বন্ধুদের সাথে প্রথম পিকনিকে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-৩

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


ছোটবেলা বন্ধুদের সাথে অনেক স্মৃতিময় ঘটনা আছে আমাদের জীবনের। সেই গল্পগুলো মনে করতে পেরে এখন খুবই ভালো লাগে। তবে স্কুল জীবনে বন্ধুদের সাথে এবং স্যারদের সাথে প্রথম পিকনিকে যাওয়ার অনুভূতি ছিল অসাধারণ। কারণ প্রথম প্রথম স্কুল থেকে পিকনিকে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তগুলো যেন এখনো মনের ভিতরে কল্পনার জেগে ওঠে, আর সেই মুহূর্তগুলো আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। তাই স্কুল জীবনে প্রথম প্রথম পিকনিকে যাওয়ার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম আমার গল্পের আকারে।তো বন্ধুরা আজকে আমি সেই গল্পের তৃতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি তৃতীয় পর্ব পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। আজকের গল্পের মাধ্যমে স্কুল জীবনে প্রথম পিকনিকে যাওয়ার অনুভূতিগুলো আপনারা জানতে পারবেন। তো বন্ধুরা চলুন আজকে তৃতীয় পর্ব পড়া শুরু করা যাক।


people-2608145_1280 (1).jpg

source

আমরা যখন পার্কের ভিতরে সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো উপভোগ করতেছিলাম, তখন খুবই ভালো লাগতেছিল। আর এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করে আমরা খাওয়া-দাওয়ার জন্য একটি হলরুমে আসলাম। সেই হল রুমে স্যারদের সাথে এবং সকল বন্ধুরা মিলে একসাথে খাবার খেলাম। খাবার পরে খুবই ভালো লাগলো, কারণ খাবার খাওয়া শেষে আমাদের সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ছিল, আর এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আগে আমাদের খেলাধুলা হবে। বিশেষ করে প্রথমে মেয়েদের বালিশ খেলার আয়োজন করা হলো। এই বালিশ খেলাতে মেয়েদের সাথে সাথে আমাদের স্কুলের ম্যাডামকে ছিল। আসলে ম্যাডাম ফাস্ট হয়েছিল আর এই ম্যাডাম আমাদের খুবই ভালোবাসতো। তারপরে আস্তে আস্তে ছেলেদের অনেক ধরনের খেলার আয়োজন করা হলো। আমি একটি খেলায় ফাস্ট হয়ে ছিলাম। কারণ আমি দৌড় খেলাতে ফাস্ট হয়েছি। আর খেলাতে পুরস্কার পাবো তাই পুরস্কারের জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম।


সব ধরনের খেলাধুলা আয়োজন করা হলো।সবাই এই খেলাতে অংশগ্রহণ করেছিল। স্যাররা অংশগ্রহণ করেছিল। আর এই খেলাধুলার পুরস্কার গুলো দেওয়া হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরে, তারপরে আমরা সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করলাম এবং সেখানে অনেকেই গান কবিতা বলতে লাগলো। বিশেষ করে একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। যে ভালো গান এবং কবিতা বলতে পারবে তাকেও পুরস্কার করা হবে। তাই সবাই তার যার যার মতো কবিতা এবং গান বলতে লাগলো। আসলে সেই মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লাগলো। আমাদের রহিম স্যার একটি গান বলল, আর রহিম স্যারের গান শুনে সবাই যেন মুগ্ধ হয়ে গেল। আর স্যারদের সাথে সেই মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করতেছিলাম।


people-5365324_1280 (1).jpg

source

তারপরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্যাররাও গান বলতে লাগলো। আসলে এত আনন্দ এবং মজা হয় পিকনিকে সেটা ভাবতেই পারেনি। আসলে স্যাররা যে আমাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করে সেটা একমাত্র পিকনিকে আসলেই বোঝা যায়। আর এই পিকনিকে যদি না আসতাম তাহলে স্যারদের সাথে এভাবে মিশতে পারতাম না। তারপর শেষের দিকে স্যারদের একটি খেলার আয়োজন করা হলো। এই খেলাটির নাম মোরগ যুদ্ধ। এক পা তুলে গোল বৃত্তের মধ্যে খেলতে হয়। এই খেলাটি নিয়ে অনেক হাসাহাসি করতে লাগলাম। আসলে স্যাররা মাঝে মধ্যে পড়ে যাচ্ছিল। সত্যি সেই মুহূর্তটা এত ভালো লাগছিল আমার যা বলার মত নাহ।


এভাবেই সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মুহূর্ত ও খেলাধুলার মুহূর্তগুলো আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। আর সেই দিনগুলোর কথা ভাবতেই যেন এখন খুবই ভালো লাগছে। স্যারেরা যেন আমাদের সাথে একদম বন্ধুর মত মিশিয়েছিল, সেই বনভোজনের মুহূর্তের দিনটাতে।তো বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই আগামী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব, লটারির মুহূর্ত এবং সকল বনভোজনের খেলাধুলার পুরস্কারের সেই মুহূর্তের অংশটুকু।আশা করছি আপনারা সবাই আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করবেন।আজকে এই পর্যন্তই, ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই দোয়া রইল। 🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 9 months ago 

জি ভাই স্কুল জীবনে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত এবং স্যারদের সাথে অনেকে যারা ভ্রমণ করা এগুলো সত্যিই মনে হলে অনেক ভালো লাগে কিন্তু আবার খারাপ লাগে আস্তে আস্তে আমার শৈশব টা কত সুন্দর ভাবে চলে গেল। মেয়েদের বালিশ খেলা আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের বান্ধবীরা খেলতো। বেশ অনেক মজাদার একটি খেলা। এবং আপনারা সবাই মিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। সত্যিই অনেক ভালো লাগলো এবং তারপর বনভোজনের মুহূর্ত তো অনেক ভালো কাটে। ভালো ছিল ভাইয়া

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 63526.15
ETH 3387.82
USDT 1.00
SBD 2.56