📸ছোটবেলা ফেলে আসা স্মৃতি জড়িত ফুলজোর নদী ভ্রমণ এবং কিছু ফটোগ্রাফি🌅🖼️||🌿[১০% @shy-fox ]🌹

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ফুলজোর নদী, আর এই ফুলজোর নদীতে ছোটবেলার হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমার। আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে এই ফুলজোর নদীর ইছামতি নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। সত্যি বলতে এই নদীতে ছোটবেলার হাজারো স্মৃতি আমার জড়িয়ে রয়েছে। আজকে আমি অনেকদিন পর ফুলজোর নদীর পাশে আসলাম এবং ফুলজোর নদীর তার প্রাণ ফিরে পাওয়ার জন্য নদীতে খননের কাজ চলছে। আসলে নদীতে এখন আগের মত লঞ্চ স্টিমার চলাচল করে না। ছোটবেলা বাবার সাথে যখন নদীর পাড়ে যেতাম তখন লঞ্চ-স্টিমার গুলো দেখতে পেতাম। অনেকদিন হয়ে গেছে এই নদীতে আর বড় বড় লঞ্চ, স্টিমার চলাচল করতে দেখা যায় না। কারণ নদীতে পানি শুকিয়ে যেত, এবং নদীতে চর পড়তো।তাই নদীতে তার প্রাণ ফিরিয়ে দিতে খননের কাজ চলছে। নদীকে আগের মতো দেখা যাবে, তাই আমি নদীর পাড়ে ভ্রমণের জন্য আসলাম।


ছোটবেলা ফেলে আসা স্মৃতি জড়িত ফুলজোর নদী ভ্রমণ এবং কিছু ফটোগ্রাফি📸👇


GridArt_20220610_161443849.jpg

আমার শৈশব কেটেছে এই ফুলজোর নদীর ভালবাসায়। আমি ফুলজোর নদীতে বন্ধুদের সাথে ছোটবেলায় গোসল করতে আসতাম এবং নদীতে নৌকায় করে আমরা অনেক আনন্দময় সময় পার করেছি। আসলে নদীর পারে ছোট, বড় অনেক নৌকা থাকতো। এই নৌকায় করে আমরা ভ্রমণ করতাম। আবার এই নদীতে আমি আমার বাবার সাথে মাছ ধরতে আসতাম। নদীতে যখন পানি বৃদ্ধি পেত তখন সকলের মাছ ধরার জন্য ব্যস্ত হয়ে যেত। আর আমি তখন এই নদীতে বাবার সাথে মাছ ধরতে আসতাম। সত্যিই এই নদীতে গোসল এবং বন্ধুদের সাথে কতনা স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তাই নদীর পাড়ে এসে সেই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার শৈশবের সেই ফুলজোর নদীর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে করছি, আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।


তো বন্ধুরা চলুন ছোটবেলা ফেলে আসা স্মৃতি জড়িত ফুলজোর নদী ভ্রমণ এবং কিছু ফটোগ্রাফি দেখা শুরু করা যাক,,,

ফটোগ্রাফি-১👇

IMG_20220610_025042.jpg

সবুজ শ্যামল ফসলের মাঠ পাড়ি দিয়ে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ফুলজোর নদীর পাড়ে আসলাম।নদীর পরেই আমাদের হাই স্কুল রয়েছে। আমরা হাই স্কুলের পাশে গাছের ছায়াতলে বসে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতাম। এখানে বসে থাকার জন্য খুবই সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। সেই পুরনো গাছগুলো এখনো রয়েছে। এই গাছের ছায়া তলে বসে থেকে আমরা নদীতে জেলেদের মাছ ধরা দেখতাম। সত্যি মুহূর্তটি খুবই ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফি-২👇

IMG_20220610_025110.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৩👇

IMG_20220610_024348.jpg

ছোটবেলা আমার চাচাতো ভাই নৌকা করে মাছ ধরত। আমিও নৌকার করে বসে থেকে সে মাছগুলো ধরা দেখতাম। আজকে আমি অনেকদিন পরে, সেই নদীর পাড়ে এসে দেখতে পেলাম এখনো সেই নদীতে মাছ ধরার দৃশ্য গুলো রয়েছে এবং নদীর পাড়ে কলমি ফুল রয়েছে। আসলে এখন আর আগের মতো কলমি ফুল দেখা যায় না।অনেক দিন পর আমাদের এই ফুলজোর নদীর পাড় কলমি ফুলের সৌন্দর্য দৃশ্য গুলো দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফি-৪👇

IMG_20220610_024419.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৫👇

IMG_20220610_024706.jpg

আমাদের এই নদী অনেক বড়। যখন পানি বৃদ্ধি পায় তখন নদী তার প্রাণ ফিরে পায়। তখন যেন নদীর স্রোতের শব্দে চারদিক মুখরিত করে। নদীতে সবসময় লঞ্চ স্টিমার এবং নৌকা চলাচল করতে দেখা যায়। আজকে আমি অনেক নৌকা চলাচল করতে দেখলাম। নদীর পাড়ের শীতল বাতাসে আমার খুবই ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফি-৬👇

IMG_20220610_024811.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৭👇

IMG_20220610_024746.jpg

মূলত এসেছিলাম নদীর পাড়ে খননের কাজ দেখার জন্য। তবে নদীর পাড়ে খননের কাজ ভালই এগিয়ে চলছে কারণ ড্রেজার এবং ট্রলার এর সাহায্যে এই নদী থেকে খনন করা হচ্ছে। আর নদীতে যেন আগের মতো থাকে সেই জন্য কাজ করা হচ্ছে। কারণ নদীতে আগের মত লঞ্চ, স্টিমার আবারো চলতে দেখা যাবে। সত্যিই ড্রেজার মেশিনের কাজ গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফি-৮👇

IMG_20220610_024839.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৯👇

IMG_20220610_024942.jpg

নদীতে মাছ ধরার সেই দৃশ্যগুলো এখনো রয়েছে। নদীর পারে ছোট ছোট নৌকা রয়েছে মাছ ধরার জন্য এবং বড় বড় জাল এখনো নদীর পাড়ে তৈরি করে রেখেছে মাছ ধরার জন্য। আজকে মাছ ধরছে না, তবে এই দৃশ্যটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। মাছ ধরার দৃশ্য গুলো মনে পড়ে গেল সত্যিই অসাধারণ এই মাছ ধরার মূহুর্ত।
ফটোগ্রাফি-১০👇

IMG_20220610_024926.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-১১👇

IMG_20220610_024450.jpg

নদীর এপার থেকে ওপারে পারাপারের জন্য আগে ব্রিজ ছিল না। আমরা নৌকায় করে পারাপার হতাম। নৌকায় করে পারাপার হওয়া মধ্যে আনন্দ হয়েছে, তবে অনেক সময় লাগতো। নৌকাতে যখন মানুষ পুরা হতো তখনই নৌকা অন্য পাড়ে চলে যেত। এখন ব্রজ হওয়ার কারণে আমরা খুব সহজেই নদী পারাপার হতে পারি।ব্রিজ এর নিচে থেকে আমরা মাছ ধরতাম। আসলে ব্রিজের নিচে প্রশান্তি, মুগ্ধ বাতাস উপভোগ করা যায়। তাই এখানে আমরা নৌকা নিয়ে বসে থেকে মাছ ধরতাম।
ফটোগ্রাফি-১২👇

IMG_20220610_024640.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-১৩👇

IMG_20220610_025012.jpg

নদীতে খননের কাজ ভালই এগিয়ে চলেছে। আশা করছি নদী তার আগে প্রাণ ফিরে পাবে। এই নদীতে আবার আগের মত লঞ্চ, স্টিমার চলাচল করবে। নদীর স্রোতের শব্দে আবার মুখরিত হবে আমাদের এই সুন্দর প্রকৃতির পরিবেশ। আমার খুবই ভালো লেগেছে কারণ নদী তার আগের মত প্রাণ ফিরে পাবে জেনে। সত্যি নদীর পাড়ে সেই কাটানো মুহূর্তগুলো আমার খুবই মনে পড়ে গেল, আসলে শৈশবে কাটানোর আমাদের এই ফুলজোর নদীর দৃশ্য গুলো আবার উপভোগ করতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফি-১৪👇

IMG_20220610_024513.jpg

স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

আমার শৈশবে কাটানো ফুলজোর নদীর ফটোগ্রাফি গুলো আশা করছি আপনাদের ভাল লেগেছে। ফুলজোর নদীর দৃশ্য গুলো আমার খুবই ভালো লাগে, বিশেষ করে যখন লঞ্চ, স্টিমার চলাচল করবে এবং মাছ ধরার দৃশ্য গুলো আমার খুবই ভালো লাগে। আমি আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি খননের কাজ শেষ হবে এবং এই নদীতে আগের মতো আবারো স্রোত তৈরি হবে। আবারও আপনাদের সাথে সেই ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হবো,সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল।🙏🌹🙏


New_Benner_ABB.png

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাRedmi Note 6 Pro
ধরণছোটবেলা ফেলে আসা স্মৃতি জড়িত ফুলজোর নদী ভ্রমণ এবং কিছু ফটোগ্রাফি।
ক্যামেরা.মডেলNote 6 Pro
ক্যাপচার@rayhan111
অবস্থানসিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ

banner-abbVD.png

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png-4.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন💗🌹💗🌹💗

Sort:  
 2 years ago 

ইছমতি নদীর কথা অনেক শুনেছি। এই ফুলজোড় নদী তাহলে ইছামতি নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। শৈশব কখনোই ভোলা যায় না। সে যেন তাড়া করে বেড়াই। ঠিকই কিন্তু নিজের বাল‍্যকালের টানে ছুটে গেলেন সেই নদীর তীরে। নদীর সৌন্দর্য তো আমাকে মুগ্ধ করে ফেলেছে। দারুণ পোস্ট ছিল ভাই।।

 2 years ago 

এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 

ভাই ছোটবেলায় আপনি ফুলজোর নদীতে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন এবং সেই সব স্মৃতি আজও মনে গেঁথে রেখেছেন দেখছি। আর তাইতো আজ আপনি ছোটবেলা ফেলে আসা স্মৃতি জড়িত ফুলজোর নদী ভ্রমণ এবং কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। অত্যন্ত চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফির সাথে সাথে এত সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন যা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ফুলজোর নদীকে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য খননের কাজ খুব তোড়জোড় ভাবে চলছে বুঝতে পারলাম আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ভাইয়া আপনার ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত ফুলজোর নদীটি যেন প্রাণ ফিরে পেয়ে খুবই মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি করে এই প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 
 2 years ago 

বর্তমানে অনেক নদীতেই এমন হচ্ছে পানি শুকিয়ে যায় অথবা চর পরে যায়।আমার বাড়ির পাশেও একটি নদী আছে ছোট বেলা দেখতাম টলার চলে এখন নদী ছোট হয়ে যাওয়ার কারণে আর কিছুই চলে না।

 2 years ago 

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 

নদ নদী ভ্রমণ আমার ও অনেক ভালো লাগে। আর আপনার স্মৃতিবিজড়িত কিছু স্মৃতি আজকে এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ও অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আপনার ফেলে আসা দিনগুলো এবং নদী ভ্রমণ এর সাথে কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেগুলো সত্যিই অনেক বেশি ভালো। সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া🌻🌹

 2 years ago 

অনেকদিন হয়ে গেছে এই নদীতে আর বড় বড় লঞ্চ, স্টিমার চলাচল করতে দেখা যায় না।

আসলে নদীতে যদি পানি না থাকে তাহলে কিভাবে লঞ্চ স্টিমার চলবে। ছোটবেলায় ফেলে আসা প্রজারা নদীর কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আমাদের এলাকাতে নদী নাই তাই খুবই মিস করি নদীতে ভ্রমণ করার মুহূর্ত গুলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.031
BTC 60666.02
ETH 2636.73
USDT 1.00
SBD 2.60