ছোটবেলায় অনেক ভূতের গল্প শুনেছি, আর এই ভূতের গল্প শুনতে শুনতে মনের ভিতরে যেন সবসময় ভয় থাকত। রাতের বেলা কখনো একা বের হলেই মনে হতো যে পিছন থেকে এসে হয়তো বা ভূত আমাকে ধরে ফেলবে, কিংবা একা একা যখন হেঁটে যেতাম তখন মনে হতো আমার পিছনে কেউ রয়েছে এবং সে যেন আমার সাথে সাথে চলাফেরা করছে। এরকম যেন ভয় মনের ভিতর অনেক বার মনে হয়েছে।আমার মনে হয় এই ভয় গুলো ছোটবেলা আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই ঘটেছে। তো আজকে আমি আপনাদের মাঝে ছোটবেলা মাছ ধরতে গিয়ে ভূত দেখার একটি অনুভূতিমূলক গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করছি আমার এই গল্পটি পড়ে ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন গল্পটি পড়া শুরু করা যাক।
আমাদের গ্রামের পাশেই নদী রয়েছে, আর এই নদীতেই প্রায় প্রত্যেকেই মাছ ধরার মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছে। কারণ গ্রামের পাশ দিয়ে যদি নদী বয়ে যায় তাহলে গ্রামের মানুষেরা শখের বশেই অনেকেই মাছ ধরে। আর এই মাছ ধরার মুহূর্তগুলো আমার খুবই ভালো লাগতো। তাই আমি কখনো বাবার সাথে কখনো বড় ভাইয়ের সাথে কিংবা চাচার সাথে মাছ ধরতে যেতাম। আর মাছ ধরার মুহূর্তগুলো অনেক বেশি আনন্দদায়ক ছিল। তো ছোটবেলা, আমি যখন ক্লাস সিক্স সেভেনে পড়ি। তখন আমি আমার চাচার সাথে সন্ধ্যাবেলা মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। আসলে নদীতে চাচা জাল গুলো পেতে রেখে আসে। আর এই জালগুলো পরে গিয়ে তুলতে হতো তখন মাছ পাওয়া যায়। এই জালগুলোকে বলা হয় কারেন্ট জাল। আর কারেন্ট জালে মাছ ধরে যখন রাখা হয় তখন খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে জালে যখন মাছ আটকে থাকে, এই দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ পানি থেকে জালগুলো তুললেই মাছ ধরে আছে সেই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
তাই আমি চাচার সাথে মাছ ধরতে যেতাম, আসলে চাচার একটা ছোট নৌকা ছিল। এই নৌকায় করে চাচা মাছ ধরতো এবং জাল নদীতে পেতে রাখতো। আর জালগুলো তুলতেই মাছ পাওয়া যেত। তো আমিও একদিন বিকেল বেলা চাচার সাথে নদীতে গিয়েছিলাম মাছ ধরার জন্য, আসলে চাচা এই জালগুলো বিকেলবেলায় পেতে রাখে এবং এক দুই ঘন্টা পরে জালগুলো তুলতো,তো চাচার সাথে নৌকায় করে আমি জাল তোলার জন্য নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম। তখন চাচা আস্তে আস্তে জালগুলো উপরে ওঠা ছিল এবং অনেক বড় বড় মাছ জালে ধরা পড়েছে, বিশেষ করে বড় ছোট মিলিও মাছ ধরা থাকে। কারণ নদীর মাছগুলো জালে যখন ধরা পড়ে তখন এই মাছগুলো নড়াচড়া করতে থাকে, কিন্তু ছুটতে পারে না। তখন হাত দিয়ে মাছগুলো ছুটিয়ে রাখতে হয়। এই হাত দিয়ে মাছগুলো ছুটিয়ে রাখার মুহূর্তগুলো সত্যি অসাধারণ। অনেক বেশি আনন্দময় হয়। মাছ জালে আটকে থাকে এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমার খুবি ভালো লাগতো।
চাচার সাথে সেই দিন মাছ ধরতে পেরে অনেক বেশি ভালো লাগতেছিল এবং মাঝখানে অনেক মাছ আটকে গিয়েছিল। যার কারণে এই মাছগুলো ছাড়াতে আমার খুবই ভালো লাগতেছিল। তারপরে মাছ ধরতে ধরতে যেন সন্ধ্যার আজান দিলম তখন চাচাকে বললাম চাচার কখন বাড়ি যাবেন।চাচা বলে যে আর একটা জাল রয়েছে মএই জালটি উঠেই আমরা চলে যাব, তো ওই জালটি উঠাতে গিয়ে আমাদের একটু নদীর মাঝখানে যেতে হল। আর নৌকা নিয়ে মাঝখানে যেতে যেন একটু আমার ভয় লাগতেছিল। কারণ সন্ধ্যা নেমে এসেছে আর সন্ধ্যার সময় চারদিকে যেন একদম নিরব ছিল। আমরাই শুধু সেখানে ছিলাম। আর কাউকে মাছ ধরতে তখন দেখতে ছিলাম না। তাই আমার অনেক ভয় করতেছিল চাচা বলল কোন ভয় নেই। আমি আরো অনেক রাতে একাই মাছ ধরি।
https://x.com/rayhan111s/status/1816720691796054311?t=c4nigy_23BtYsVs4hWla_g&s=19
ছোটবেলায় আমিও আসলে অনেক মাছ ধরতে গেছি, তবে এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন কখনো হইনি। রাতের বেলা নদীর উপর দিয়ে কেউ আলো নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে এবং মাছ ধরে ধরে খাচ্ছে, এটা যথেষ্ট ভয়ঙ্কর। আপনার চাচা মনে হয় ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল কিছুটা হলেও এজন্য আপনাকে নিরাপদে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল। এখন দেখা যাক, পরবর্তী পর্বে কি হয়। গল্পের শেষের দিকটা কিন্তু বেশ ভয়ংকর ছিল।