সকলেরই রয়েছে। এগুলো ভাবতেই ভালো লাগে। তাই আমরা তিন বন্ধু মিলে পুকুরপাড়ে ঝাল দিয়ে কাঁচা আম বানানো খাচ্ছিলাম এবং পুরনো দিনের কথাগুলো গল্প করতেছিলাম আর হাসা-হাসি করছিলাম। সত্যি আজকে বন্ধুদের সাথে দেখা হয় এবং পুরনো গল্প গুলো করতে পেরে মনটা যেন অনেক হালকা হয়ে গেল।
আসলে আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে ছোটবেলার স্মৃতি গুলো খুবই আনন্দের এবং মজার হয়।বিশেষ করে আমার জীবনের ছোট বেলার দিন গুলো খুবই আনন্দে ছিল কারণ আমরা ছোটবেলায় অনেক আনন্দময় সময় পার করেছি। বিশেষ করে আমার সমবয়সী অনেক বন্ধু ছিল।বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে, খেলাধুলা করতে গিয়ে আমার আম্মার হাতে অনেক মাল খেয়েছি। আম্মার হাতে মার গুলো এখুন মধুর মনে হয়। অবশ্য তখন কিন্তু মধুর ছিল না। তখন অবশ্য অনেক খারাপ লাগতো,ভয়ে বাড়ি আসতে চায়তাম না। যাইহোক ছোটবেলার গল্প গুলো আবার বন্ধুদের সাথে করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। সত্যি মুহূর্তটি অনেক আনন্দের ছিল। আশা করছি আমার ছোটবেলার গল্প গুলো আপনাদের ভাল লেগেছে।🤼♂️⚽🤼♂️।
আপনার লেখাটি পড়ে ছোটবেলায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম। অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে সবকিছু বলেছেন যা আমরা ছোটবেলায় করতাম। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বিকেল বেলা খুব সাইকেল চালাতাম। অনেক ভাল লাগতো আমার। খুব মিস করি দিনগুলো। ছোটবেলার স্মৃতিগুলো আরেকবার মনে করিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
ওটা কিন্তু ভাই রকেট ছিল না। ওটাও এক ধরনের বিমান যেটার পেছন থেকে ধোয়া টাইপ বের হতো। ওগুলো সাধারনত সেনাবাহিনীর বিমান । সকলের ছোট বেলাই কিন্তু একই রকমের মনে হয় আমার কাছে। স্মৃতি গুলো মনে পরে গেল। নদীতে স্নান করতে গেলে আর ফিরতে চাইতাম না। ভাল ছিল মধুর স্মৃতি গুলো।
আপনার সুন্দর মতামত পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে।
আমি একটু আগেই ছোটবেলার দিনগুলো স্মরণ করলাম। ছোটবেলার দিনগুলো খুব মনে পড়ে গেল। তারপর এখন আবার আপনার পোস্টটা পড়ে ছোটবেলার কথা আবার অনেক মনে পড়ে গেল। আপনার ছোটবেলার কাহিনী পড়ে আমার অনেক ভালো লাগছে। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোষ্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আপনি ছোটবেলার কথা মনে করে দিলেন। ছোটবেলায় খেলা করতাম আনন্দ করতাম মারামারি করতাম। বৃষ্টির সময় কয়েকজন বন্ধু মিলে আম কুড়াতাম। পুকুরে গোসল করতাম। ছোটবেলায় গাছের উপর থেকে পুকুরে লাফ দিতাম। ছোটবেলা অনেক মজা করেছি ভাইয়া। আপনি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদের এলাকার নদীর নামটা তো অনেক সুন্দর । আমরা পুকুরে ছোটবেলায় খুব গোসল করতাম বন্ধুরা সবাই একসাথে মিলে , আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে মনে পড়ে গেল ভাইয়া । আর টায়ার দিয়ে কত গাড়ি চালিয়েছি পুরাতন টায়ার দিয়ে আমরা সবাই গাড়ি বানিয়ে চালাতাম । শৈশবের দিনগুলো কে এখন খুব মিস করি ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ছোটবেলার ঘটনা গুলো পড়ে খুব মজা লাগলো। আসলে আমি গ্রামে কখনো থাকি নি, তাই এই ধরনের খেলাধুলা আনন্দ আমি কখনোই করতে পারিনি । তাই যখন এ ধরনের গল্প গুলো শুনি তখন মনে হয় জীবনে অনেক কিছুই মিস করে ফেলেছি।
তবে আকাশে বিমান দেখে তাকিয়ে থাকাটা আমি ছোটবেলায় ও করেছিলাম, এখনো করি।
এখন অনেকে হাসে আমার এই কাণ্ড দেখে তবে আমার খুব মজা লাগে।
শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আসলেই ভাইয়া শৈশবের দিনগুলো সত্যিই অনেক মধুর ছিল। যদিও আমাদের এলাকাতে নদী ছিল না তারপরও আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পুকুর রয়েছে এই পুকুরে আমরা যখন একসাথে সবাই মিলে গোসল করতাম তখন অন্যরকম একটি মজা পেতাম। গোসল করতে করতে আমরা অনেক সময় ধরে খেলাও করতাম পানির মধ্যে।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ