//"শারদীয়া কনটেস্ট ১৪২৯//"বন্ধুদের সাথে সপ্তমীর দিনের কিছু মূহুর্তের ফটোগ্রাফি"🦊//[10% shy-fox ]//🦊
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে যেন উৎসবমুখর পরিবেশে তৈরি হয়েছে। প্রতিটা জেলায় প্রতিটা গ্রামে এই পূজার উৎসবে মেতে উঠেছে। শুধু বাংলাদেশ নয় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এই আনন্দে মেতে উঠেছে। আর আনন্দে মেতে ওঠার দৃশ্য গুলো ফটোগ্রাফি করে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির @rme দাদার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমার ভালো লাগছে। আসলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আনন্দ-উৎসবে মেতেছে। প্রতিবছর চাইতে এবার পূজার ছুটি বেশি পরেছে। যার কারণে সকল বন্ধুরা এবার পূজার ছুটিতে নিজের শহরে এসেছে। বিশেষ করে আমার বন্ধু বিজয়। বিজয়দেন বাড়ি সিরাজগঞ্জেই। আমার খুব কাছের বন্ধু।আমরা একসাথে পড়াশোনা করেছি। কলেজ লাইফে একসাথে পড়তাম। আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু।শুধু ধর্মের পার্থক্য থাকলেও আমরা একে অপরের সাথে সব সময় থাকতাম। এমনকি আমরা ম্যামে একই রুমে থাকতাম, বিজয় সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক।আমি বিজয়দের বাড়িতে অনেক যাইটাম।আমাদের মধ্যে কখনো কোন মারামারি হয়নি।আর এই উৎসবমুখর পরিবেশে যখন বিজয় ছুটিতে আসলো। বিজয়কে দেখে খুবি ভালো লাগলো।অনেক দিন পর বন্ধু বিজয়কে দেখে খুবি খুশি আমি।বিজয় বললো বিকালে শহরের মধ্যে যাবো।আমি বললাম ঠিক আছে।তো বিকাল বেলা সিরাজগঞ্জ শহরে সবচাইতে বড় বড় তিনটি পূজার মন্ডবে ভ্রমণ করে ফটোগ্রাফি করলাম। আসলে বন্ধুদের সাথে অনেক মজা করেছি।আগে যখন আমি মেসে থাকতাম তখন রাত হলে সকল বন্ধুরা এসে এই পূজামণ্ডপে অনেক নাচ-গান এবং আনন্দ করতাম। যাই হোক এখন আর সেই সুযোগ হয় না। আগে সিরাজগঞ্জ পুরো শহর লাইটিং করা হতো এবং খুবই সুন্দরভাবে সাজানো হতো। কিন্তু করোনার কারণে জন্য গত বছর থেকে এই উৎসবমুখর অনেকটাই কমেছে। তবে এবার পুরো শহর না লাইটিং না করলেও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গুলো অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। তাই বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ ও কিছু ফটোগ্রাফি করতে পেরে ভালো লাগলো। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগবে।
বন্ধুদের সাথে সপ্তমীর দিনের কিছু মূহুর্তের ফটোগ্রাফি 📸👇
তো বন্ধুরা চলুন বন্ধুদের সাথে সপ্তমীর দিনের কিছু মূহুর্তের ফটোগ্রাফি দেখা শুরু করা যাক,,,
বিকেলবেলা বন্ধু বিজয় আমাকে বলল যে সিরাজগঞ্জ শহরে এসেছে। তখন বাজে বিকেল ৫ টা। তো আমরা বন্ধুরা বিকাল ৫ টায় সময় শহরের মধ্যে বের হলাম এবং বাসায় আসতে আসতে রাত ১১:২০ বেজে গেলো। এত সময় ধরে বন্ধুর সাথে ছিলাম। যাই হোক প্রথমে আমরা সিরাজগঞ্জ শহরের সবচাইতে বড় মন্দিরে আসলাম। এই মন্দিরের নাম শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর আখড়া মন্দির। এই মন্দিরটি মুজিব সড়কে অবস্থিত।এখানর এসে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখতে পেলাম। আসলে এই মন্দিরটি সিরাজগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় মন্দির ছিল।
- প্রথমে আমরা শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর আখড়া মন্দিরের সামনে আসলাম। এটি মুজিব সড়ক মুজিব সড়কের বাইরে থেকে মন্দিরটি এত সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে।
- এটি মন্দিরের ভিতরের অংশ। মন্দিরের ভিতরের এই সুন্দর দৃশ্যটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। পুরো বিল্ডিং লাইটিংয়ের সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে।
- নানারকম ডিজে লাইট লাগানো হয়েছে। যা দেখতে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
- মূর্তিগুলোর চারোদিকে ডিজে লাইট লাগানো হয়েছে এবং গান বাজানো হচ্ছে। এটি অনেক উৎসবমুখর পরিবেশ। বন্ধুর সাথে সময়টা ভালোই কাটলো।
- যত উৎসব মুখর পরিবেশ আর উৎসবমুখর পরিবেশ হলেই মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। মন্দিরের বাইরে রাস্তার দু'পাশ দিয়ে যেন এক বড় মেলার আয়োজন দেখে ভালই লাগলো।
- মন্দিরের এই লাইটিং এর দৃশ্যটি সবার মন কেড়ে নিয়েছে। আমারও খুবই ভালো লেগেছে।
সময়ঃবিকাল ৫:৩০ মিনিট।
স্থান: মুজিব সড়ক, সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
এতক্ষণ আপনারা শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর আখড়া মন্দিরের ফটোগ্রাফি দেখলেন। আসলে এই মন্দিরটি সিরাজগঞ্জ শহরে সবচাইতে বড়। তাই এখানে প্রথম এসেছিলাম। বন্ধুর সাথে অনেক আনন্দময় সময় এখানে উপভোগ করলাম।
প্রায় একঘন্টা পরে বন্ধু বলল চল মুজিব সড়কে আরেকটি বড় মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরের নাম শ্রী শ্রী কালী মাতা মন্দির। এই মন্দিরটিও সিরাজগঞ্জ শহরের অনেক বড় এবং সুন্দর একটি মন্দির। এখানে আমরা যাবো।তো আমার সাথে আমার আরো বন্ধু ছিল,তাই আমার বন্ধুর সেই মন্দিরে গেলাম এবং এখানে গিয়ে দেখতে পেলাম। অনেক সুন্দরভাবে গেট সাজানো হয়েছে এবং গেটটি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। বাইরে থেকে দেখতে অনেক ভালো লাগলো।
- প্রথমে আমার এই মন্দিরে গেইটি সুন্দর ভাবে ফুল দিয়ে সাজানো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।আর এখানে অনেক মানুষ কেউ দেখতে পেলাম।
- ফুলের গেট পার হতেই দেখতে পেলাম আরেকটি আলোকসজ্জা গেটের ভিতরে দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়।
- তারপরে মন্দিরের ভিতরে আসলাম। ভিতর এসে দেখতে পেলাম অনেক সুন্দরভাবে ডিজাইন করেছে। আসলেই এই ডিজাইনগুলো করতে অনেক সময় লেগেছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। পুরো মন্ডপটি যেন খুবই সুন্দরভাবে সাজানো।
- লাইটিংয়ের আলোতে পুরো মন্ডপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই মণ্ডপে আসছে, দৃশ্য গুলো দেখে ভালো লাগলো।
সময়ঃবিকাল ৭:৪০ মিনিট।
স্থান: মুজিব সড়ক, সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
আপনারা শ্রী শ্রী কালী মাতা মন্দির ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেন। আসলে এখানে অনেক আনন্দময় উৎসবের মধ্যে ছিলাম। বন্ধুরা নাচানাচি করল। আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। অনেক সময় ধরে এখানে ছিলাম।
এই মন্দিরের পাশে অনেকক্ষণ ছিলাম যার কারণে গান-বাজনায় মাথা যেন ব্যথা করতেছিল।বিজয় বন্ধু বলল চল আমরা এখন শহরে সুন্দর কিছু দৃশ্য দেখি। আসলে এই উৎসবের কারণে পুরো শহরটা যেন লাইটিংয়ে সাজিয়েছে। তাই এই রাতের বেলা শহরটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। তাই বন্ধু বলল চল আমরা নিরিবিলি পরিবেশে নদীর পাড়ে গিয়ে বসে থাকি। তাই সিরাজগঞ্জে সবচাইতে বড় ইল্টিট ব্রিজের পাশে আসলাম। কাটাখালি নদীর উপর অবস্থিত এই ব্রিজ। সিরাজগঞ্জ ঐতিয্যময় ব্রিজের উপরে আসলাম এবং সিরাজগঞ্জ শহরের লাইটিং করার রাতের দৃশ্য গুলো দেখতে লাগলাম। রাতের বেলায় দৃশ্যগুলো সত্যি দেখে খুবি ভালো লেগেছে।
- রাতের সৌন্দর্যময় পরিবেশ ব্রিজের উপর থেকে উপভোগ করতেছিলাম। সত্যিই পরিবেশটা অনেক শীতল ছিল তাই অনেক ভালো লাগলো।
- রাতের বেলা সুন্দর লাইটিং করার এই দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।
- রাস্তার মধ্যে দিয়ে পাতা বাহারি সৌন্দর্যময় গাছে অনেক সুন্দর লাইটিং করা হয়েছে, লাল,নীল লাইটিং এর কারণে অনেক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
সময়ঃবিকাল ৯:১০ মিনিট।
স্থান: মুজিব সড়ক, সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
পূজার কারণে শহরের সৌন্দর্যময় দৃশ্য গুলো দেখতে পেলাম। রাতের বেলায় এরকম সুন্দর পরিবেশে উপভোগ করতে পেরে ভালো লাগলো। আসলে রাতের বেলা শহরের এই সৌন্দর্যময় লাইটিং করার পরিবেশ আমার ভালো লেগেছে।
উৎসবমুখর শহরের সৌন্দর্যময় রাতের দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে লাগলাম। বিজয় বন্ধু বলল সিরাজগঞ্জ স্টেডিয়ামের পাশে আরেকটি বড় মন্দির রয়েছে। এটি সিরাজগঞ্জের অন্যতম একটি বড় মন্দির। মন্দিরের নাম শ্রী শ্রী জগৎময়ী সার্বজনীন পূজা মন্দির।
প্রতি বছর ওখানে অনেক সুন্দরভাবে সাজানো হয়। তো আমরা সাড়ে নয়টার দিকে রওনা দিলাম, সিরাজগঞ্জ স্টেডিয়ামের দিকে এবং স্টেডিয়ামে গিয়ে সৌন্দর্যময় একটি মন্ডপ দেখতে পেলাম। এই মন্ডপটি সত্যি অসাধারণ ভাবে সাজিয়েছে। বিশেষ করে এই মন্ডপের গেইট অসাধারণ ভাবে সাজিয়েছে।খুবি সুন্দর ছিল।
- মন্দিরের গেটটি ছিল অসাধারণ। সত্যিই এই গেটটি অনেক যত্নসহকারে এবং অনেক সময় নিয়ে বানিয়েছে। গেট দেখতে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
- বিজয় বন্ধুর সাথে এসেই গেটের ভিতরে দিয়ে প্রবেশ করলাম। ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম আলোকসজ্জাময় মূর্তি গুলো।
- মূর্তিগুলো চারপাশে অনেক আলোকসজ্জা দেওয়া হয়েছে।বিজয় বন্ধুর সাথে আজকের রাতটা অনেক আনন্দ করলাম।
- স্টেডিয়াম এর সামনের রাস্তাটি এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে অনেক সুন্দরভাবে লাইটিং করা হয়েছে। সত্যি রাতের বেলায় লাইটিংয়ের দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।
সময়ঃবিকাল ১০:৩০ মিনিট।
স্থান: স্টেডিয়াম রোড, সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
শ্রী শ্রী জগৎময়ী সার্বজনীন পূজা মন্দির এর ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এই মন্দিরে বন্ধুর সাথে অনেক আনন্দ করেছি এবং অনেক সময় এখানে উপস্থিত ছিলাম। অবশেষে মন্দিরের ফটোগ্রাফি গুলো এবং বন্ধুর সাথে সময় পার করতে পেরে ভালো লাগলো। তখন দেখলাম সাড়ে ১১ টার উপরে বেজে গেছে। অনেক রাত হয়ে গেলো। সেই যে বন্ধুর সাথে বিকেলে বের হয়েছিলাম। তাই বিজয় বন্ধুকে বললাম এখন আর কোথাও যাবো না, এখন বাসার দিকে যাব, তো বন্ধু বলল ঠিক আছে চল একসাথে বাসার দিকে যায়।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | বন্ধুদের সাথে সপ্তমীর দিনের কিছু মূহুর্তের ফটোগ্রাফি 🔔 |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন💗🌹💗🌹💗
#amarbanglablog-contest #steemexclusive #photography #amarbanglablog #writings #bangladesh #krsuccess
অসাধারণ করেছেন তো কনটেন্ট না। দারুণ হয়েছে। লেখা আর ছবিগুলোও একইভাবে ভালো।
শারদীয় দুর্গোৎসব আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন পূজোর সপ্তমীতে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশি দুর্দান্ত হয়েছে সত্যি দেখে খুব ভালো লাগলো। শারদীয়া কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
কি আর বলবো ভাই সপ্তমীর দিনে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার পাশাপাশি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।
আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা রইল
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।