ভালোবাসা তখনই সুন্দর হয়, যখন দুটি মনের মিল হয়। আর যখন এই ভালোবাসার মানুষকে নিয়েই জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকার ভরসা পাওয়া যায়। আর এই ভালোবাসার সত্যিই অনেক সুন্দর হয়ে যায়, যখন প্রিয় মানুষটির সাথে জীবনের পথ চলা শুরু হয়। সেই মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের এবং অনেক হাসির হয়ে থাকে।তবে কিছু কিছু ভালোবাসা পরিবারের কারনে হারিয়ে যায়। হাজারো চেষ্টায় হাজারো ইচ্ছা থাকলেও প্রিয় মানুষের সাথে জীবনের শেষ পর্যন্ত চলার হয়ে ওঠে না। আসলে পরিবার কখনোই কিছু ভালোবাসা মেনে নিতে চায় না। ঠিক তেমনি হয়েছে, রতন ও সোনিয়ার ভালোবাসা। আর রতনের ভালোবাসার মধ্যে বাধা হয়েছিল সোনিয়ার বাবা। সেই গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আসলে ভালোবাসা শেষ পরিণতি কি হয় সেই গল্পটি জানার জন্য আপনারা সবাই আজকের পর্বটি পড়তে থাকুন।
অনেক কষ্ট করে রতন যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে থাকে, আর সোনিয়া পাবনা মেডিকেলে পড়তে থাকে। তখন তাদের মধ্যে আবারো ভালোবাসা অনেক সুন্দর ভাবে চলতে থাকে। কিন্তু সোনিয়ার বাবা সিরাজগঞ্জ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক ডাক্তারের সাথে তার বিবাহ ঠিক করে রাখে, কিন্তু সোনিয়া এই বিবাহে রাজি হয় না। যার কারণে সোনিয়ার বাবা জানতে পারে যে সোনিয়া এখনো রতনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। তাই সোনিয়ার বাবা ঠিক করল রতনের বাবাকে অনেক অপমান করবে, যার কারণে রতনের বাবা শাহজাহান মাস্টারকে সোনিয়ার বাবার লোকজন এবং সোনিয়ার বাবা নিজে এসে অনেক অপমান করে। আর এত অপমানের কারণে সহজ সরল শাহজাহান মাস্টার যেন অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে হাসপাতালে ভর্তি থাকে। এ সকল কিছু রতন জানতে পারে এই বিষয়গুলো জেনে সোনিয়ার সাথে দেখা করার জন্য পাবনা চলে যায় এবং সোনিয়ার সাথে সকল ধরনের আলোচনা করে।
রতনের মুখে সোনিয়া সকল কথা শুনে সোনিয়া বলল যে আমার বাবা কোনদিনও আমাদের মেনে নেবে না। যা করার আমাদেরই করতে হবে। আমি তোমাকে পাবো না আমাকে অন্য জায়গায় জোর করে হলেও বিয়ে দিবে। তখন রতন বলল তাহলে কি করা যায়, সোনিয়া বলল যে আমরা বিয়ে করে নেব। এবং আইনের মাধ্যমে বিয়ে করব, বিয়ের পর বাবা কিছু বললে আমরা আইনের আশ্রয় নেব। কিন্তু রতন অনেক ভয় পেয়ে যায়, যে বিয়ে করবো ঠিক আছে যদি আমার বাবা বড় ধরনের কোন কিছু হয়ে যায়, সোনিয়ার বাবা তো ভালো মানুষ না। সে যদি তার বাবার ক্ষতি করে, এটা নিয়ে রতন অনেক ভাবতে ছিল। তবে সোনিয়া বলল দেখো তুমি চিন্তা করো।যদি আজকে সাহস করে আমাকে বিয়ে করো, তাহলে তুমি সারা জীবনের জন্য আমার হবে, আর যদি মনের ভিতরে ভয় থাকে তাহলে তুমি আর আমাকে পাবে না। এখন তোমার ইচ্ছা। তোমার ইচ্ছাতেই সকল কিছু হবে, তুমি দেখো আমাকে তোমার বউ করে নিবে, নাকি অন্যের বউ হওয়ার জন্য আমি তৈরি হবো।
আসলে রতন সোনিয়াকে অনেক বেশি ভালবাসে, যার কারণে রতন বাবা কেউ আর সোনিয়া ছাড়তে পারছে না। তখন সোনিয়া বলল যে তোমার বাবার কিছু হবে না আমি ব্যবস্থা নেব। আমরা বিয়ে করে নেই তারপরে আমরা সকল ঘটনা পুলিশকে জানাবো, যে আমার বাবা আমাদের ভালোবাসা মেনে নেবে না যার কারণে এই বিষয়গুলো করছে। তখন রতন সাহস পায় এবং সোনিয়ার হাত ধরে বলে ঠিক আছে আমি বিয়ে করতে রাজি। যার কারণে তারা সকালবেলা বিয়ে করার জন্য কাজী অফিসে যায় এবং কাজী অফিসে গিয়ে তারা বিয়ে করে, আর তাদের বিয়ের সাক্ষী তারা সোনিয়ার ও রতনের বান্ধু বান্ধবী।রতন আর সোনিয়া ভয়ে ভয়ে বিয়ে করলেও তাদের বন্ধুদের মনে অনেক সাহস ছিল। তারা অনেক সাহস দিয়েছে যে কিছুই হবে না। সকল কিছু আমরা দেখব কিন্তু তার বন্ধু বান্ধব তো জানতো না সোনিয়ার বাবা কত বড় খারাপ মানুষ এবং কত ক্ষমতাবান মানুষ।
তারপরে সোনিয়ার আর রতন এর বিয়ে হয়ে যায় এবং তারা একমাস এভাবে গোপন রাখে। তারপরে তাদের বিয়ের কাবিন এর কাগজ উঠানো হয়ে যায়। এর মধ্যে রতনের বাবা শাহজাহান মাস্টার সুস্থ হয়ে ওঠে এবং সে হসপিটাল থেকে বাড়িতে আসে। রত্ন মাঝেমধ্যে সোনিয়ার সাথে দেখা করে, কিন্তু সোনিয়ার বাবা যে লোক লাগিয়ে রেখেছে সোনিয়া কি করে না করে সেই গোয়েন্দার সানুষটি মোটামুটি বিষয়গুলো জানতে পারে।গোয়েন্দার ওই মানুষটি বিষয়টি জানতে পেরে রতনকে ধরে এবং রতনকে বলে তোরা এই কাজ করেছিস। এটা যদি সোনিয়ার বাবাকে বলে দেই তাহলে তোকে আর সানিয়াকে শেষ করে দিবে, সাথে তোর বাবাকেও। তখন রতন বলেছে ভাই আপনার হাতে পায়ে ধরি আপনি বলেন না। আমি আপনার ভাইয়ের মত, আমাকে বাঁচান। এই কথা বলার পরেও গোয়েন্দা লোকটি ছিল খারাপ। সে রতনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চায়, এত টাকা রতন কিভাবে দিবে তারপরেও রতন সোনিয়াকে জানায় বলে যে এই অবস্থা। তখন সোনিয়া ১০ হাজার টাকা আর রতনের কাছে জমানো দশ হাজার টাকা মোট বিশ হাজার টাকা দেয় এবং তাদের মনে সাহস থাকে যে এত টাকা নিয়েছে তাই আর বলবে না। কথাগুলো গোপন রাখবে।
এক মাস পরে রতনের কাছে সেই গোয়েন্দা লোকটি আবারও টাকা চায়। আর এই টাকা চাওয়াতে রতনের অনেক মন খারাপ হয়। যে এই লোক তো ভালো না, এতো টাকা খাওয়ার ধান্দা নিয়ে ঘুরছে। বিষয়টি সোনিয়াকে জানাই সোনিয়াও বলল যে ওকে একটা শায়েস্তা করতে হবে। যার কারণে রতন ওর বন্ধুদের বলে। আর রতনের তার বন্ধুদের নিয়ে ওকে টাকা দেওয়ার কথা বলে একটা জায়গায় নিয়ে যায়। ওই জায়গায় নিয়ে রতনের বন্ধুরা ওই গোয়েন্দা লোকটিকে আচ্ছা মতো মারধর করে এবং মেরে ওর হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল। কিছুদিন ও হসপিটালে ভর্তি ছিল, আর ওই লোকটি তো আসলেই খারাপ হসপিটালে ভর্তি থাকার পরে রতনের বন্ধুরা বলেছে, যদি তুই বলিস তাহলে তোকে একদম মেরে ফেলবো। আর ওই গোয়েন্দা লোকটি সুস্থ হওয়ার পরেই সোনিয়ার বাবার কাছে যায়।
https://x.com/rayhan111s/status/1800517788467155188?t=liuOGErsQwonLZQcObdaBQ&s=19
ভালোবাসার শেষ পরিণতি প্রথম পর্ব আমি পড়েছি। এ পড়বি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। আসলে ভালোবাসা হৃদয়ের বন্ধন। বন্ধন কখনোই চলে যায় না। তাই সোনিয়া অনেক বেশি ভালোবেসেছে। আর এই ভালোবাসা নিয়েই যেন ধরে রাখতে চেয়েছিলো রতন ভাইকে। তাই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এবং পরবর্তী জানতে পারে। জানার পরে সে কি করবে সেই পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।