বন্ধুদের সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। সেই স্মৃতিময় দিনের কথা মনে পড়লে যেন খুবই ভালো লাগে। তাই আমার বন্ধুদের সাথে বৃষ্টির দিনে একটি স্মৃতিময় গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে এই গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আসলে বৃষ্টির দিনে বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করা যায়। বিশেষ করে নদীর পাড়ে গিয়ে ফুটবল খেলার মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। এই বন্ধুদের সাথে স্মৃতিময় ফুটবল খেলার আনন্দময় মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আজকে এসেছি। আশা করছি আমার বন্ধুদের সাথে কাটানো সেই স্মৃতিময় গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন দ্বিতীয় পর্বটি পড়া শুরু করে যাক।

আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে স্কুল শেষে নদীর পাড়ে ভ্রমণে গিয়েছিলাম। আর নদীর পাড়ে ভ্রমণে গিয়ে দেখতে পেলাম নদীতে অনেকেই গোসল করছে। তখন ছিল বর্ষাকাল।আর বর্ষাকালে নদী পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে অনেক মানুষ নদীর পাড়ে ভ্রমন করতেছে এবং তারা গোসল করতে ছিল। আমার গোসল করতে খুব ইচ্ছা করতেছিল। তবে বৃষ্টির কারণে গোসল করতে ভয় পাচ্ছিলাম। যার কারণে গোসল করতে ছিলাম না, তবে আকাশের মেঘ ছিল একটু পরে বৃষ্টি নামলো আর এই বৃষ্টির মধ্যে বন্ধুদের সাথে যেন বৃষ্টিতে ভেজার একটা অন্যরকম ইচ্ছা জাগলো। তাই সকল বন্ধুরা বৃষ্টিতে ভিজতেছিলাম এবং আমার বন্ধু দোকান থেকে একটি ফুটবল কিনে নিয়ে আসলো।আসলে বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলার মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ ছিল সেই দিনটি কখনো ভলার নয়।

নদীর পাড়ে বড় একটি বটগাছ রয়েছে। আমরা এই বট গাছের নিচে বসেছিলাম। বট গাছের পাশে একটি ফসলের জমি রয়েছে। এই জমিতে ফুটবল খেলতে লাগলাম। ফসলের জমিতে তখন ফসল ছিল না। যার কারণে আমরা পাঁচ বন্ধু এই ফসলের জমিতে আনন্দের সাথে ফুটবল খেলতে লাগলাম।আসলে বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলার অন্যরকম একটা অনুভূতি রয়েছে। সেই অনুভূতিগুলো উপভোগ করতেছিলাম। সত্যিই অনেক ভালো লাগতেছিল। বৃষ্টির পানিতে ফসলের মাঠ যেন ভেজা ভেজা ছিল। আর এই ভেজা ভেজা ফসলের মাঠের মধ্যে যেন আমরা খেলতে লাগলাম। সত্যি সেই মুহূর্তটা খুবই ভালো লাগতেছিল। আমি ফুটবল খেলা তেমন একটা পারি না তারপরে বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতেছিলাম আর ফুটবল খেলতে ছিলাম।

আমরা অনেকক্ষণ ফুটবল খেললাম, তো ফুটবল খেলার শেষের দিকে প্রায় তখন হাসান বন্ধু জোরে একটি ফুটবলে শর্ট মারলো। আর এই ফুটবলটি সরাসরি গিয়ে গোলকিপার আমার বন্ধু মানিকের হাতে লাগলো। যার কারণে মানিক হাতে অনেক বেশি ব্যাথা পেয়েছিল। আর ফুটবল যেহেতু বৃষ্টির মধ্যে খেলা হচ্ছিলাম তখন মানিক মাঠে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ার কারণে অনেক ব্যথা পায়। তখন খুবই খারাপ লাগলো যে বন্ধু ব্যথা পেয়েছে। যার কারণে আমরা সকল বন্ধুরা মানিকের হাতে গেঞ্জি খুলে ব্যান্ডেজ করে আমরা কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। কপাল ভালো ছিল যে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি, অল্প শুধু হাতে একটু ব্যথা পেয়েছিল। ভেঙে যাওয়ার মত হলে তখনই আমাদের মানিকে ধরে বাড়ি নিয়ে আসতে হতো। তবে মানিক বললো আমি সুস্থ আছি কোন সমস্যা নেই। যখন মানিক বললো সুস্থ আছি তখন খুবই ভালো লাগলো।