বন্ধুদের সাথে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ হয়ে থাকে। তাই স্কুল জীবনে বন্ধুদের সাথে অনেক জায়গায় ভ্রমন করেছি, আর সেই দিনগুলোর কথা খুবই মনে পড়ে। আসলে যখন আমরা কয়েক বন্ধু এক জায়গায় হই, তখন অনেক আনন্দ হাসির সাথে সেই সময়টা পার করি। তেমনি আমাদের বন্ধুদের নিয়ে আমরা চলনবিলে গিয়েছিলাম। সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এই চলনবিলের অপরূপ সুন্দর দৃশ্য ফুটে উঠে, সকলেই সে দৃশ্যটি দেখে যেন মুগ্ধ হয়ে যায়। তাই বন্ধুদের সাথে স্মৃতির পাতা থেকে এই গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পটির শেষের পর্ব নিয়ে এসেছি, আশা করছি এই গল্পটি শেষের পর্ব পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

তো আমরা বন্ধুরা যখন একটি ছোট নৌকা ভাড়া করে চলনবিলের মধ্য দিয়ে ভ্রমন করতে ছিলাম। সেই মুহূর্তটা সত্যিই অসাধারণ ছিল, কারণ বর্ষাকালে চলনবিল যেন পানিতে তার যৌবন ফিরে পেয়েছে। আর এই সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো দেখার জন্য আমরা নৌকা করে ভ্রমণ করছি। আমাদের মত হাজার হাজার মানুষও যেন এই চলনবিলের দৃশ্য দেখতে এসেছে। আসলে চলনবিলের সৌন্দর্য এত ভালো লাগে যা বলার মতো না। আর এখানে অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এই বিলের সৌন্দর্য দেখার জন্য। আসে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে যেন ভ্রমণের সেই মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল।

আমরা নৌকা করে ভ্রমণ করতেছিলাম,আর নদী থেকে শাপলা ফুল তুলতে ছিলাম। আর শাপলা ফুলের সেই সুন্দরময় বিলের দৃশ্যটি যেন অসাধারণভাবে ফুটে উঠেছিলো।সত্যি শাপলা ফুল আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই শাপলা ফুল তুলতে পেরে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। তারপরে আমরা বন্ধুরা মিলে নদীতে মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে পেলাম। এখানে অনেক বড় বড় মাছ ছেলেরা ধরেতে ছিলো এই বিল থেকে। তাই আমরা নৌকা করে অনেকেই মাছ ধরার দৃশ্য গুলো দেখে ছিলাম।জেলেদের কাছে গেলাম এবং মাছ ধরার এই দৃশ্য দেখতে পেলাম। একজন জেলে অনেক বড় বড় মাছ ধরেছে তার জালে।এটা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। তারপরে বৃদ্ধ এত জেলেকে দেখলাম তার জালে তিনটি বড় বড় বোয়াল মাছ ধরেছে। সে খুবি খুশি ছিলো।

প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্যময় রূপ নিয়ে গড়ে উঠেছিল এই চলনবিলের প্রকৃতি। সত্যি চলনবিলের যৌবন যেন দেখে চোখ ফেরাতে পারিনি। এত ভালো লাগতেছিল। তখন আমরা বন্ধুরা মিলে অনেক আনন্দ করতেছিলাম এবং নৌকায় করে ভ্রমণের সময় আমার বন্ধু হাসান গান শুরু করলো। আমরাও সাথে সাথে গান গাইতে লাগলাম। সত্যি এই দৃশ্যগুলো যেন চোখের সামনে আজকে ভাসতেছে।বন্ধুদের নিয়ে একসাথে গান গাওয়ার মুহূর্তগুলো এত আনন্দের ছিল যা বলার মত না। আসলে বন্ধুদের সাথে এভাবে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে আমাদের সবার জীবনে।

তারপরে বন্ধুরা বলল এরকম পরিবেশের মধ্যে হয়তো আমাদের আর আসা হবে কিনা জানিনা। তবে আজকে আমরা সকল বন্ধুরা যেহেতু এসেছি, নৌকা থামিয়ে এই চলনবিলে আমরা গোসল করব। তাই আমিও রাজি হয়ে গেলাম। কারণ আমরা কাপড়-চোপড় ব্যাগের ভিতর নিয়েছিলাম। তারপরে নৌকার মাঝিবলল ঠিক আছে আপনারা গোসল দেন কোন সমস্যা নেই। তবে নৌকা থেকে লাফ দেওয়া যাবে না। লাফ দিলে হয়তো বা ছোট নৌকা এটা আবার ডুবে যেতে পারে। তাই বললাম ঠিক আছে আপনি সুন্দর একটি জায়গায় নৌকা দাঁড় করান। আমরা অল্প পানির ভিতরে গোসল দেবো। তখন আমরা নৌকা থেকে নেমে সকল বন্ধুরা একসাথে গোসল দিলাম এবং অনেক সাথে সেই মুহূর্তটা উপভোগ করতে ছিলাম।