বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো সত্যি অসাধারণ। আসলে ছোটবেলা বন্ধুদের সাথে অনেক গল্প রয়েছে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে, আর এই গল্পগুলো যেন স্মৃতির পাতায় এখন রয়ে গেছে। আসলে ছোটবেলা অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতাম বন্ধুদের সাথে। বিশেষ করে বর্ষাকালে নৌকায় করে ভ্রমণের এই মুহূর্তগুলো ছিল অসাধারণ। তো বন্ধুরা আপনাদের সাথে আমার ছোট বেলার বন্ধুদের সাথে নৌকা নিয়ে ভ্রমণের মুহূর্তের একটি গল্প শেয়ার করতেছিলাম। আশা করছি এই গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আজকে সেই গর্বের তৃতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি বর্ষাকালের এই সৌন্দর্যময় গল্পটির তৃতীয় পর্ব পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আমরা তিন বন্ধু মিলে যখন নৌকা নিয়ে নদীর চরে গিয়ে আখ ক্ষেত থেকে আখ নিয়ে আসলাম এবং আখ নিয়ে এসে আমরা আগ গুলো খাওয়ার জন্য নদীর মাঝে একটি ছোট ব্রিজ রয়েছে সেই ব্রিজের দিকে রওনা দিলাম। তখন খুবই ভালো লাগতেছিল। কারণ তিন বন্ধু মিলে ব্রিজ এর নিচে ছোট্ট একটি বটগাছ রয়েছে, এই বট গাছের নিচে বসে থেকে আখ গুলো খাব আর গল্প করবো। তাই আমরা সেই ব্রিজের পাশে আসলাম। ব্রিজের পাশে এসে দেখতে পেলাম ব্রিজ এর পাশে কেউ নেই আমরা শুধু তিন বন্ধু, তাই আমরা সেই বট গাছের নিচে নৌকাটি বেঁধে আমরা আখ খাওয়া শুরু করে দিলাম। আর গল্প করতে লাগলাম, আসলে আখ গুলো অনেক মিষ্টি ছিল।

আমরা তিন বন্ধু মিলে অনেক আনন্দের সাথে গল্প করছিলাম। আর আখ খাচ্ছিলাম। সত্যি সেই মুহূর্তটা খুবই ভালো লাগতেছিল। আসলে বর্ষার পানিতে চারদিকে যেন থৈথৈ করছে, এই ব্রিজের নিচে বসে খুবই ভালো লাগলো এবং দেখতে পেলাম ব্রিজের পাশে গিয়ে কে যেন মাছ ধরার জন্য বড়শি পেতে রেখেছে। আর এই বড়শি গুলো ছিল বোয়াল মাছের। সত্যি একটি বড়শিতে দেখতে পেলাম অনেক লাফালাফি করছে। প্রথমে আমি দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে সুজন বলল এটাতে মনে হয় মাছ ধরেছে। তাই আমরা বড়শিটি তুলতে চায়লাম। সুজন বলল যে আমি সিওর এইটাতে অনেক বড় কোন মাছ ধরেছে। তাই হয়তো এত লাফালাফি করছে। তাই আমরা এই বিড়শিটি তোলার জন্য অনেক আগ্রহ প্রকাশ করলাম এবং আমি প্রথমে ভয় পাচ্ছিলাম। যে অন্যের বড়শি যদি কেউ কিছু বলে, তারপরে সুজন বলল যে এখন কেউ নেই আমরা আগে তুলে দেখি এটি মাছ না অন্য কিছু। তাই সুজন আর আমি এগিয়ে গেলাম। বড়শিটি তোলার জন্য এবং দেখতে পেলাম অনেক বড় একটি বোয়াল মাছ ধরে রয়েছে।

বঁড়শি তুলে দেখতে পেলাম অনেক বড় একটি বোয়াল মাছ ধরে আছে। আমার খুবই ভালো লাগলো এবং আমি চিৎকার দিয়ে উঠলাম সুজন বলল যে চিৎকার দিস না। এখানে চুপচাপ থাক এই বড়শিসহ বোয়াল মাছ আমরা নিয়ে যাব। আমি বললাম সে যদি বুঝতে পারে যে আমরা নিয়েছি, তাহলে বাড়িতে বিচার দেবে। আর বাড়িতে বিচার দিলেই এমনি তো আমরা সকালবেলা বের হয়েছি আমাদের কিন্তু আর আস্ত রাখবে না। তখন সুজন বলল যে এই সব কিছু দায়িত্ব আমার আমি ম্যানেজ করবো। আসলে আমাদের মধ্যে সুজন বড় ছিল। যার কারণে ওর ওপর ভরসা করতাম। আর এই বোয়াল মাছটি সুজন বঁড়শিসহ তুলে এনে আমাদের নৌকার নিচে রেখে দিল, আসলে নৌকার নিচে রেখে দেওয়ার কারণে অনেক লাফালাফি করতেছিল। কারণ মাছটি অনেক বড় ছিল। আর আমাদের অনেক ভালো লাগতেছিল। তারপরে সুজন বলল এখানে আরো বড়শি রয়েছে, দেখি ওগুলো তো বোয়াল মাছ আছে কিনা, তাই সুজন ব্রিজ এর নিচে চলে গেল। আর বড়শি দেখতে।