বন্ধুদের সাথে নদীর বালু চরে পিকনিক খাওয়ার স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-৩ // শেষ পর্ব🫣[১০% @shy-fox ]

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বন্ধুদের সাথে নিয়ে যমুনা নদীর বালুচরে গিয়ে পিকনিক করার মজাটাই অন্যরকম ছিল। এই পিকনিক করার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে করছি।তো গত পর্বে শেয়ার করেছি কুকুরটি কিভাবে এই বালুচরে আসলো এবং আমরা রান্নার কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। ইয়াসিন সকল কিছু নিয়ে যখন রান্না শুরু করল তখন আমাদের অনেক আনন্দ হচ্ছিল। এমনিতেই সাজুর বড় ভাই আমাদের পাশে ছিল, তারা এখানে বাদাম চাষ করতে এসেছিল, যার কারণে আমাদের মনের ভিতর অনেক সাহস ছিল। আমাদের বড় ভাইরা আমাদের পাশেই রয়েছে, আর কোন ভয় নেই। তো আমার বন্ধু ইয়াসিন যখন রান্নার শুরু করে দিল, তখন আমরা ইয়াসিনকে সকল ধরনের সাহায্য করতে লাগলাম। ইয়াসিন খুবই ভালো খিঁচুড়ি রান্না করতে পারে। তাই মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না শুরু করে দিলো। আর আমাদের অনেক আনন্দ হচ্ছিল এভাবে বালুচরে পিকনিক করার মজাটাই অন্যরকম ছিল, তো বন্ধুরা চলুন গল্পটি পড়া শুরু করা যাক,,,।


চার বন্ধু একসাথে হয়ে বালুচরে পিকনিক করার মজাটা অনেক আনন্দের ছিল, বন্ধু ইয়াসিন যখন রান্না শুরু করে দিল তখন আমরা বন্ধু ইয়াসিনকে অনেক ধরনের সাহায্য করতে লাগলাম। আসলে একসাথে চার বন্ধু মিলে খিচুড়ি রান্না করতেছিলাম। সাজু মুরগিগুলোকে সুন্দর করে পিস পিস করে কেটে রাখল এবং ইয়াসিন খিচুড়ি রান্নার উপকরণ নিয়ে খিচুড়ি রান্না শুরু করে দিল। আর এই রান্নার মুহূর্তটা অনেক আনন্দ হচ্ছিল। যখন বালুচরে আগুন ধরানো নিয়েছিল,তখন বাতাসের কারণে আগুন সহজে ধরতে ছিলো না। যার কারণে ধৌয়া হচ্ছিলো।তাই চোখ দিয়ে পানি আসতে লাগল।শেষমেশ আমরা তাবু দিয়ে চারদিকে বাতাস আটকে রাখলাম যার কারণে আগুন জ্বালাতে আর সমস্যা হলো না। তো খুবই সুন্দর ভাবে খিচুড়ি রান্না করল এবং এই খিচুড়ি মাঝে মধ্যে টেস্ট করাতে লাগল হাসানকে দিয়ে কিন্তু হাসান খিচুড়ি টেস্ট ভালোভাবে বুঝতে পারল না। সেটা নিয়ে অনেক হাসাহাসি হলো। আবার ইয়াছিন টেস্ট করে দেখলো।তখন আমি টেস্ট করলাম মুরগির মাংস বললাম ভালই হয়েছে তো রান্না। খিচুড়ি রান্না শেষের দিকে তখন আমাদের খুবই ভালো লাগতেছিল।ইয়াছিন বললো এখনি রান্না শেষ হয়ে যাবে।তখন আমরা সবাই নদীর পানিতে হাত মুখ ধুয়ে আসবো সত্যিই নদীর পানিতে হাত মুখ ধুয়ে আমরা খিচুড়ি খাওয়ার জন্য তাবুর মধ্যে আসলাম।


young-people-g8f8e38bde_1920.jpg

source

তো আমরা যখন তাঁবুর মধ্যে খিচুড়ি খাওয়ার জন্য আসলাম।তখন ইয়াসিন বলল যে সাজু তর বড় ভাইদের বললি না। তারা একসাথে আমাদের সাথে খাবে না। তখন আমি বললাম হ্যাঁ বড় ভাইদের বলা উচিত ছিল। তখন আমি আর সাজু বড় ভাইদের কাছে আসলাম। বললাম ভাইয়ারা চলেন আমরা এক সাথে খিচুড়ি খাবো। আমাদের রান্না হয়ে গেছে। তখন সাজুর বড় ভাই বললো সমস্যা নাই।তোমরা চার বন্ধু মজা করে খাও। আমরা একটু কাজ করে এসে খাবো। তোমরা খাও আমাদের সামনে মজা করে খেতে পারবে না। তখন সাজু বললো ঠিক আছে ভাইয়া তাহলে আমরা খাইতে গেলাম। তখন এসে ইয়াসিনকে বললাম যে ভাইয়া পরে খাবে। আগে আমাদের খেতে বললো।


people-g60804feeb_1920.jpg

source

তো আমরা চার বন্ধু একসাথে খিচুড়ি খাওয়ার জন্য বসলাম। ইয়াসিন খিচুড়ি আমাদের প্লেটে দিলো এবং আমরা খিচুড়ি নিয়ে বসলাম এবং মাঝখানে আমাদের মুরগির মাংসের রেসিপি রাখা হলো হাসান বলল যে মুরগির মাংস পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আমরা চার বন্ধু মিলে খেয়ে শেষ করতে পারবো না। আর বড় ভাইদের জন্য খিচুড়ি ও মুরগির মাংস রাখা হয়েছে। যার যত লাগে নিয়ে খাও। তখন আমরা খেতে বসলাম এমন সময় দেখি সাজুর পাশে সাজুর সেই কুকুর এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তখন আমি বললাম সাজু তোর কুকুরকে কিছু খেতে দেহ।তখন ইয়াসিন কিছু খিচুড়ি তাঁবুর বাইরে কুকুরের জন্য দিয়ে আসল এবং কুকুর সেই খিচুড়ি খেতে লাগল এবং আমরা চার বন্ধু মিলে অনেক মজা করে খিচুড়ি খাচ্ছিলাম। সত্যি সেই মুহূর্তে অনেক আনন্দের ছিল। অনেক হাসাহাসি এবং আনন্দের সাথে খিচুড়ি খাচ্ছিলাম। খুবই ভালো লাগতেছিল। আসলে খিচুড়ি অনেক ভালো হয়েছে এবং মুরগির মাংসও সুস্বাদু হয়েছিল। যার কারণে আমরা মজা করে অনেক খেয়েছিলাম।


তো আমরা খিচুড়ি খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম শেষ করে কিছুক্ষণ আমরা বালুচরে নদীর পাড়ে এসে বসে থাকলাম। তখন অন্য ইয়াসিন বলল যে আমাদের নৌকাতে দুটি ফুটবল হয়েছে। নদীতে গোসল করার জন্য আনা হয়েছে। তখন বললাম যে নদীতে গোসল করার আগে আমরা অল্প সময় বালুচর এর মধ্যে ফুটবল খেলি। তো বন্ধুরা বললো ঠিক আছে। আমরা তখন বালুর মধ্যে ফুটবল খেলতে লাগলাম। বালুর মধ্যে ফুটবল খেলতে অনেক কষ্ট হয়েছিল।তাই বেশি সময় ফুটবল খেললাম না।বালুর মধ্যে অল্প সময় ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম ঘেমে গেলাম।তার পর আর না খেতে নদীর পাড়ে এসে বসে থাকলাম,একটু পরে হাসান বললো চল নদীতে গোসল করি।তো আমরা আবার নদীর পাড়ে গোসল করতে নামলাম। সেই মুহূর্তটা ছিল আসলে অনেক আনন্দের ছিলে।বন্ধুদের সাথে এই দিনটি খুবই আনন্দময় ছিলো।


children-gc6719ac50_1920.jpg

source

সত্যি বন্ধুদের সাথে বালু চরে পিকনিক করার মুহূর্ত এবং আনন্দময় মুহূর্ত গুলো খুবই ভালো ভাবে উপভোগ করেছি। আর এই দিনটি কখনোই ভুলবো না। সারা দিন বালুচরে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করলাম এবং সন্ধ্যার সময় বড় ভাইদের সাথেই আমরা নদী পার হয়ে বাড়ির দিকে আসলাম।সত্যিই এই দিনগুলো খুব মিস করছি। বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তের সেই দিনটা অনেক আনন্দের ছিল। তো বন্ধুরা আশা করছি আমার সেই স্মৃতিময় বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তের গল্পটি আপনাদের ভাল লেগেছে।🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 2 years ago 

ভাই পিকনিকের কথা বাদ দেন এই দুপুরবেলায় খিচুড়ি আর মুরগির মাংসের কথা শুনে আমার তো লোভ লেগে গেল। আসলে বন্ধুদের মাঝে কেউ কেউ থাকে যে খুব ভালো রান্না করতে পারে যেমন আপনার বন্ধু ইয়াসিন মজার রান্না করেছিল আর আপনারা তাকে সাহায্য করেছেন। আপনার বন্ধু ইয়াসিনকে পাঠিয়ে দেন আমাদের একটু রান্না বান্না করে আপ্যায়ন করুক।

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ভাইরে ভাই এখন তো আমার মন চাইতেছে পিকনিক খাইতে।খুবই ভাল লাগল আপনার ব্লগটি পড়ে।বন্ধুদের সাথে দারুন সময় কাটিয়েছেন।ছবি গুলো থাকলে আরো ভাল হত।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 

বন্ধুদের সাথে পিকনিক খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আমিও মাঝে মাঝে আমার বন্ধুদের নিয়ে এরকম পিকনিকের আয়োজন করি। তবে বন্ধুদের নিয়ে কখনো বালুর চরে গিয়ে পিকনিক খাওয়া হয়নি। তাই আপনার গল্প পড়ছি আর ভাবছি, আপনারা কতই না মজা করে পিকনিক খেয়েছেন। শীতে এসে গেল এখন প্রায় সময়ই পিকনিকের আয়োজন চলবে। আর আমি সব সময় এই পিকনিকের মূল আয়োজক হিসেবে কাজ করে থাকি। আপনার বন্ধুদের নিয়ে নদীর বালুচরে পিকনিক খাবার স্মৃতিময় গল্পটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 

আপনার সে বালুচরে পিকনিকের স্মৃতিময় গল্পটি বেশ ভালো লাগলো। আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে পিকনিক করতে মজাই আলাদা। আর সবচাইতে বড় বিষয় হচ্ছে ওই পরিবেশে গিয়ে আপনারা মুরগি দিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে খেয়েছেন, এটা আসলে বেশ মজা লাগলো।আমি মনে মনে উপলব্ধি করতেছি যদি আমি সেখানে আপনাদের সাথে থাকতাম, তাহলে মজা করে খেতে পারতাম। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া

 2 years ago 

বন্ধুদের সাথে এভাবে করে পিকনিক খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে আসলে আমি এভাবে তেমন কোনো অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পারেনি। কারণ বালুচরের ওইদিকে কখনো আমার যাওয়া হয়নি এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে কখনো এভাবে পিকনিক খাওয়া হয়নি। তবে বাসার মধ্যে প্রায়ই আমরা পিকনিক করি, সেটা আলাদা বিষয়। যাই হোক আপনাদের ইঞ্জয়মেন্ট দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। আশা করছি এরকম আরো নতুন নতুন পোস্ট উপহার দিবেন, ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

বন্ধুরা মিলে এইভাবে পিকনিক করার মজাই আলাদা। বিশেষ করে নিজেরা একসাথে হাতে হাতে সাহায্য করে রান্না করলে পিকনিকের মজাই আলাদা। আসলে বন্ধুদের মধ্যে কেউ না কেউ এরকম থাকে যে কিনা রান্না করতে পারে। যেরকম ভাবে আপনার বন্ধু ইয়াসিন রান্না করেছিল আপনারা তাকে হাতে হাতে সাহায্য করেছেন। এরকমভাবে একটা পিকনিক করার চিন্তা করছিলাম আমরা আজকে কয়েকদিন। সত্যি আপনার লেখাগুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মতামত পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

আসলে আপনারা যদি আগে রান্না করে তারপর কিছুক্ষণ ফুটবল খেলে স্নান করে উঠে খেতে বসতেন তাতে খাওয়ার পর খেলতে গিয়ে যে কষ্টটা হয়েছে, সেটা হত না।তবে রান্না টা হয় তো হাল্কা ঠান্ডা হয়ে যেতো এটা খুব ভালো লাগলো যে কুকুর টাকেও খিচুড়ি খেতে দিয়েছেন। আর মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি খেতে নাকি দারুণ লাগে শুনেছি। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বন্ধুদের সাথে। 🙂😌

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মতামত পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 63875.92
ETH 2747.99
USDT 1.00
SBD 2.65